লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
সুরা আলাক্
কুতাইবাহ (রহঃ) .....হাসান বসরী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, কুরআন মাজীদের শুরুতে ’বিস্মিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’ লিখ এবং দু’ সূরার মধ্যে একটি রেখা টেনে দাও।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, نَادِيَهُ গোত্র। الزَّبَانِيَةَ ফেরেশতা। মা’মার (রা) বলেন, الرُّجْعٰى ফিরে আসার জায়গা। لَنَسْفَعَنْ আমি অবশ্যই পাকড়াও করব। لَنَسْفَعَنْ শব্দটি نون خفيفة এর সঙ্গে। سَفَعْتُ بِيَدِهِ আমি তাকে হাত দ্বারা ধরলাম।
৪৫৯৪। ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র ও সাঈদ ইবনু মারওয়ান (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ঘুমন্ত অবস্থায় সত্য স্বপ্নের মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি ওহী শুরু হয়েছিল। ঐ সময় তিনি যে স্বপ্ন দেখতেন, তা প্রভাতের আলোর মতই সুস্পষ্ট হত। এরপর নির্জনতা তাঁর কাছে প্রিয় হয়ে উঠলো। তিনি হেরা গুহায় চলে যেতেন এবং পরিবার-পরিজনের কাছে আসার পূর্বে সেখানে একটানা কয়েকদিন পর্যন্ত তাহান্নুস করতেন। তাহান্নুস মানে বিশেষ নিয়মের ইবাদত। এজন্য তিনি কিছু খাবার নিয়ে যেতেন। এরপর তিনি খাদিজা (রাঃ) কাছে ফিরে এসে পুনরায় অনুরূপ কিছু খাবার নিয়ে যেতেন। অবশেষে হেরা গুহায় থাকা অবস্থায় আকস্মিক তাঁর কাছে সত্যবানী এসে পৌঁছল। ফেরেশতা তাঁর কাছে এসে বললেন, পড়ুন। রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি পড়তে পারিনা।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এরপর তিনি আমাকে খুব জোরে জড়িয়ে ধরলেন। এতে আমি খুব মারাত্মক কষ্ট অনুভব করলাম। এরপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, পড়ুন। আমি বললাম, আমি তো পড়তে পারিনা। রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এরপর তিনি দ্বিতীয়বারের মত আমাকে খুব জোরে জড়িয়ে ধরলেন। এবারও আমি খুব মারাত্মক কষ্ট অনুভব করলাম। এরপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, পড়ুন। আমি বললাম, আমি পড়তে পারিনা। এরপর তিনি তৃতীয়বারের মত আমাকে খুব জোরে জড়িয়ে ধরলেন। এবারও আমি খুব মারাত্মক কষ্ট অনুভব করলাম। তারপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, “পাঠ করুন আপনার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে আলাক (জমাটবাঁধা রক্তপিণ্ড) হতে। পাঠ করুন এবং আপনার রব মহিমান্বিত। যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না”।
এরপর রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই আয়াতগুলো নিয়ে বাড়ি ফিরলেন। এসময় তাঁর কাঁধের পেশী ভয়ে থরথর করে কাঁপছিল। খাদিজার কাছে পৌঁছেই তিনি বললেন, আমাকে বস্ত্রাবৃত কর, আমাকে বস্ত্রাবৃত কর। তখন সকলেই তাঁকে বস্ত্রাবৃত করল। অবশেষে তাঁর ভীতি কেটে গেলে তিনি খাদিজাকে বললেন, খাদিজা আমার কি হল? আমি আমার নিজের সম্পর্কে আশংকাবোধ করছি। এরপর তিনি তাঁকে সব খুলে বললেন। একথা শুনে খাদিজা (রাঃ) বললেন, কখনো নয়। আপনার জন্য সুসংবাদ। আল্লাহর কসম! আল্লাহ কখনো আপনাকে লাঞ্ছিত করবেন না। আপনি আত্মীয়দের খোঁজ-খবর নেন, সত্য কথা বলেন, অসহায় লোকদের কষ্ট লাঘব করে দেন, নিঃস্ব লোকদের উপার্জন করে দেন, মেহমানদের আপ্যায়ন করেন এবং সত্যের পথে আগত বিপদাপদে লোকদের সাহায্য করে থাকেন। তারপর খাদিজা তাঁকে নিয়ে তাঁর চাচাতো ভাই ওয়ারাকা ইবনু নাওফালের কাছে গেলেন। তিনি জাহেলী যুগে খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি আরবীতে বই লিখতেন। আর তিনি আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী আরবীতে ইনজীল কিতাব অনুবাদ করে লিখতেন। তিনি খুব বৃদ্ধ ও অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
