লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২২৭৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয় সাফা ও মারওয়া হল আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত । অতএব যে কেউ কা‘বা ঘরে হজ্জ বা ‘উমরাহ সম্পন্ন করে এ দুটির মধ্যে সায়ী (যাতায়াত) করলে কোন পাপ নেই । আর কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোন নেক কাজ করলে আল্লাহ তার পুরস্কার দেবেন, তিনি সর্বজ্ঞ । (সূরাহ-আল বাক্বারা ২/১৫৮)। শা’আয়ির (شَعَائِرِ) শারাতুনের বহু বচন। অর্থ নিদর্শন। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, সাফওয়ান অর্থ পাথর; বলা হতো এমন পাথর যা কোন কিছু উৎপন্ন করে না। একবচনে صفوانة হয়ে থাকে। ব্যবহৃত হয় صفا বহুবচনে।
৪১৪৩। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... উরওয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম আর সে সময় আমি অল্প বয়স্ক ছিলাম। মহান আল্লাহর বাণীঃإِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ এ আয়াত সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? "সাফা এবং মারওয়া পর্বতদ্বয় আল্লাহ তা’আলার নিদর্শন সমূহের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই যে বায়তুল্লাহর হাজ্জ (হজ্জ) বা উমরা ইচ্ছা করে তার জন্য উভয় পর্বতের মধ্যে সায়ী করাতে কোন দোষ নেই।" (২ঃ ১৫৮) আমি মনে করি উক্ত দুই পর্বত সায়ী না করণের কোন ব্যাক্তির উপর গুনাহ বর্তাবে না। তখন আয়িশা (রাঃ) বললেন, কখনই এরূপ নয়। তুমি যা বলছ যদি তাই হতো তা হলে বলা হতো এভাবে فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا "উভয় পর্বত তাওয়াফ না করলে কোন গুনাহ বর্তাবে না। বস্ত্তত এই আয়াত নাযিল হয়েছে আনসারদের শানে। তারা ’মানাত’ এর পূজা করত। আর ’মানাত’ ছিল কুদায়েদের পথে অবস্থিত। আনসারগণ সাফা ও মারওয়ার মধ্যে সায়ী করা মন্দ জানতো। ইসলামের আগমনের পর তারা এ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করল। তখন আল্লাহ উক্ত আয়াত নাযিল করেন।
باب قوله إن الصفا والمروة من شعائر الله فمن حج البيت أو اعتمر فلا جناح عليه أن يطوف بهما ومن تطوع خيرا فإن الله شاكر عليم شعائر علامات واحدتها شعيرة وقال ابن عباس الصفوان الحجر ويقال الحجارة الملس التي لا تنبت شيئا والواحدة صفوانة بمعنى الصفا والصفا للجميع
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا يَوْمَئِذٍ حَدِيثُ السِّنِّ أَرَأَيْتِ قَوْلَ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى (إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا) فَمَا أُرَى عَلَى أَحَدٍ شَيْئًا أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا. فَقَالَتْ عَائِشَةُ كَلاَّ لَوْ كَانَتْ كَمَا تَقُولُ كَانَتْ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا، إِنَّمَا أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِي الأَنْصَارِ، كَانُوا يُهِلُّونَ لِمَنَاةَ، وَكَانَتْ مَنَاةُ حَذْوَ قُدَيْدٍ، وَكَانُوا يَتَحَرَّجُونَ أَنْ يَطُوفُوا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، فَلَمَّا جَاءَ الإِسْلاَمُ سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ (إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا)
Narrated `Urwa:
I said to `Aisha, the wife of the Prophet, and I was at that time a young boy, "How do you interpret the Statement of Allah: "Verily, Safa and Marwa (i.e. two mountains at Mecca) are among the Symbols of Allah." So it is not harmful of those who perform the Hajj to the House of Allah) or perform the Umra, to ambulate (Tawaf) between them. In my opinion it is not sinful for one not to ambulate (Tawaf) between them." `Aisha said, "Your interpretation is wrong for as you say, the Verse should have been: "So it is not harmful of those who perform the Hajj or Umra to the House, not to ambulate (Tawaf) between them.' This Verse was revealed in connection with the Ansar who (during the Pre-Islamic Period) used to visit Manat (i.e. an idol) after assuming their Ihram, and it was situated near Qudaid (i.e. a place at Mecca), and they used to regard it sinful to ambulate between Safa and Marwa after embracing Islam. When Islam came, they asked Allah's Messenger (ﷺ) about it, whereupon Allah revealed:-- "Verily, Safa and Marwa (i.e. two mountains at Mecca) are among the Symbols of Allah. So it is not harmful of those who perform the Hajj of the House (of Allah) or perform the Umra, to ambulate (Tawaf) between them." (2.158)