লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২১৩৪. যায়েদ ইবন আমর ইবন নুফায়ল (রাঃ) এর ঘটনা
بَاب ذِكْرُ هِنْدٍ بِنْتِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا
وَقَالَ عَبْدَانُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ جَاءَتْ هِنْدٌ بِنْتُ عُتْبَةَ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا كَانَ عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ مِنْ أَهْلِ خِبَاءٍ أَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ يَذِلُّوا مِنْ أَهْلِ خِبَائِكَ ثُمَّ مَا أَصْبَحَ الْيَوْمَ عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ أَهْلُ خِبَاءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ أَنْ يَعِزُّوا مِنْ أَهْلِ خِبَائِكَ قَالَتْ وَأَيْضًا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ مِسِّيكٌ فَهَلْ عَلَيَّ حَرَجٌ أَنْ أُطْعِمَ مِنْ الَّذِي لَهُ عِيَالَنَا قَالَ لَا أُرَاهُ إِلَّا بِالْمَعْرُوفِ
২১৩৩. পরিচ্ছেদঃ উতবা ইবনু রাবী’আর কন্যা হিন্দ-এর আলোচনা।
’আবদান (রহঃ) .... আয়েশা (রাঃ) বলেন, উতবার মেয়ে হিন্দ (রাঃ) এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ এক সময় আমার মনের অবস্থা (এত খারাপ ছিল যে) পৃথিবীর বুকে কোন পরিবারের লাঞ্ছিত হতে দেখা আমার নিকট আপনার পরিবারের লাঞ্ছিত হতে দেখার চেয়ে অধিক আকাঙ্ক্ষিত ছিল না। কিন্তু এখন আমার অবস্থা এমন হয়েছে যে দুনিয়ার বুকে কোন পরিবারের সন্মনিত হতে দেখা আমার নিকট আপনার পরিবারের সন্মানিত দেখার চেয়ে অধিকতর প্রিয় নয়। তিনি বললেন, সেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ। তারপর সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আবূ সুফিয়ান একজন কৃপণ ব্যক্তি। (অনুমতি ব্যতীত) যদি তার মাল আমি ছেলে-মেয়েদের জন্য ব্যয় করি তবে তাতে কি আমার কিছু (গুনাহ) হবে? তিনি বললেন, না, কিন্তু প্রয়োজন মত (যথাযথ ভাবে) ব্যয় করা হলে (আপত্তি নেই)
৩৫৫১ মুহাম্মদ ইবনু আবূ বকর (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, ওহী নাযিল হওয়ার পূর্বে একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কার নিম্নাঞ্চলের বালদা নামক স্থানে যায়েদ ইবনু ’আমর ইবনু নুফায়েলের সাথে সাক্ষাত করলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্মুখে আহার্য পূর্ণ একটি ’খানচা’ পেশ করা হল। তিনি তা থেকে কিছু খেতে অস্বীকৃতি জানালেন। এরপর যায়েদ (রাঃ) বললেন, আমিও ঐ সব জন্তুর মাংস খাই না যা তোমরা তোমাদের দেব-দেবীর নামে যবাই কর। আল্লাহর নামে যবাইকৃত ছাড়া অন্যের নামে যবাই করা জন্তুর মাংস আমি কিছুতেই খাইনা। যায়েদ ইবনু ’আমর কুরাইশের যবাইকৃত জন্তু সম্পর্কে তাদের উপর দোষারোপ করতেন এবং বলতেন; বকরীকে সৃষ্টি করলেন আল্লাহ, তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করলেন। ভূমি থেকে উৎপন্ন করলেন, তৃণ-লতা অথচ তোমরা আল্লাহ্ তা’আলার সমূহদান অস্বীকার করে প্রতিমার প্রতি সন্মান করে আল্লাহর নাম ছাড়া অন্যের নামে যবেহ করছ।
মূসা (সনদসহ) বললেন, সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। মূসা (রহঃ) বলেন, আমার জানামতে তিনি ইবনু উমর (রাঃ) থেকে এ ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন যে, যায়দ ইবনু আমর সঠিক তাওহীদের উপর প্রতিষ্ঠিত দ্বীনের তালাশে সিরিয়ায় গমন করলেন। সে সময় একজন ইয়াহুদী আলেমের সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হল। তিনি তার নিকট তাদের দ্বীন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন এবং বললেন, হয়ত আমি তোমাদের দ্বীনের অনুসারী হব, আমাকে সে সম্পর্কে অবহিত কর। তিনি বললেন, তুমি আমাদের দ্বীন গ্রহণ করবেনা। গ্রহণ করলে যে পরিমান গ্রহণ করবে সে পরিমান আল্লাহর গযব তোমার উপর আপতিত হবে। যায়েদ বললেন, আমি তো আল্লাহর গযব থেকে পালিয়ে আসছি। আমি যথাসাধ্য আল্লাহর সামান্যতম গযবকেও আমি বহন করব না। আর আমার ইহা বহনের শক্তি-সামর্থ্য আছে?