খাদিজা (রাঃ) তাঁকে বললেন, হে আমার চাচাতো ভাই! আপনার ভাতিজা কি বলতে চায় তা শুনুন। ওয়ারাকা বললেন, হে আমার ভাতিজা! তুমি কি দেখেছ? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা কিছু দেখেছেন তা খুলে বললেন। ওয়ারাকা বললেন, এটা তো সেই ফেরেশতা যাকে পাঠানো হয়েছিল মূসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে। আহ! আমি যদি যুবক হতাম। আহ! সেসময় আমি যদি জীবিত থাকতাম। এরপর তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করলে রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সত্যই তারা কি আমাকে তাড়িয়ে দিবে? ওয়ারাকা বললেন, হ্যাঁ, তারা তোমাকে তাড়িয়ে দিবে। তুমি যে দাওয়াত নিয়ে এসেছ, এ দাওয়াত যেই নিয়ে এসেছে তাকেই কষ্ট দেয়া হয়েছে। তোমার নবুয়তকালে আমি জীবিত থাকলে অবশ্যই আমি বলিষ্ঠভাবে তোমাকে সাহায্য করতাম। কিন্তু কিছুদিন পরেই ওয়ারাকা ইন্তেকাল করলেন এবং ওহী নাযিলও বেশ কিছিদিন ধরে বন্ধ ছিল যে রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়লেন।
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওহী বন্ধ থাকা সময়কাল সম্পর্কে আলোচনার মাঝে বলেন, একবার আমি পথে হাঁটছিলাম, তখন আকাশ থেকে একটি আওয়াজ শুনতে পেলাম। মাথা উপরে তুলেই আমি দেখলাম, যে ফেরেশতা হেরা গুহায় আমার কাছে এসেছিলেন তিনি আসমান ও জমিনের মাঝে রক্ষিত একটি আসনে বসে আছেন। আমি এতে ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বাড়ি ফিরে এসে বললাম, আমাকে বস্ত্রাবৃত কর, আমাকে বস্ত্রাবৃত কর। সুতরাং সকলেই আমাকে বস্ত্রাবৃত করল। তখন আল্লাহ নাযিল করলেন, “হে বস্ত্রাবৃত! উঠুন অপবিত্রতা হতে দূরে থাকুন” (সূরা মুদ্দাসসির, আয়াত ০১-০৫)। আবূ সালামা (রাঃ) বলেন, আরবরা জাহেলী যুগে সেসব মূর্তির পূজা করত তাদের الرجز বলে ঐসব মূর্তিকে বুঝানো হয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর থেকে ওহীর সিলসিলা অব্যাহত থাকে।
حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ مَرْوَانَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رِزْمَةَ، أَخْبَرَنَا أَبُو صَالِحٍ، سَلْمَوَيْهِ قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ، أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَ أَوَّلُ مَا بُدِئَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الرُّؤْيَا الصَّادِقَةُ فِي النَّوْمِ، فَكَانَ لاَ يَرَى رُؤْيَا إِلاَّ جَاءَتْ مِثْلَ فَلَقِ الصُّبْحِ، ثُمَّ حُبِّبَ إِلَيْهِ الْخَلاَءُ فَكَانَ يَلْحَقُ بِغَارِ حِرَاءٍ فَيَتَحَنَّثُ فِيهِ ـ قَالَ وَالتَّحَنُّثُ التَّعَبُّدُ ـ اللَّيَالِيَ ذَوَاتِ الْعَدَدِ قَبْلَ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى أَهْلِهِ، وَيَتَزَوَّدُ لِذَلِكَ، ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى خَدِيجَةَ فَيَتَزَوَّدُ بِمِثْلِهَا، حَتَّى فَجِئَهُ الْحَقُّ وَهْوَ فِي غَارِ حِرَاءٍ فَجَاءَهُ الْمَلَكُ فَقَالَ اقْرَأْ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا أَنَا بِقَارِئٍ ". قَالَ " فَأَخَذَنِي فَغَطَّنِي حَتَّى بَلَغَ مِنِّي الْجُهْدُ ثُمَّ أَرْسَلَنِي. فَقَالَ اقْرَأْ. قُلْتُ مَا أَنَا بِقَارِئٍ. فَأَخَذَنِي فَغَطَّنِي الثَّانِيِةَ حَتَّى بَلَغَ مِنِّي