লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৯১/৮. একাধিক লোকের একই স্বপ্ন দেখা।
بَاب رُؤْيَا يُوسُفَ
৯১/৬. অধ্যায়: ইউসুফ (আঃ)-এর স্বপ্ন।
وَقَوْلِهِ تَعَالَى : (إِذْ قَالَ يُوسُفُ لِأَبِيهِ يَا أَبَتِ إِنِّي رَأَيْتُ أَحَدَ عَشَرَ كَوْكَبًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ رَأَيْتُهُمْ لِي سَاجِدِينَ قَالَ يَا بُنَيَّ لاَ تَقْصُصْ رُؤْيَاكَ عَلٰى إِخْوَتِكَ فَيَكِيدُوا لَكَ كَيْدًا إِنَّ الشَّيْطَانَ لِلْإِنْسَانِ عَدُوٌّ مُبِينٌ وَكَذٰلِكَ يَجْتَبِيكَ رَبُّكَ وَيُعَلِّمُكَ مِنْ تَأْوِيلِ الأَحَادِيثِ وَيُتِمُّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكَ وَعَلٰى آلِ يَعْقُوبَ كَمَا أَتَمَّهَا عَلَى أَبَوَيْكَ مِنْ قَبْلُ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ إِنَّ رَبَّكَ عَلِيمٌ حَكِيمٌ وَقَوْلِهِ تَعَالٰى يَا أَبَتِ هٰذَا تَأْوِيلُ رُؤْيَايَ مِنْ قَبْلُ قَدْ جَعَلَهَا رَبِّي حَقًّا وَقَدْ أَحْسَنَ بِي إِذْ أَخْرَجَنِي مِنْ السِّجْنِ وَجَاءَ بِكُمْ مِنْ الْبَدْوِ مِنْ بَعْدِ أَنْ نَزَغَ الشَّيْطَانُ بَيْنِي وَبَيْنَ إِخْوَتِي إِنَّ رَبِّي لَطِيفٌ لِمَا يَشَآءُ إِنَّه” هُوَ الْعَلِيمُ الْحَكِيمُ رَبِّ قَدْ آتَيْتَنِي مِنْ الْمُلْكِ وَعَلَّمْتَنِي مِنْ تَأْوِيلِ الأَحَادِيثِ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ أَنْتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ) قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ فَاطِرٌ وَالْبَدِيعُ وَالْمُبْدِعُ وَالْبَارِئُ وَالْخَالِقُ وَاحِدٌ (مِنَ الْبَدْو)ِ بَادِيَةٍ.
এবং আল্লাহর বাণীঃ স্মরণ কর, ইউসুফ যখন তার পিতাকে বলেছিল, ’হে আববাজান! আমি (স্বপ্নে) দেখেছি এগারটি তারকা আর সূর্য ও চন্দ্র; দেখলাম তারা আমাকে সিজদা করছে।’ তার পিতা বললেন, ’হে আমার পুত্র! তোমার স্বপ্নের কথা তোমার ভাইদের কাছে বর্ণনা করো না। যদি কর তাহলে তারা তোমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করবে। শয়তান তো মানুষের প্রকাশ্য দুশমন। (স্বপ্নে যেমন দেখেছ) এভাবে তোমার প্রতিপালক তোমাকে মনোনীত করবেন, তোমাকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিক্ষা দিবেন এবং তিনি তাঁর অনুগ্রহ তোমার প্রতি আর ইয়া’কূব পরিবারের প্রতি পূর্ণ করবেন যেভাবে তিনি তা পূর্বে তোমার পিতৃ-পুরুষ ইব্রাহীম ও ইসহাকের প্রতি পূর্ণ করেছিলেন, নিশ্চয়ই তোমার রব্ব সর্বজ্ঞ, বড়ই প্রজ্ঞাবান।- (সূরাহ ইউসুফ ১২/৪-৬)।
এবং আল্লাহর বাণীঃ ’সে তার পিতামাতাকে সিংহাসনে উঠিয়ে নিল আর সকলে তার সম্মানে সিজদা্য় ঝুঁকে পড়ল। ইউসুফ বলল, ’হে পিতা! এ-ই হচ্ছে আমার সে আগের দেখা স্বপ্নের ব্যাখ্যা। আমার রবব একে সত্যে পরিণত করেছেন, তিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন যে, তিনি আমাকে কয়েদখানা থেকে বের করে এনেছেন। আর শয়তান আমার আর আমার ভাইদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার পরও তিনি আপনাদেরকে মরু অঞ্চল থেকে এখানে (মিশরে) এনে দিয়েছেন। আমার রবব যা করতে ইচ্ছে করেন তা সূক্ষ্ম উপায়ে বাস্তবায়িত করে থাকেন, তিনি বড়ই বিজ্ঞ, বড়ই প্রজ্ঞাময়। হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে রাজত্ব দান করেছ, আর আমাকে বিভিন্ন কথার ব্যাখ্যা বিদ্যা শিখিয়েছ। আসমান যমীনের সৃষ্টিকর্তা! তুমিই দুনিয়া আর আখিরাতে আমার অভিভাবক, তুমি মুসলিম অবস্থায় আমার মৃত্যু দান করো এবং সৎকর্মশীলদের মধ্যে আমাকে অন্তর্ভুক্ত করো।’- (সূরাহ ইউসুফ ১২/১০০-১০১)।