তুমি কি আমাকে এ ছাড়া অন্য কোন পথের সন্ধান দিতে পার? সে বলল, আমি তা জানিনা, তবে তুমি দ্বীনে হানীফ গ্রহণ করে নাও। যায়েদ জিজ্ঞাসা করলেন, (দ্বীনে) হানীফ কি? সে বলল, তা হল ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) এর দ্বীন। তিনি ইয়াহুদীও ছিলেন না নাসারাও ছিলেন না। তিনি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত করতেন না। তখন যায়েদ বের হলেন এবং তাঁর সাথে একজন খৃষ্টান আলিমের সাক্ষাত হল। ইয়াহুদী ’আলীমের নিকট ইতিপূর্বে তিনি যা যা বলেছিলেন তার কাছেও তা বললেন। তিনি বললেন, তুমি আমাদের দ্বীন গ্রহণ করবেনা। তিনি বললেন, তুমি আমাদের দ্বীন গ্রহণ করবে, গ্রহণ করলে যে পরিমান গ্রহণ করবে সে পরিমান আল্লাহর লা’নত তোমার উপর আপতিত হবে। যায়েদ বললেন, আমি তো আল্লাহর লা’নত থেকে পালিয়ে এসেছি এবং আমি আল্লাহর লা’নত ও গযবের সামান্যতম অংশ বহন করতে রাযী নই, এবং আমি তা বহনের শক্তিও রাখি? তুমি কি আমাকে এছাড়া অন্য কোন পথের সন্ধান দেবে। সে বলল, আমি অন্য কিছু জানিনা। শুধু এতটুকু বলতে পারি যে, তুমি দ্বীনে হানীফ গ্রহণ কর। তিনি বললেন, হানীফ কী? উত্তরে তিনি বললেন, তা হল ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) এর দ্বীন, তিনি ইয়াহুদীও ছিলেন না এবং খৃষ্টানও ছিলেন না এবং আল্লাহ্ ছাড়া আর কারো ইবাদত করতেন না।
যায়েদ যখন ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) সম্পর্কে তাদের মন্তব্য জানতে পারলেন, তখন তিনি বেরিয়ে পড়ে দু’হাত উঠিয়ে বললেন, হে আল্লাহ্! আমি তোমাকে সাক্ষী রেখে বলছি আমি দ্বীনে ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) এর উপর আছি। নায়স (রহঃ) বলেন হিশাম তাঁর পিতাসুত্রে তিনি আসবা বিনত আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করতে গিয়ে আমার কাছে লিখেছেন যে, তিনি (আসমা) বলেন, আমি দেখলাম যায়েদ ইবনু আমর ইবনু নুফায়লকে কা’বা শরীফের দেয়ালে পিঠ লাগিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন এবং বলছেন, হে কুরাইশ গোত্র, আল্লাহর কসম, আমি ব্যতীত তোমাদের কেউ-ই দ্বীনে ইব্রাহীমের উপর নেই। আর তিনিতো যেসব কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়ার জন্য নেওয়া হত তাদেরকে তিনি বাঁচাবার ব্যবস্থা করতেন। যখন কোন লোক তার কন্যা সন্তানকে হত্যা করার জন্য ইচ্ছা করত, তখন তিনি এসে বলতেন, হত্যা করো না আমি তার জীবিকার ব্যবস্থার ব্যয়ভার গ্রহণ করবো। এ বলে তিনি শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতেন। শিশুটি বড় হলে পর তার পিতাকে বলতেন, তুমি যদি তোমার কন্যাকে নিয়ে যেতে চাও, তাহলে আমি দিয়ে দেব। আর তুমি যদি নিতে ইচ্ছুক না হও, তবে আমিই –এর যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করতে থাকব।
হাদিস নং - ৩৮২৫, ৩৮২৬, ৩৮২৭ ও ৩৮২৮
باب حَدِيثُ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، رضى الله عنهما أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَقِيَ زَيْدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ بِأَسْفَلِ بَلْدَحَ، قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْوَحْىُ فَقُدِّمَتْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم سُفْرَةٌ، فَأَبَى أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا ثُمَّ قَالَ زَيْدٌ إِنِّي لَسْتُ آكُلُ مِمَّا تَذْبَحُونَ عَلَى أَنْصَابِكُمْ، وَلاَ آكُلُ إِلاَّ مَا ذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ. وَأَنَّ زَيْدَ بْنَ عَمْرٍو كَانَ يَعِيبُ عَلَى قُرَيْشٍ ذَبَائِحَهُمْ، وَيَقُولُ الشَّاةُ خَلَقَهَا اللَّهُ، وَأَنْزَلَ لَهَا مِنَ السَّمَاءِ الْمَاءَ، وَأَنْبَتَ لَهَا مِنَ الأَرْضِ، ثُمَّ تَذْبَحُونَهَا عَلَى غَيْرِ اسْمِ اللَّهِ إِنْكَارًا لِذَلِكَ وَإِعْظَامًا لَهُ. قَالَ مُوسَى حَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَلاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ تُحُدِّثَ بِهِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ زَيْدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ خَرَجَ إِلَى الشَّأْمِ، يَسْأَلُ عَنِ الدِّينِ وَيَتْبَعُهُ فَلَقِيَ عَالِمًا مِنَ الْيَهُودِ، فَسَأَلَهُ عَنْ دِينِهِمْ، فَقَالَ إِنِّي لَعَلِّي أَنْ أَدِينَ دِينَكُمْ، فَأَخْبِرْنِي. فَقَالَ لاَ تَكُونُ عَلَى دِينِنَا حَتَّى تَأْخُذَ بِنَصِيبِكَ مِنْ غَضَبِ اللَّهِ. قَالَ زَيْدٌ مَا أَفِرُّ إِلاَّ مِنْ غَضَبِ اللَّهِ، وَلاَ أَحْمِلُ مِنْ غَضَبِ اللَّهِ شَيْئًا أَبَدًا، وَأَنَّى أَسْتَطِيعُهُ فَهَلْ تَدُلُّنِي عَلَى غَيْرِهِ قَالَ مَا أَعْلَمُهُ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ حَنِيفًا. قَالَ زَيْدٌ وَمَا الْحَنِيفُ قَالَ دِينُ إِبْرَاهِيمَ لَمْ يَكُنْ يَهُودِيًّا وَلاَ نَصْرَانِيًّا وَلاَ يَعْبُدُ إِلاَّ اللَّهَ. فَخَرَجَ زَيْدٌ فَلَقِيَ عَالِمًا مِنَ النَّصَارَى، فَذَكَرَ مِثْلَهُ، فَقَالَ لَنْ تَكُونَ عَلَى دِينِنَا حَتَّى تَأْخُذَ بِنَصِيبِكَ مِنْ لَعْنَةِ اللَّهِ. قَالَ مَا أَفِرُّ إِلاَّ مِنْ لَعْنَةِ اللَّهِ، وَلاَ أَحْمِلُ مِنْ لَعْنَةِ اللَّهِ وَلاَ مِنْ غَضَبِهِ شَيْئًا أَبَدًا، وَأَنَّى أَسْتَطِيعُ فَهَلْ تَدُلُّنِي عَلَى غَيْرِهِ قَالَ مَا أَعْلَمُهُ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ حَنِيفًا. قَالَ وَمَا الْحَنِيفُ قَالَ دِينُ إِبْرَاهِيمَ لَمْ يَكُنْ يَهُودِيًّا وَلاَ نَصْرَانِيًّا وَلاَ يَعْبُدُ إِلاَّ اللَّهَ. فَلَمَّا رَأَى زَيْدٌ قَوْلَهُمْ فِي إِبْرَاهِيمَ ـ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ـ خَرَجَ، فَلَمَّا بَرَزَ رَفَعَ يَدَيْهِ فَقَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَشْهَدُ أَنِّي عَلَى دِينِ إِبْرَاهِيمَ. وَقَالَ اللَّيْثُ كَتَبَ إِلَىَّ هِشَامٌ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَتْ رَأَيْتُ زَيْدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ قَائِمًا مُسْنِدًا ظَهْرَهُ إِلَى الْكَعْبَةِ يَقُولُ يَا مَعَاشِرَ قُرَيْشٍ، وَاللَّهِ مَا مِنْكُمْ عَلَى دِينِ إِبْرَاهِيمَ غَيْرِي، وَكَانَ يُحْيِي الْمَوْءُودَةَ، يَقُولُ لِلرَّجُلِ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَقْتُلَ ابْنَتَهُ لاَ تَقْتُلْهَا، أَنَا أَكْفِيكَهَا مَئُونَتَهَا. فَيَأْخُذُهَا فَإِذَا تَرَعْرَعَتْ قَالَ لأَبِيهَا إِنْ شِئْتَ دَفَعْتُهَا إِلَيْكَ، وَإِنْ شِئْتَ كَفَيْتُكَ مَئُونَتَهَا.
Narrated 'Abdullah bin 'Umar:
