লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৩৫-[১৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসায়ন (রাঃ)-কে এ ভাষায় দু’আ করে আল্লাহর হাতে সোপর্দ করতেন। তিনি বলতেন, ’আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমার মাধ্যমে প্রত্যেক শায়ত্বনের (শয়তানের) অনিষ্ট হতে, প্রত্যেক ধ্বংসকারী হিংস্র জন্তু জানোয়ারের ধ্বংস হতে, প্রত্যেক কুদৃষ্টিসম্পন্ন চোখ হতে তোমাদেরকে আল্লাহর আশ্রয়ে সোপর্দ করছি। তিনি আরো বলতেন, তোমাদের পিতা ইব্রাহীম (আঃ) এ কালিমার দ্বারা তাঁর সন্তান ইসমা’ঈল ও ইসহাককে আল্লাহর কাছে সোপর্দ করতেন। বুখারী; মাসাবীহ সংস্করণের অধিকাংশ স্থানে ’বিহা’ শব্দের জায়গায় بهما (বিহিমা-) শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে দ্বিবচন শব্দে।[1]
بَابُ عِيَادَةِ الْمَرِيْضِ وَثَوَابِ الْمَرَضِ
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم يعوذ الْحسن وَالْحسن: «أُعِيذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ» وَيَقُولُ: «إِنَّ أَبَاكُمَا كَانَ يعوذ بهما إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ» . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَفِي أَكْثَرِ نُسَخِ المصابيح: «بهما» على لفظ التَّثْنِيَة
ব্যাখ্যা: (بِكَلِمَاتِ اللّهِ) আল্লাহর কালাম দ্বারা উদ্দেশ্য ‘আমভাবে তার কালাম বা বাক্য। অথবা সূরাহ্ নাস ও ফালাক্ব অথবা কুরআনুল কারীম। কারও মতেঃ আল্লাহর নামসমূহ ও গুণাবলী দ্বারা। (تَامَّةِ) পরিপূর্ণ। উপকারী, আরোগ্যকারী, বারাকাতপূর্ণ, পুরাকারী যা হতে আশ্রয় চাওয়া হয় তা প্রতিরোধে।
জাযারী বলেনঃ আল্লাহর কালামের গুণ তামাম তথা পরিপূর্ণ ব্যবহৃত হয়েছে এজন্য যে, তার কালামে কোন দোষ ত্রুটি বলা বৈধ হবে না যেমনটি মানুষের কালামে বা ত্রুটি রয়েছে।
কারও মতে তামাম দ্বারা উদ্দেশে তা আশ্রয় প্রার্থনা করাকে উপকার দিবে এবং সকল প্রকার বিপদাপদ হতে রক্ষা করবে এবং এটাই যথেষ্ট হবে।
আহমাদ বিন হাম্বাল (بِكَلِمَاتِ اللّهِ التَّامَّةِ) (আল্লাহর পূর্ণ বাক্যসমূহ) দ্বারা দলীল গ্রহণ করেছেন যে, কুরআন সৃষ্ট না আর সৃষ্টজীবের বাক্যসমূহ ত্রুটিপূর্ণ। সুতরাং تمام গুণ নিয়ে আসা প্রমাণ আল্লাহর কালাম সৃষ্ট না। তিনি আরও প্রমাণ করেছেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন সৃষ্ট (বস্ত্ত বা জীব) দিয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করেননি। প্রত্যেক শায়ত্বন (শয়তান) হতে তা মানব জাতির মধ্যে হতে পারে আবার জিন জাতির মধ্যে হতে পারে (هَامَّةٌ) যা পৃথিবীতে বিচরণ করে এবং মানুষকে কষ্ট দেয়। কারও মতেঃ বিষধর প্রাণী। আর শাওকানী বলেন, এটা বিষধরের চেয়ে ‘আম যেমন হাদীসে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন (أَيُؤْذِيْكَ هَوَامُّ رَأسِكَ) তোমার মাথার ব্যথা কি তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে।