পরিচ্ছেদঃ কারো মুখোমুখি প্রশংসা করা মাকরূহ
(২৩৪০) হাম্মাম ইবনে হারেস হতে বর্ণিত, তিনি মিক্বদাদ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন; এক ব্যক্তি উসমান (রাঃ) এর সামনেই তাঁর প্রশংসা শুরু করলে মিক্বদাদ হাঁটুর উপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে তার মুখে কাঁকর ছিটাতে শুরু করলেন। তখন উসমান তাঁকে বললেন, ’কী ব্যাপার তোমার?’ তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা (মুখোমুখি) প্রশংসাকারীদের দেখলে তাদের মুখে ধুলো ছিটিয়ে দিয়ো। (মুসলিম ৭৬৯৮)
এ সব হাদীস নিষেধাজ্ঞামূলক। পক্ষান্তরে বৈধতা সংক্রান্ত বহু বিশুদ্ধ হাদীস রয়েছে। উলামাগণ বলেন, বৈধ-অবৈধ সম্বলিত পরস্পর বিরোধী হাদীসসমূহের বিরোধ নিরসনের উপায় এই হতে পারে যে, যদি প্রশংসিত ব্যক্তি পূর্ণ ঈমান ও ইয়াকীনের অধিকারী হয়, আত্মা অনুশীলনী ও পূর্ণ জ্ঞান লাভে ধন্য হয়, যার ফলে সে কারো প্রশংসা শুনে ফিতনা ও ধোঁকার শিকার না হয় এবং তার মন তাকে প্রতারিত না করে, তাহলে এ ধরনের লোকের মুখোমুখি প্রশংসা, না হারাম, আর না মাকরূহ। অন্যথা যদি কারো ক্ষেত্রে উক্ত বিষয়াদির কিছুর আশংকা বোধ হয়, তবে তা ঘোর অপছন্দনীয়। এই ব্যাখ্যার নিকষে পরস্পর-বিরোধী হাদীসসমূহকে মান্য করতে হবে।
যে সব হাদীসে মুখোমুখি প্রশংসার বৈধতা এসেছে তার একটি এই যে, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বাকর (রাঃ) ক বললেন; আমার আশা এই যে, তুমিও তাদের একজন হবে। অর্থাৎ সেই সৌভাগ্যবানদের একজন হবে, যাদেরকে জান্নাতের সমস্ত দ্বার থেকে আহবান জানানো হবে। (বুখারী ১৮৯৭, ৩৬৬৬, মুসলিম ২৪১৮)
এ প্রসঙ্গে দ্বিতীয় হাদীসটি হচ্ছে এই যে, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বাকর (রাঃ) কে বললেন; তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত নও। অর্থাৎ, ঐসব লোকেদের অন্তর্ভুক্ত নও যারা অহংকারবশতঃ লুঙ্গী-পায়জামা গাঁটের নীচে ঝুলিয়ে পরে।
যেমন একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমার (রাঃ) কে বললেন, শয়তান তোমাকে যে পথে চলতে দেখে, সে পথ ত্যাগ করে সে অন্য পথ ধরে। (বুখারী ৩২৯৪, ৬৩৫৫)
وَعَنْ هَمَّامِ بنِ الحَارِثِ عَنِ المِقْدَادِ أَنَّ رَجُلًا جَعَلَ يَمْدَحُ عُثْمانَ فَعَمِدَ المِقْدَادُ فَجَثَا عَلَى رُكْبَتَيْهِ فَجَعَلَ يَحْثُو فِي وَجْهِهِ الحَصْبَاءَ فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ : مَا شَأنُكَ ؟ فَقَالَ : أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ إِذَا رَأَيْتُمُ المَدَّاحِينَ فَاحْثُوا فِي وُجُوهِهِمُ التُّرَابَ رواه مسلم