৪৩৬৯

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ وكان الإنسان أكثر شيء جدلا মানুষ অধিকাংশ ব্যপারেই বিতর্ক প্রিয়।

সুরা কাহাফ

মুজাহিদ (রহ.) বলেন تَقْرِضُهُمْ তাদের ছেড়ে যায়। وَكَانَ لَه ثُمُرٌ স্বর্ণ, রৌপ্য। অন্য হতে বর্ণিত যে, এটি الثَّمَرُ-এর বহুবচন। بَاخِعٌ ধ্বংসকারী أَسَفًا লজ্জায়। الْكَهْفُ পর্বতের গুহা। وَالرَّقِيْمُ লিপিবদ্ধ। مَرْقُوْمٌ লিখিত। الرَّقْمُ থেকে গঠিত। رَبَطْنَا عَلٰى قُلُوْبِهِمْ আমি তাদের অন্তরে সবর ঢেলে দিলাম। (অন্যত্র আল্লাহ্ তা’আলা বলেন) لَوْلَآ أَنْ رَّبَطْنَا عَلٰى قَلْبِهَا (যদি আমি তাঁর অন্তরে সবর ঢেলে না দিতাম) شَطَطًا সীমা অতিক্রম।

الْوَصِيْدُ আঙ্গিণা, এর বহুবচন وَصَائِدُ وَوُصُدٌ আর বলা হয় الْوَصِيْدُ দরজা, مَوْصَدَةَ আবদ্ধ ও আটকানো, آصَدَ الْبَابَ وَأَوْصَدَه উভয়ই ব্যবহার হয়। بَعَثْنَاهُمْ আমি তাদের জীবিত করলাম। أَزْكٰى প্রাচুর্য বলা হয় أَحَلُّ যা অধিক হালাল অর্থে ব্যবহৃত এবং বলা হয়, أَكْثَرُرَيْعًا অধিক পরিবর্ধিত। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, أُكْلَهَا অর্থাৎ ফল وَلَمْتَظْلِمْ ফলহ্রাস পায়নি। সা’ঈদ (রহ.) .....ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, الرَّقِيْمُ সীসার তৈরি ফলক; যার ওপর সে সময়ের রাজাদের নাম খোদিত করে এবং পরে তাঁর কোষাগারে রেখে দিত। فَضَرَبَ اللهُ عَلٰى اٰذَانِهِمْ তাঁরা ঘুমিয়ে পড়লেন। অন্যগণ বলেন, وَأَلَتْ تَئِلُ তোমরা নাজাহত পাবে। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, مَوْئِلًا সংরক্ষিত স্থান। لَا يَسْتَطِيْعُوْنَ سَمْعًا তারা বুঝে না।


৪৩৬৯। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা রাতের বেলা তার ও ফাতিমার (রাঃ) কাছে এসে বললেন, তোমরা কি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছনা? رَجْمًا بِالْغَيْبِ ব্যাপারটি অস্পষ্ট ছিল। فُرُطًا লজ্জিত। سُرَادِقُهَا তার বেষ্টনীর মত। অর্থাৎ ক্ষুদ্র কক্ষসমূহ, যা তাঁবু পরিবেষ্টন করে রেখেছে। يُحَاوِرُه শব্দটি مُحَاوَرَةِ থেকে গঠিত। অর্থ কথার-আদান-প্রদান। لٰكِنَّ هُوَ اللهُ رَبِّيْ (কিন্তু আল্লাহ্ই আমার প্রতিপালক।) এখানে আসলে ছিল لَكِنَّ أَنَا هُوَ اللهُ رَبِّيْ কিন্তু ’আলিফ’ বিলুপ্ত করে একটা ’নুন’ আর একটি ’নুনের’ সঙ্গে এদগাম যুক্ত করে দেয়া হয়েছে زَلَقًا অর্থ, যার ওপর পা টিকে থাকে না। هُنَالِكَ الْوِلَايَةُ (এ ক্ষেত্রে সাহায্য করার অধিকার) الْوِلَايَةُ এটি وَلِيِّ শব্দের মাসদার عُقْبَةً -عُقْبَى-عَاقِبَةً-عُقُبًا সবগুলো এই অর্থে ব্যবহৃত। এর অর্থ আখিরাত। قَبْلًا-قُبُلًا-قِبْلًا সম্মুখ لِيُدْحِضُوْا (সূচনা করা) الدَّحْضُ থেকে গঠিত। দূরীভূত করা, অর্থ পদস্খলন।

باب وكان الإنسان أكثر شيء جدلا

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ، أَخْبَرَهُ عَنْ عَلِيٍّ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَرَقَهُ وَفَاطِمَةَ قَالَ ‏"‏ أَلاَ تُصَلِّيَانِ ‏"‏‏.‏ ‏(‏رَجْمًا بِالْغَيْبِ‏)‏ لَمْ يَسْتَبِنْ‏.‏ ‏(‏فُرُطًا‏)‏ نَدَمًا ‏(‏سُرَادِقُهَا‏)‏ مِثْلُ السُّرَادِقِ، وَالْحُجْرَةِ الَّتِي تُطِيفُ بِالْفَسَاطِيطِ، ‏(‏يُحَاوِرُهُ‏)‏ مِنَ الْمُحَاوَرَةِ ‏(‏لَكِنَّا هُوَ اللَّهُ رَبِّي‏)‏ أَىْ لَكِنْ أَنَا هُوَ اللَّهُ رَبِّي ثُمَّ حَذَفَ الأَلِفَ وَأَدْغَمَ إِحْدَى النُّونَيْنِ فِي الأُخْرَى‏.‏ ‏(‏زَلَقًا‏)‏ لاَ يَثْبُتُ فِيهِ قَدَمٌ‏.‏ ‏(‏هُنَالِكَ الْوَلاَيَةُ‏)‏ مَصْدَرُ الْوَلِيِّ‏.‏ ‏(‏عُقُبًا‏)‏ عَاقِبَةٌ وَعُقْبَى وَعُقْبَةٌ وَاحِدٌ وَهْىَ الآخِرَةُ قِبَلاً وَقُبُلاً وَقَبَلاً اسْتِئْنَافًا ‏(‏لِيُدْحِضُوا‏)‏ لِيُزِيلُوا، الدَّحْضُ الزَّلَقُ‏.‏


Narrated `Ali: That one night Allah's Messenger (ﷺ) came to him and Fatima and said, "Don't you (both offer the (Tahajjud) prayer?" `Ali said, 'When Allah wishes us to get up, we get up." The Prophet (ﷺ) then recited: 'But man is more quarrelsome than anything.' (18.54)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