লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির দাফনের বর্ণনা
১৬৯৭-[৫] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরে চুনকাম করতে, এর উপর ঘর বানাতে এবং বসতে নিষেধ করেছেন। (মুসলিম)[1]
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُجَصَّصَ الْقَبْرُ وَأَنْ يُبْنَى عَلَيْهِ وَأَنْ يُقْعَدَ عَلَيْهِ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ
ব্যাখ্যা: এ হাদীস দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, কবরকে প্লাস্টার করা হারাম। কেননা হাদীসে সরাসরি এটাকে নিষেধ করা হয়েছে। আর এ নিষিদ্ধতা হারামকেই বুঝায়। এ হাদীস থেকে যে বিষয়টি জানা যায় তা হলো, ক্ববরের উপর ঘর নির্মাণ করতেও নিষেধ করা হয়েছে। এ দ্বারা উদ্দেশ্য ক্ববরের উপর অথবা তার পাশে ঘর অথবা মাসজিদ নির্মাণ করা বা এ রকম অন্য কিছু নির্মাণ করা। তুরবিশতী বলেন, ঘর বানানোর উদ্দেশ্য দু’টি হতে পারে। একটি হচ্ছে, ক্ববরের উপর পাথর অথবা এরূপ কিছু দ্বারা ঘর নির্মাণ করা। অপরটি হচ্ছে ক্ববরের উপর তাঁবু বা এরূপ কিছু টানানো; আর উভয়টিই নিষিদ্ধ। কেননা এগুলো জাহিলী যুগের পাপ কাজ এবং এতে সম্পদ নষ্ট হয়। ইমাম শাওকানী বলেন, ক্ববরের উপর ঘর নির্মাণ নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে এ হাদীসটি দলীল।
ক্ববরের উপর বসতে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা এর দ্বারা কবরবাসী মুসলিম ভাইয়ের প্রতি অবজ্ঞা পোষণ করা হয়। কেউ কেউ এ বসা দ্বারা মলত্যাগের জন্য বসা বুঝিয়েছেন। কিন্তু প্রথম কথাটিই সঠিক। ইমাম ত্ববারানী এবং হাকিম আম্মারা (রহঃ) ইবনু হাযম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একদা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ক্ববরের উপরে বসা অবস্থায় দেখে বললেন, তুমি নেমে পড় এবং কবরবাসীকে কষ্ট দিও না। হাসান বসরী এবং ইবনু সীরীন বলেন, স্বাভাবিকভাবে ক্ববরে বসাটা হারাম। এ মতামত ব্যাক্ত করেছেন জাহিরী সম্প্রদায়। মুহাল্লাহ কিতাবে ইবনু হাযম এবং আরো অনেকে বলেন, কারো জন্য এটা হালাল নয় যে, সে ক্ববরের উপরে বসবে। আবূ হানীফাহ্ এবং শাফি‘ঈদের এক দল ক্ববরে বসাকে মাকরূহ মনে করেন। তবে এক্ষেত্রে প্রাধান্য প্রাপ্ত কথা হচ্ছে ক্ববরের উপর বসাটা হারাম হিসেবে গণ্য হবে। আর এটাই জমহূর বিদ্বানগণের মত।