পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৫৯৮৮-[১০] সা’দ (রাঃ) নবী (সা.) হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সা.) বলেছেন: যে লোক কুরায়শকে অপমানিত করার ইচ্ছা পোষণ করবে, আল্লাহ তা’আলা তাকে অপমানিত করবেন। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)
عَنْ سَعْدٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ يُرِدْ هَوَانَ قُرَيْشٍ أَهَانَهُ الله» رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ حسن ، رواہ الترمذی (3905 وقال : غریب) ۔ (صَحِيح)
ব্যাখ্যা: সর্বক্ষেত্রে কুরায়শদেরকে সম্মান-মর্যাদা দেয়া আবশ্যক। কুরায়শদেরকে অসম্মান করা ও তাদের অপমানের ইচ্ছা পোষণ করা প্রকারান্তরে আল্লাহর অসন্তুষ্টি ক্রয় করা। এমতাবস্থায় তারা ইমামতে কুবরা তথা খিলাফাত অধিষ্ঠিত থাকুক বা না থাকুক। তারা খলীফাহ্ ও আমীর পদে অধিষ্ঠিত থাকা অবস্থায় তাদের অসম্মান ও অপমানের নিষেধাজ্ঞা ও ভৎসনার কারণ তো সুস্পষ্ট। তবে যে অবস্থায় তারা খিলাফাত ও ইমামতের পদে অধিষ্ঠিত থাকবে না সেক্ষেত্রেও তাদের অসম্মান ও অপমানের নিষেধাজ্ঞা এ হিসেবে মনে করা হবে যে, রাসূল (সা.) -এর সাথে বংশীয় দিক দিয়ে তাঁদের সম্পৃক্ততার সৌভাগ্য রয়েছে, আর তাদের এ বিশেষ সম্মান ও মর্যাদা এ কথারই দাবি করে যে, তাদেরকে অসম্মান ও অপমান করা যাবে না।)। (মাযাহিরে হাক শারহে মিশকাত ৭ম খণ্ড, ২৩৩ পৃষ্ঠা)