লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৪১৭- হাঁচিদাতার জবাব দেয়া।
৯৩০। আবদুর রহমান ইবনে যিয়াদ ইবনে আনউম আল-ইফরীকী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, তারা মুআবিয়া (রাঃ)-এর আমলে নৌ-যুদ্ধে যোগদান করেন। পথিমধ্যে আমাদের জাহাজ আবু আইউব আনসারী (রাঃ)-র জাহাজের নিকটবর্তী হলে এবং আমাদের সকালের খাবার উপস্থিত হলে আমরা তার নিকট লোক পাঠালাম। তিনি এসে বলেন, তোমরা আমাকে দাওয়াত দিয়েছো। কিন্তু আমি রোযাদার। তবুও আমি তোমাদের দাওয়াত কবুল করেছি। কারণ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ এক মুসলিমের উপর তার অপর মুসলিম ভাইয়ের ছয়টি অনিবার্য দাবি রয়েছে। যদি কেউ তার একটিও লংঘন করে তবে সে তার ভাইয়ের প্রতি একটি অপরিহার্য কর্তব্য পালন করলো না।
(১) তার সাথে সাক্ষাত হলে তাকে সালাম দিবে। (২) সে তাকে দাওয়াত দিলে তা কবুল করবে। (৩) সে হাঁচি দিলে (ইয়ারহামুকাল্লাহ বলে) তার জবাব দিবে। (৪) সে রোগগ্ৰস্ত হলে তাকে দেখতে যাবে। (৫) সে মৃত্যুবরণ করলে তার জানাযায় অংশগ্রহণ করবে এবং (৬) সে পরামর্শ চাইলে তাকে উত্তম পরামর্শ দিবে।
রাবী বলেন, আমাদের সাথে (ঐ অভিযানে) একজন রসিক লোকও ছিলেন। তিনি আমাদের সাথে আহাররত এক ব্যক্তিকে বলেন, আল্লাহ তোমাকে অতিশয় উত্তম প্রতিদান দিন। তাকে বারবার এরূপ বললে সে ক্ষেপে যেতো। রসিক ব্যক্তি আবু আইউব (রাঃ)-কে বলেন, এই লোকটি সম্পর্কে আপনি কি বলেন, আমি তাকে ’জাযাকাল্লাহু খায়রান ওয়া বাররান’ বললে সে ক্ষেপে যায় এবং আমাকে গালি দেয়। আবু আইউব (রাঃ) বলেন, আমরা বলতাম, কল্যাণ যার জন্য বাঞ্ছনীয় নয় অমঙ্গলই তার জন্য বাঞ্ছনীয়। অতএব তাকে এর উল্টা বলো। ঐ লোকটি তার নিকট এলে রসিক ব্যক্তি তাকে বলেন, জাযাকাল্লাহু শাররান ওয়া আররান (আল্লাহ তোমাকে অমঙ্গল ও কঠোর প্রতিদান দিন)। লোকটি হেসে দিলো এবং প্রসন্ন হলো আর বললো, তুমি বুঝি তোমার রসিকতা ত্যাগ করতে পারো না। তিনি বলেন, আল্লাহ আবু আইউব আনসারী (রাঃ)-কে উত্তম প্রতিদান দিন (তাহযীবুল কামাল)।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلامٍ , قَالَ : أَخْبَرَنَا الْفَزَارِيُّ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَنْعَمَ الإِفْرِيقِيِّ , قَالَ : حَدَّثَنِي أَبِي ، أَنَّهُمْ كَانُوا غُزَاةً فِي الْبَحْرِ زَمَنَ مُعَاوِيَةَ ، فَانْضَمَّ مَرْكَبُنَا إِلَى مَرْكَبِ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ ، فَلَمَّا حَضَرَ غَدَاؤُنَا أَرْسَلْنَا إِلَيْهِ ، فَأَتَانَا , فَقَالَ : دَعَوْتُمُونِي وَأَنَا صَائِمٌ ، فَلَمْ يَكُنْ لِي بُدٌّ مِنْ أَنْ أُجِيبَكُمْ ، لأَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ : " إِنَّ لِلْمُسْلِمِ عَلَى أَخِيهِ سِتَّ خِصَالٍ وَاجِبَةٍ ، إِنْ تَرَكَ مِنْهَا شَيْئًا فَقَدْ تَرَكَ حَقًّا وَاجِبًا لأَخِيهِ عَلَيْهِ : يُسَلِّمُ عَلَيْهِ إِذَا لَقِيَهُ ، وَيُجِيبُهُ إِذَا دَعَاهُ ، وَيُشَمِّتُهُ إِذَا عَطَسَ ، وَيَعُودُهُ إِذَا مَرِضَ ، وَيَحْضُرُهُ إِذَا مَاتَ ، وَيَنْصَحُهُ إِذَا اسْتَنْصَحَهُ " ، قَالَ : وَكَانَ مَعَنَا رَجُلٌ مَزَّاحٌ , يَقُولُ لِرَجُلٍ أَصَابَ طَعَامَنَا : جَزَاكَ اللَّهُ خَيْرًا وَبِرًّا ، فَغَضِبَ عَلَيْهِ حِينَ أَكْثَرَ عَلَيْهِ ، فَقَالَ لأَبِي أَيُّوبَ : مَا تَرَى فِي رَجُلٍ إِذَا قُلْتُ لَهُ : جَزَاكَ اللَّهُ خَيْرًا وَبِرًّا ، غَضِبَ وَشَتَمَنِي ؟ ، فَقَالَ أَبُو أَيُّوبَ : إِنَّا كُنَّا نَقُولُ : إِنَّ مَنْ لَمْ يُصْلِحْهُ الْخَيْرُ أَصْلَحْهُ الشَّرُّ ، فَاقْلِبْ عَلَيْهِ ، فَقَالَ لَهُ حِينَ أَتَاهُ : جَزَاكَ اللَّهُ شَرًّا وَعَرًّا ، فَضَحِكَ وَرَضِيَ ، وَقَالَ : مَا تَدَعُ مُزَاحَكَ ، فَقَالَ الرَّجُلُ : جَزَى اللَّهُ أَبَا أَيُّوبَ الأَنْصَارِيَّ خَيْرًا
'Abdu'r-Rahman ibn Ziyad ibn An'am al-Ifriqi said, "My father told me that they were taking part in a sea raid in the time of Mu'awiya. He said, 'Our ship was right up against the ship of Abu Ayyub al-Ansari. When it was time for our midday meal, we invited him and he came over. He said, "You invited me, but even though I am fasting, I cannot avoid accepting your invitation because I heard the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, say, 'A Muslim owes six things to his brother. If he neglects any of them, he has neglected an obligatory duty owed to his brother. He should return his greeting when he greets him. He should accept when he gives him an invitation. He should ask for mercy on him when he sneezes. He should give him good counsel when he asks him for advice.'"'"