লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩০৯-[১০] সুওয়াইদ ইবনু নু’মান (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে খায়বার যুদ্ধে গিয়েছিলেন। তাঁরা খায়বারের অতি নিকটে ’সহবা’ নামক স্থানে যখন পৌঁছলেন, তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আসরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করলেন। অতঃপর আহার পরিবেশন করতে বললেন, কিন্তু ছাতু ছাড়া আর কিছু পাওয়া গেল না। তিনি নির্দেশ দিলেন। তাই পানি দিয়ে ছাতু নরম করা হলো। এ ছাতু তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজেও খেলেন আমরাও খেলাম। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মাগরিবের সালাতের জন্য দাঁড়ালেন এবং শুধু কুলি করলেন। আর আমরাও কুলি করলাম। এ অবস্থায় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করলেন, অথচ নতুনভাবে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করলেন না। (বুখারী)[1]
بَابُ مَا يُوْجِبُ الْوَضُوْءَ
وَعَن سُوَيْد ابْن النُّعْمَان: أَنَّهُ خَرَجَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ خَيْبَرَ حَتَّى إِذَا كَانُوا بالصهباء وَهِي أَدْنَى خَيْبَرَ صَلَّى الْعَصْرَ ثُمَّ دَعَا بِالْأَزْوَادِ فَلَمْ يُؤْتَ إِلَّا بِالسَّوِيقِ فَأَمَرَ بِهِ فَثُرِيَ فَأَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَكَلْنَا ثُمَّ قَامَ إِلَى الْمَغْرِبِ فَمَضْمَضَ وَمَضْمَضْنَا ثمَّ صلى وَلم يتَوَضَّأ. رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: এ হাদীস থেকে কয়েকটি বিষয় প্রতীয়মান হয়। প্রথমত সফরকালে খাদ্য বহন করা আল্লাহর ওপর ভরসার পরিপন্থী নয়। দ্বিতীয়ত মুহাম্মাদের মতে সরকারের জন্য খাদ্য সংকটের সময় খাদ্য গুদামজাতকারীদের পাকড়াও করে ক্রেতাদের নিকট সে গুদামজাতকৃত খাদ্য বিক্রয় করতে বাধ্য করা বৈধ। তৃতীয়ত চর্বিবিহীন কোন খাবার দাঁতের মাঝে আবদ্ধ থাকার সম্ভাবনা থাকলে তা থেকে কুলি করা মুস্তাহাব বা ভালো। চতুর্থত আগুনে পাকানো খাবার গ্রহণ উযূ (ওযু/ওজু/অজু) ভঙ্গের কোন কারণ নয় এবং উযূ ভঙ্গ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি ওয়াক্তের সালাতের জন্য নতুনভাবে উযূ করা ওয়াজিব নয়।