লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/১৪. দু’ ব্যক্তির রক্তপণের ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বানী নাযীর গোত্রের নিকট গমন এবং তাঁর সঙ্গে তাদের বিশ্বাসঘাতকতা বিষয়ক ঘটনা।
64/13. بَاب تَسْمِيَةُ مَنْ سُمِّيَ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ فِي الْجَامِعِ الَّذِيْ وَضَعَهُ أَبُوْ عَبْدِ اللهِ عَلَى حُرُوْفِ الْمُعْجَمِ
৬৪/১৩. অধ্যায়: বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবীদের নামের তালিকা যা আল-জামে গ্রন্থে (সহীহ বুখারীতে) উল্লেখ রয়েছে।
النَّبِيُّ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْهَاشِمِيُّ صلى الله عليه وسلم إِيَاسُ بْنُ الْبُكَيْرِ بِلَالُ بْنُ رَبَاحٍ مَوْلَى أَبِيْ بَكْرٍ الْقُرَشِيِّ حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ الْهَاشِمِيُّ حَاطِبُ بْنُ أَبِيْ بَلْتَعَةَ حَلِيْفٌ لِقُرَيْشٍ أَبُوْ حُذَيْفَةَ بْنُ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيْعَةَ الْقُرَشِيُّ حَارِثَةُ بْنُ الرَّبِيْعِ الْأَنْصَارِيُّ قُتِلَ يَوْمَ بَدْرٍ وَهُوَ حَارِثَةُ بْنُ سُرَاقَةَ كَانَ فِي النَّظَّارَةِ خُبَيْبُ بْنُ عَدِيٍّ الْأَنْصَارِيُّ خُنَيْسُ بْنُ حُذَافَةَ السَّهْمِيُّ رِفَاعَةُ بْنُ رَافِعٍ الْأَنْصَارِيُّ رِفاعَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُنْذِرِ أَبُوْ لُبَابَةَ الْأَنْصَارِيُّ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ الْقُرَشِيُّ زَيْدُ بْنُ سَهْلٍ أَبُوْ طَلْحَةَ الْأَنْصَارِيُّ أَبُوْ زَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ سَعْدُ بْنُ مَالِكٍ الزُّهْرِيُّ سَعْدُ بْنُ خَوْلَةَ الْقُرَشِيُّ سَعِيْدُ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ الْقُرَشِيُّ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ الْأَنْصَارِيُّ ظُهَيْرُ بْنُ رَافِعٍ الْأَنْصَارِيُّ وَأَخُوْهُ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُثْمَانَ أَبُوْ بَكْرٍ الصِّدِّيْقُ الْقُرَشِيُّ عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْعُوْدٍ الْهُذَلِيُّ عُتْبَةُ بْنُ مَسْعُوْدٍ الْهُذَلِيُّ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ الزُّهْرِيُّ عُبَيْدَةُ بْنُ الْحَارِثِ الْقُرَشِيُّ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ الْأَنْصَارِيُّ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ الْعَدَوِيُّ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ الْقُرَشِيُّ خَلَّفَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى ابْنَتِهِ وَضَرَبَ لَهُ بِسَهْمِهِ عَلِيُّ بْنُ أَبِيْ طَالِبٍ الْهَاشِمِيُّ عَمْرُوْ بْنُ عَوْفٍ حَلِيْفُ بَنِيْ عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ عُقْبَةُ بْنُ عَمْرٍو الْأَنْصَارِيُّ عَامِرُ بْنُ رَبِيْعَةَ الْعَنَزِيُّ عَاصِمُ بْنُ ثَابِتٍ الْأَنْصَارِيُّ عُوَيْمُ بْنُ سَاعِدَةَ الْأَنْصَارِيُّ عِتْبَانُ بْنُ مَالِكٍ الْأَنْصَارِيُّ قُدَامَةُ بْنُ مَظْعُوْنٍ قَتَادَةُ بْنُ النُّعْمَانِ الْأَنْصَارِيُّ مُعَاذُ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْجَمُوْحِ مُعَوِّذُ بْنُ عَفْرَاءَ وَأَخُوْهُ مَالِكُ بْنُ رَبِيْعَةَ أَبُوْ أُسَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ مُرَارَةُ بْنُ الرَّبِيْعِ الْأَنْصَارِيُّ مَعْنُ بْنُ عَدِيٍّ الْأَنْصَارِيُّ مِسْطَحُ بْنُ أُثَاثَةَ بْنِ عَبَّادِ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ مِقْدَادُ بْنُ عَمْرٍو الْكِنْدِيُّ حَلِيْفُ بَنِيْ زُهْرَةَ هِلَالُ بْنُ أُمَيَّةَ الْأَنْصَارِيُّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْز
১. নবী মুহাম্মাদ ইবনু ’আবদুল্লাহ হাশিমী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম ২. ইয়াস ইবনু বুকায়র, ৩. আবূ বকর কুরাইশীর আযাদকৃত গোলাম বিলাল ইবনু রাবাহ, ৪. হামযা ইবনু ’আবদুল মুত্তালিব আল-হাশিমী, ৫. কুরাইশদের বন্ধু হাতিব ইবনু আবূ বালতাআ, ৬. আবূ হুযাইফা ইবনু ’উত্বাহ ইবনু রাবী’আহ কুরাইশী, ৭. হারিসা ইবনু রাবী’ আনসারী, যিনি বদর যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন; তাঁকে হারিসা ইবনু সুরাকা বলা হয়, তিনি দেখার জন্য গিয়েছিলেন। ৮. খুবায়ব ইবনু আদী আনসারী, ৯. খুনায়স ইবনু হুযাফা সাহমী, ১০. রিফা’আ ইবনু রাফি আনসারী, ১১. রিফা’আ ইবনু আবদুল মুনযির, ১২. আবূ লুবাবা আনসারী, ১৩. যুবায়র ইবনুল আওয়াম কুরাইশী, ১৪. যায়দ ইবনু সাহল, ১৫. আবূ ত্বলহা আনসারী, ১৬. আবূ যায়দ আনসারী, ১৭. সা’দ ইবনু মালিক যুহরী, ১৮. সা’দ ইবনু খাওলা কুরাইশী, ১৯. সা’ঈদ ইবনু যায়দ ইবনু ’আমর ইবনু নুফাইল কুরাইশী, ২০. সাহল ইবনু হুনাইফ আনসারী, ২১. যুহায়র ইবনু রাফি’ আনসারী, ২২. এবং তাঁর ভাই (মুযহির ইবনু রাফি’ আনসারী), ২৩. ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উসমান, ২৪. আবূ বকর সিদ্দীক কুরাইশী, ২৫. ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ হুযালী; ২৬.’উতবাহ ইবনু মাসঊদ হুযালী, ২৭. ’আবদুর রাহমান ইবনু ’আওফ যুহরী, ২৮.’উবাইদাহ ইবনুল হারিস কুরাইশী, ২৯. উবাদাহ ইবনু সামিত আনসারী, ৩০.’উমার ইবনু খাত্তাব আদাবী, ৩১. ’উসমান ইবনু আফ্ফান কুরাইশী, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে তাঁর অসুস্থ কন্যার দেখাশোনার জন্য (মদিনা্য়) রেখে গিয়েছিলেন। কিন্তু গানীমাতের মালের অংশ তাঁকে দিয়েছিলেন। ৩২.’আলী ইবনু আবী তালিব হাশিমী, ৩৩.’আমির ইবনু লুওয়াই গোত্রের মিত্র ’আমর ইবনু আউফ, ৩৪.’উকবাহ ইবনু ’আমর আনসারী, ৩৫.’আমির ইবনু রাবী’আ আনাযী, ৩৬.’আসিম ইবনু সাবিত আনসারী, ৩৭. উওয়াম ইবনু সাইদা আনসারী, ৩৮.’ইতবান ইবনু মালিক আনসারী, ৩৯. কুদামাহ ইবনু মাযউন, ৪০. ক্বাতাদাহ ইবনু নু’মান আনসারী, ৪১. মু’আয ইবনু ’আমর ইবনু জামূহ, ৪২. মু’আববিয ইবনু আফরা ৪৩. এবং তাঁর ভাই (মু’আয), ৪৪. মালিক ইবনু রাবী’আ, ৪৫. আবূ উসাইদ আনসারী, ৪৬. মুরারা ইবনু রাবী আনসারী। ৪৭. মা’ন ইবনু আ’দী আনসারী, ৪৮. মিসতাহ ইবনু উসাসা ইবনু আববাদ ইবনু মুত্তালিব ইবনু ’আবদে মানাফ, ৪৯. যুহরা গোত্রের মিত্র মিকদাদ ইবনু ’আমর কিনদী, ৫০. হিলাল ইবনু উমাইয়াহ আনসারী (রাযিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুম আজমা’ঈন)।
قَالَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ كَانَتْ عَلَى رَأْسِ سِتَّةِ أَشْهُرٍ مِنْ وَقْعَةِ بَدْرٍ قَبْلَ أُحُدٍ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى (هُوَ الَّذِيْٓ أَخْرَجَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ دِيَارِهِمْ لِأَوَّلِ الْحَشْرِ مَا ظَنَنْتُمْ أَنْ يَّخْرُجُوْا) وَجَعَلَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ بَعْدَ بِئْرِ مَعُوْنَةَ وَأُحُدٍ