الْجُهْدُ، ثُمَّ أَرْسَلَنِي. فَقَالَ اقْرَأْ. قُلْتُ مَا أَنَا بِقَارِئٍ. فَأَخَذَنِي فَغَطَّنِي الثَّالِثَةَ حَتَّى بَلَغَ مِنِّي الْجُهْدُ ثُمَّ أَرْسَلَنِي. فَقَالَ (اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ * خَلَقَ الإِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ * اقْرَأْ وَرَبُّكَ الأَكْرَمُ * الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ) ". الآيَاتِ إِلَى قَوْلِهِ (عَلَّمَ الإِنْسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ) فَرَجَعَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَرْجُفُ بَوَادِرُهُ حَتَّى دَخَلَ عَلَى خَدِيجَةَ فَقَالَ " زَمِّلُونِي زَمِّلُونِي ". فَزَمَّلُوهُ حَتَّى ذَهَبَ عَنْهُ الرَّوْعُ قَالَ لِخَدِيجَةَ " أَىْ خَدِيجَةُ مَا لِي، لَقَدْ خَشِيتُ عَلَى نَفْسِي ". فَأَخْبَرَهَا الْخَبَرَ. قَالَتْ خَدِيجَةُ كَلاَّ أَبْشِرْ، فَوَاللَّهِ لاَ يُخْزِيكَ اللَّهُ أَبَدًا، فَوَاللَّهِ إِنَّكَ لَتَصِلُ الرَّحِمَ، وَتَصْدُقُ الْحَدِيثَ، وَتَحْمِلُ الْكَلَّ، وَتَكْسِبُ الْمَعْدُومَ، وَتَقْرِي الضَّيْفَ، وَتُعِينُ عَلَى نَوَائِبِ الْحَقِّ. فَانْطَلَقَتْ بِهِ خَدِيجَةُ حَتَّى أَتَتْ بِهِ وَرَقَةَ بْنَ نَوْفَلٍ وَهْوَ ابْنُ عَمِّ خَدِيجَةَ أَخِي أَبِيهَا، وَكَانَ امْرَأً تَنَصَّرَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَكَانَ يَكْتُبُ الْكِتَابَ الْعَرَبِيَّ وَيَكْتُبُ مِنَ الإِنْجِيلِ بِالْعَرَبِيَّةِ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَكْتُبَ، وَكَانَ شَيْخًا كَبِيرًا قَدْ عَمِيَ فَقَالَتْ خَدِيجَةُ يَا ابْنَ عَمِّ اسْمَعْ مِنِ ابْنِ أَخِيكَ. قَالَ وَرَقَةُ يَا ابْنَ أَخِي مَاذَا تَرَى فَأَخْبَرَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَبَرَ مَا رَأَى. فَقَالَ وَرَقَةُ هَذَا النَّامُوسُ الَّذِي أُنْزِلَ عَلَى مُوسَى، لَيْتَنِي فِيهَا جَذَعًا، لَيْتَنِي أَكُونُ حَيًّا. ذَكَرَ حَرْفًا. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَوَمُخْرِجِيَّ هُمْ ". قَالَ وَرَقَةُ نَعَمْ لَمْ يَأْتِ رَجُلٌ بِمَا جِئْتَ بِهِ إِلاَّ أُوذِيَ، وَإِنْ يُدْرِكْنِي يَوْمُكَ حَيًّا أَنْصُرْكَ نَصْرًا مُؤَزَّرًا. ثُمَّ لَمْ يَنْشَبْ وَرَقَةُ أَنْ تُوُفِّيَ، وَفَتَرَ الْوَحْىُ، فَتْرَةً حَتَّى حَزِنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ شِهَابٍ فَأَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيِّ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ يُحَدِّثُ عَنْ فَتْرَةِ الْوَحْىِ قَالَ فِي حَدِيثِهِ " بَيْنَا أَنَا أَمْشِي سَمِعْتُ صَوْتًا مِنَ السَّمَاءِ فَرَفَعْتُ بَصَرِي، فَإِذَا الْمَلَكُ الَّذِي جَاءَنِي بِحِرَاءٍ جَالِسٌ عَلَى كُرْسِيٍّ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ فَفَرِقْتُ مِنْهُ فَرَجَعْتُ فَقُلْتُ زَمِّلُونِي زَمِّلُونِي ". فَدَثَّرُوهُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى (يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ * قُمْ فَأَنْذِرْ * وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ * وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ * وَالرِّجْزَ فَاهْجُرْ). قَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَهْىَ الأَوْثَانُ الَّتِي كَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ يَعْبُدُونَ. قَالَ ثُمَّ تَتَابَعَ الْوَحْىُ.
