৩০৮

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়

৩০৮-[৯] বুরায়দাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের দিন এক উযূ (ওযু/ওজু/অজু)-তে কয়েক ওয়াক্তের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করলেন এবং মোজার উপর মাসাহ করলেন। ’উমার (রাঃ) তাঁকে বললেন, আজ আপনি এমন কিছু করলেন যা পূর্বে কখনো করেননি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হে ’উমার! আমি ইচ্ছা করেই এরূপ করেছি। (মুসলিম)[1]

بَابُ مَا يُوْجِبُ الْوَضُوْءَ

وَعَنْ بُرَيْدَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الصَّلَوَات يَوْم الْفَتْح بِوضُوء وَاحِد وَمسح عل خُفَّيْهِ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: لَقَدْ صَنَعْتَ الْيَوْمَ شَيْئًا لَمْ تَكُنْ تَصْنَعُهُ فَقَالَ: «عَمْدًا صَنَعْتُهُ يَا عمر» . رَوَاهُ مُسلم

وعن بريدة: ان النبي صلى الله عليه وسلم صلى الصلوات يوم الفتح بوضوء واحد ومسح عل خفيه فقال له عمر: لقد صنعت اليوم شيىا لم تكن تصنعه فقال: «عمدا صنعته يا عمر» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: সাহাবীর বাচনভঙ্গি থেকে বুঝা যায় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ ‘আমল আদৌ করতেন না। মূলত রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ কাজে অভ্যস্ত ছিলেন না বটে। তবে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইতোপূর্বে এরূপ ‘আমল মাঝে মাঝে করতেন মর্মে প্রমাণিত রয়েছে। এ হাদীস দ্বারা কয়েকটি বিষয় প্রমাণিত হয়।

প্রথমত, সর্বোত্তম হলো প্রতি সালাতের জন্য আলাদা আলাদা উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করা যেমনটি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভ্যস্ত ছিলেন।

দ্বিতীয়ত এক উযূ দ্বারা অনেক ফরয এবং নফল সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করাও বৈধ, মাকরূহ নয়। তবে প্রস্রাব-পায়খানার চাপ সৃষ্টি করলে তা সম্পূর্ণ করে নতুনভাবে উযূ করে নিবে। আর এটিই অধিকাংশ ‘উলামার অভিমত। তবে এটি আল্লাহ তা‘আলার বাণী ‘‘যখনই তোমরা সালাত সম্পাদনের ইচ্ছা করবে তখন উযূ কর’’ এর সাথে সংঘর্ষিক মনে হয় যেহেতু আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ করার আদেশ দিয়েছেন। এর সমাধানকল্পে অনেক মতের সৃষ্টি হয়েছে। জমহূরের মতে আয়াতে অর্থ হলো إذَا قُمْتُمْ إلى الصَّلَاةِ مُحْدِيْثِيْنَ (যখন তোমরা উযূ বিহীনবস্থায় সালাত সম্পাদনের ইচ্ছা করবে) অর্থাৎ- অযু অবস্থায় থাকলে পুনরায় উযূ করতে হবে না।

যদিও আয়াতটি বাহ্যিকভাবে পবিত্র অপবিত্র সকলের উযূ করার বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। তাই জমহূরের মতানুযায়ী আয়াত দ্বারা উযূ বিহীন ব্যক্তির উযূ করা ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়। এটিই সঠিক অভিমত। আবার কেউ কেউ বলেনঃ আয়াতে আদেশ দ্বারা উত্তম উদেশ্য। অর্থাৎ- প্রত্যেকের জন্য প্রতিটি সালাতের প্রারম্ভে উযূ করা ভালো। আর উযূহীন ব্যক্তির ওপর উযূ আবশ্যক হওয়ার বিষয়টি সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত। আবার কেউ কেউ বলেন আয়াত দ্বারা সকলের ওপর উযূ আবশ্যক হওয়ার বিষয়টি শুরুতে কার্যকর থাকলেও পরে তা রহিত হয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة)