লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ গীবত (পরনিন্দা, পরচর্চা) হারাম
(২৯৭০) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললাম, ’আপনার জন্য সাফিয়ার এই এই হওয়া যথেষ্ট।’ (কোন কোন বর্ণনাকারী বলেন, তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, সাফিয়া বেঁটে।) এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আমাকে) বললেন, ’’তুমি এমন কথা বললে, যদি তা সমুদ্রের পানিতে মিশানো হয়, তাহলে তার স্বাদ পরিবর্তন করে দেবে!’’
আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা তাঁর নিকট একটি লোকের পরিহাসমূলক ভঙ্গি নকল করলাম। তিনি বললেন, ’’কোন ব্যক্তির পরিহাসমূলক ভঙ্গি নকল করি আর তার বিনিময়ে এত এত পরিমাণ ধনপ্রাপ্ত হই, এটা আমি আদৌ পছন্দ করি না।’’ (আহমাদ ৩/২২৪,আবূ দাউদ ৪৮৭৭, তিরমিযী ২৫০২, সহীহ আবূ দাউদ ৪০৮২, সহীহ সনদে)
مَزَجَته এর ভাবার্থ হল, তার সাংঘাতিক দুর্গন্ধ ও নিকৃষ্টতার কারণে সমুদ্রের পানিতে মিশে তার স্বাদ অথবা গন্ধ পরিবর্তন ক’রে দেয়। এই উপমাটি গীবত নিষিদ্ধ হওয়া ও তা থেকে সতর্কীকরণের ব্যাপারে অত্যন্ত প্রভাবশালী ও পরিণত বাক্য। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الهَوَى إنْ هُوَ إِلاَّ وَحْيٌ يُوحَى
অর্থাৎ, (আমার নবী) মনগড়া কথা বলে না, (সে যা কিছু বলে) তা প্রত্যাদেশকৃত অহী ব্যতীত আর কিছুই নয়। (সূরা নাজম ৩-৪)
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ : قُلْتُ لِلنَّبِيِّ ﷺ حَسْبُكَ مِنْ صَفِيَّةَ كَذَا وَكَذَا قَالَ بَعْضُ الرُّوَاةِ : تَعْنِي قَصِيرَةً فقَالَ لَقَدْ قُلْتِ كَلِمَةً لَوْ مُزِجَتْ بِمَاءِ البَحْرِ لَمَزَجَتْهُ قَالَتْ : وَحَكَيْتُ لَهُ إِنْسَاناً فَقَالَ مَا أُحِبُّ أنِّي حَكَيْتُ إِنْسَاناً وَإِنَّ لِي كَذَا وَكَذَا رواه أَبُو داود والترمذي وقَالَ حديث حسن صحيح