আবূ আবদুল্লাহ বলেন, فَاطِرٌ وَالْبَدِيعُ وَالْمُبْدِعُ وَالْبَارِئُ وَالْخَالِقُ وَاحِدٌ সবগুলোর অর্থ একই। (مِنَ الْبَدْو) অর্থ পল্লী হতে।
بَاب رُؤْيَا إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلاَم
৯১/৭. অধ্যায়: ইব্রাহীম (আঃ)-এর স্বপ্ন
وَقَوْلُهُ تَعَالَى : (فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يَا بُنَيَّ إِنِّي أَرٰى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانْظُرْ مَاذَا تَرٰى قَالَ يَا أَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِي إِنْ شَآءَ اللهُ مِنْ الصَّابِرِينَ فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ وَنَادَيْنَاهُ أَنْ يَا إِبْرَاهِيمُ قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا إِنَّا كَذٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ)
এবং আল্লাহর বাণীঃ ’’অতঃপর সে যখন তার পিতার সাথে চলাফিরা করার বয়সে পৌঁছল, তখন ইব্রাহীম বলল, ’বৎস! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি তোমাকে যবেহ করছি, এখন বল, তোমার অভিমত কী? সে বলল, ’হে পিতঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে আপনি তাই করুন, আল্লাহ চাইলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীলই পাবেন। দু’জনেই যখন আনুগত্যে মাথা নুইয়ে দিল। আর ইব্রাহীম তাকে উপুড় ক’রে শুইয়ে দিল। তখন আমি তাকে ডাক দিলাম, ’হে ইব্রাহীম! স্বপ্নে দেয়া আদেশ তুমি সত্যে পরিণত করেই ছাড়লে। এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।’’ (সূরাহ আস্-সাফফাত ৩৭/১০২-১০৫)
قَالَ مُجَاهِدٌ أَسْلَمَا سَلَّمَا مَا أُمِرَا بِهِ (وَتَلَّهُ) وَضَعَ وَجْهَهُ بِالأَرْضِ
মুজাহিদ (রহ.) বলেন, ’আসলামা’ শব্দের অর্থ তাদেরকে যে বিষয়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল তা তারা মেনে নিল। আর ’তাল্লাহু’ শব্দের অর্থ তার চেহারা মাটিতে রাখল।
৬৯৯১. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, একদল লোককে শবে কদর (রমাযানের) শেষ সাত রাতের মধ্যে রয়েছে বলে স্বপ্নে দেখানো হয়েছে। আর কিছু সংখ্যক লোককে তা শেষ দশ রাতের মাঝে আছে দেখানো হয়েছে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা শবে কদর শেষ সাত রাতের মধ্যেই খোঁজ কর। [১১৫৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ,৬৫০৭ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫২০)
بَاب التَّوَاطُؤِ عَلَى الرُّؤْيَا
يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ أُنَاسًا أُرُوا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ وَأَنَّ أُنَاسًا أُرُوا أَنَّهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْتَمِسُوهَا فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ
Narrated Ibn `Umar:
Some people were shown the Night of Qadr as being in the last seven days (of the month of Ramadan). The Prophet (ﷺ) said, "Seek it in the last seven days (of Ramadan).