লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
১৭৮৯-[১৮] ’আমর ইবনু শু’আয়ব (রহঃ) তাঁর পিতার মাধ্যমে তার দাদা হতে বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদিন) লোকজনকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, সাবধান! যে ব্যক্তি কোন ইয়াতীমের অভিভাবক হবে, (আর সে ইয়াতীমের যাকাত দেবার মতো ধন-সম্পদ হবে) সে যেন এ ধন-সম্পদকে ফেলে না রেখে ব্যবসায়ে খাটায়। কারণ ব্যবসা করা ছাড়া মাল আটকে রাখলে যাকাত দিতে দিতে তা শেষ হয়ে যাবে। (তিরমিযী; তিনি বলেন, এ হাদীসের সানাদের ব্যাপারে কথা আছে। কারণ এর একজন বর্ণনাকারী দুর্বল।)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّانِى
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ النَّاسَ فَقَالَ: «أَلَا مَنْ وَلِيَ يَتِيمًا لَهُ مَالٌ فَلْيَتَّجِرْ فِيهِ وَلَا يَتْرُكْهُ حَتَّى تَأْكُلَهُ الصَّدَقَةُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: فِي إِسْنَادِهِ مقَال: لِأَن الْمثنى بن الصَّباح ضَعِيف
ব্যাখ্যা: শিশুর সম্পদে যাকাত ওয়াজিব কিনা এ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ইমাম মালিক, শাফি‘ঈ ও আহমাদ (রহঃ)-এর মতে শিশুর সম্পদে যাকাত ওয়াজিব যা এ হাদীস থেকে প্রতীয়মান। ইমাম আবু হানীফার মতে, শিশুর সম্পদে যাকাত ওয়াজিব নয়। যদিও তার মতে শিশুর ফসল ফলফলাদিতে উশর আবশ্যক এবং তার সদাক্বাতুল ফিতর ওয়াজিব হবে। তার দলীল হল তিন ব্যক্তি থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। তন্মধ্যে একজন হল শিশু যতক্ষণ সে প্রাপ্ত বয়সে না পৌঁছে।
ইবনু কুদামাহ্ (রহঃ) বলেন, শিশু এবং পাগলের সম্পদে যাকাত আবশ্যক। যেহেতু তাদের মাঝে স্বাধীনতা, ইসলাম এবং পূর্ণ মালিকানা এ তিনটি শর্তই বিদ্যমান। এটিই সাহাবীদের মধ্যে ‘আলী, ইবনু ‘উমার, ‘আয়িশাহ্, হাসান, ‘উমার এবং জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) আর অন্যদের মধ্যে জাবির ইবনু জায়দ, ইবনু সীরিন, ‘আত্বা, মুজাহিদ, রবী‘আহ্, মালিক, শাফি‘ঈ (রহঃ) সহ আরো অনেকের অভিমত। যদিও এক্ষেত্রে ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে সামান্য ভিন্নমত বর্ণিত হয়েছে কিন্তু সে আসারের সানাদ বিশুদ্ধ নয়। এ বিষয়ে তিরমিযীর ভাষ্যকার ‘আবদুর রহমান মুবারকপূরী বলেন, কোন একজন সাহাবী থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে এ কথা বর্ণিত হয়নি যে, শিশুর মালে যাকাত আবশ্যক নয়।