যুহরী (রহ.) ’উরওয়াহ (রহ.) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, বানু নাযীর যুদ্ধ ওহুদ যুদ্ধের আগে এবং বদর যুদ্ধের পরে ষষ্ঠ মাসের প্রারম্ভে সংঘটিত হয়েছিল। মহান আল্লাহর বাণীঃ ’’তিনিই কিতাবওয়ালাদের মধ্যে যারা কাফির তাদেরকে প্রথম সমবেতভাবে তাদের নিবাস থেকে বিতাড়িত করেছিলেন’’- (সূরাহ হাশর ৫৯/২)। বানু নাযীর যুদ্ধের এ ঘটনাকে ইবনু ইসহাক (রহ.) বিরে মাউনার ঘটনা এবং উহূদ যুদ্ধের পরবর্তী ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন।
৪০২৮. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, বনু নাযীর ও বনু কুরাইযাহ গোত্রের ইয়াহূদী সম্প্রদায় (মুসলিমদের বিরুদ্ধে) যুদ্ধ শুরু করলে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনু নাযীর গোত্রকে দেশত্যাগে বাধ্য করেন এবং বনু কুরাইযাহ গোত্রের প্রতি দয়া করে তাদেরকে থাকতে দেন। কিন্তু পরে বনূ কুরাইযাহ গোত্র (মুসলিমদের বিরুদ্ধে) যুদ্ধ শুরু করলে কতক লোক যারা নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দলভুক্ত হবার পর তিনি তাদেরকে নিরাপত্তা দান করেছিলেন তারা মুসলিম হয়ে গিয়েছিল তারা ব্যতীত অন্য সব পুরুষ লোককে হত্যা করা হয় এবং মহিলা সন্তান-সন্ততি ও মালামাল মুসলিমদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনার সব ইয়াহূদীকে দেশান্তর করলেন। ’আবদুল্লাহ ইবনু সালামের গোত্র বনু কায়নুকা ও বনু হারিসাসহ অন্যান্য ইয়াহূদী গোষ্ঠীকেও তিনি দেশান্তর করেন। [মুসলিম ২৩/২০, হাঃ ১৭৬৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৭৩২)
بَاب حَدِيْثِ بَنِي النَّضِيْرِ وَمَخْرَجِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلَيْهِمْ فِيْ دِيَةِ الرَّجُلَيْنِ وَمَا أَرَادُوْا مِنْ الْغَدْرِ بِرَسُوْلِ اللهِ
إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ مُوْسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ حَارَبَتْ النَّضِيْرُ وَقُرَيْظَةُ فَأَجْلَى بَنِي النَّضِيْرِ وَأَقَرَّ قُرَيْظَةَ وَمَنَّ عَلَيْهِمْ حَتَّى حَارَبَتْ قُرَيْظَةُ فَقَتَلَ رِجَالَهُمْ وَقَسَمَ نِسَاءَهُمْ وَأَوْلَادَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ بَيْنَ الْمُسْلِمِيْنَ إِلَّا بَعْضَهُمْ لَحِقُوْا بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَآمَنَهُمْ وَأَسْلَمُوْا وَأَجْلَى يَهُوْدَ الْمَدِيْنَةِ كُلَّهُمْ بَنِيْ قَيْنُقَاعَ وَهُمْ رَهْطُ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَلَامٍ وَيَهُوْدَ بَنِيْ حَارِثَةَ وَكُلَّ يَهُوْدِ الْمَدِيْنَةِ.
Narrated Ibn `Umar:
Bani An-Nadir and Bani Quraiza fought (against the Prophet (ﷺ) violating their peace treaty), so the Prophet exiled Bani An-Nadir and allowed Bani Quraiza to remain at their places (in Medina) taking nothing from them till they fought against the Prophet (ﷺ) again) . He then killed their men and distributed their women, children and property among the Muslims, but some of them came to the Prophet (ﷺ) and he granted them safety, and they embraced Islam. He exiled all the Jews from Medina. They were the Jews of Bani Qainuqa', the tribe of `Abdullah bin Salam and the Jews of Bani Haritha and all the other Jews of Medina.