The Prophet (ﷺ) met Zaid bin 'Amr bin Nufail in the bottom of (the valley of) Baldah before any Divine Inspiration came to the Prophet. A meal was presented to the Prophet (ﷺ) but he refused to eat from it. (Then it was presented to Zaid) who said, "I do not eat anything which you slaughter in the name of your stone idols. I eat none but those things on which Allah's Name has been mentioned at the time of slaughtering." Zaid bin 'Amr used to criticize the way Quraish used to slaughter their animals, and used to say, "Allah has created the sheep and He has sent the water for it from the sky, and He has grown the grass for it from the earth; yet you slaughter it in other than the Name of Allah. He used to say so, for he rejected that practice and considered it as something abominable.
Narrated Ibn 'Umar:
Zaid bin 'Amr bin Nufail went to Sham, inquiring about a true religion to follow. He met a Jewish religious scholar and asked him about their religion. He said, "I intend to embrace your religion, so tell me some thing about it." The Jew said, "You will not embrace our religion unless you receive your share of Allah's Anger." Zaid said, "'I do not run except from Allah's Anger, and I will never bear a bit of it if I have the power to avoid it. Can you tell me of some other religion?" He said, "I do not know any other religion except the Hanif." Zaid enquired, "What is Hanif?" He said, "Hanif is the religion of (the prophet) Abraham who was neither a Jew nor a Christian, and he used to worship None but Allah (Alone)" Then Zaid went out and met a Christian religious scholar and told him the same as before. The Christian said, "You will not embrace our religion unless you get a share of Allah's Curse." Zaid replied, "I do not run except from Allah's Curse, and I will never bear any of Allah's Curse and His Anger if I have the power to avoid them. Will you tell me of some other religion?" He replied, "I do not know any other religion except Hanif." Zaid enquired, "What is Hanif?" He replied, Hanif is the religion of (the prophet) Abraham who was neither a Jew nor a Christian and he used to worship None but Allah (Alone)" When Zaid heard their Statement about (the religion of) Abraham, he left that place, and when he came out, he raised both his hands and said, "O Allah! I make You my Witness that I am on the religion of Abraham."
Narrated Asma bint Abi Bakr:
I saw Zaid bin Amr bin Nufail standing with his back against the Ka'ba and saying, "O people of Quraish! By Allah, none amongst you is on the religion of Abraham except me." He used to preserve the lives of little girls: If somebody wanted to kill his daughter he would say to him, "Do not kill her for I will feed her on your behalf." So he would take her, and when she grew up nicely, he would say to her father, "Now if you want her, I will give her to you, and if you wish, I will feed her on your behalf."