Narrated Aisha:
(the wife of the Prophet) The commencement (of the Divine Inspiration) to Allah's Messenger (ﷺ) was in the form of true dreams in his sleep, for he never had a dream but it turned out to be true and clear as the bright daylight. Then he began to like seclusions, so he used to go in seclusion in the cave of Hira where he used to worship Allah continuously for many nights before going back to his family to take the necessary provision (of food) for the stay. He come back to (his wife) Khadija again to take his provision (of food) likewise, till one day he received the Guidance while he was in the cave of Hira. An Angel came to him and asked him to read. Allah's Messenger (ﷺ) replied, "I do not know how to read." The Prophet (ﷺ) added, "Then the Angel held me (forcibly) and pressed me so hard that I felt distressed. Then he released me and again asked me to read, and I replied, 'I do not know how to read.' Thereupon he held me again and pressed me for the second time till I felt distressed. He then released me and asked me to read, but again I replied. 'I do not know how to read.' Thereupon he held me for the third time and pressed me till I got distressed, and then he released me and said, 'Read, in the Name of your Lord Who has created (all that exists), has created man out of a clot, Read! And your Lord is the Most Generous. Who has taught (the writing) by the pen, has taught man that which he knew not." (96.1-5). Then Allah's Messenger (ﷺ) returned with that experience; and the muscles between his neck and shoulders were trembling till he came upon Khadija (his wife) and said, "Cover me!" They covered him, and when the state of fear was over, he said to Khadija, "O Khadija! What is wrong with me? I was afraid that something bad might happen to me." Then he told her the story. Khadija said, "Nay! But receive the good tidings! By Allah, Allah will never disgrace you, for by Allah, you keep good relations with your Kith and kin, speak the truth, help the poor and the destitute, entertain your guests generously and assist those who are stricken with calamities." Khadija then took him to Waraqa bin Naufil, the son of Khadija's paternal uncle. Waraqa had been converted to Christianity in the Pre-lslamic Period and used to write Arabic and write of the Gospel in Arabic as much as Allah wished him to write. He was an old man and had lost his eyesight. Khadija said (to Waraqa), "O my cousin! Listen to what your nephew is going to say." Waraqa said, "O my nephew! What have you seen?" The Prophet (ﷺ) then described whatever he had seen. Waraqa said, "This is the same Angel (Gabriel) who was sent to Moses. I wish I were young." He added some other statement. Allah's Messenger (ﷺ) asked, "Will these people drive me out?" Waraqa said, "Yes, for nobody brought the like of what you have brought, but was treated with hostility. If I were to remain alive till your day (when you start preaching). then I would support you strongly." But a short while later Waraqa died and the Divine Inspiration was paused (stopped) for a while so that Allah's Messenger (ﷺ) was very much grieved.
Narrated Jabir bin `Abdullah:
While Allah's Messenger (ﷺ) was talking about the period of pause in revelation. he said in his narration. "Once while I was walking, all of a sudden I heard a voice from the sky. I looked up and saw to my surprise, the same Angel as had visited me in the cave of Hira.' He was sitting on a chair between the sky and the earth. I got afraid of him and came back home and said, Wrap me! Wrap me!" So they covered him and then Allah revealed: 'O you, wrapped up! Arise and warn and your Lord magnify, and your garments purify and dessert the idols.' (74.1-5) Abu Salama said, "(Rijz) are the idols which the people of the Pre-lslamic period used to worship." After this the revelation started coming frequently and regularly.