পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬১৭-[৬] ’উবাদাহ্ ইবনুস সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: জান্নাতের স্তর হবে একশটি প্রত্যেক দুই স্তরের মাঝখানের দূরত্ব হবে আসমান ও জমিনের দূরেত্বের পরিমাণ। জান্নাতুল ফিরদাউসের স্তর হবে সর্বোপরি। তা হতেই প্রবাহিত হয় ঝরনাধারা এবং তার উপরেই রয়েছে মহান প্রভুর ’আরশ’। অতএব তোমরা যখনই আল্লাহ তা’আলার কাছে প্রার্থনা করবে, তখন ফিরদাউস জান্নাতই চাইবে। (তিরমিযী)
الفصل الاول (بَاب صفةالجنة وَأَهْلهَا)
وَعَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فِي الْجَنَّةِ مائةُ درجةٍ مَا بينَ كلِّ دَرَجَتَيْنِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَالْفِرْدَوْسُ أَعْلَاهَا دَرَجَةً مِنْهَا تُفَجَّرُ أَنْهَارُ الْجَنَّةِ الْأَرْبَعَةُ وَمِنْ فَوْقِهَا يَكُونُ الْعَرْشُ فَإِذَا سَأَلْتُمُ اللَّهَ فَاسْأَلُوهُ الْفِرْدَوْسَ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَلَمْ أَجِدْهُ فِي الصَّحِيحَيْنِ وَلَا فِي كِتَابِ الْحُمَيْدِيِّ اسنادہ صحیح ، رواہ الترمذی (2531) ۔ (صَحِيح)
ব্যাখ্যা: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: জান্নাতের স্তর হবে একশত, প্রতিটি দুই স্তরের মাঝখানের ব্যবধান হবে আসমান ও জমিনের দূরত্বের ন্যায়। মুহাদ্দিসগণ বলেন, এর দ্বারা আধিক্যতা বুঝানো উদ্দেশ্য। কেননা সুনানে বায়হাকীতে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে মারফু সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, জান্নাতের স্তরের সংখ্যা কুরআনের আয়াতের সংখ্যার ন্যায়। অতএব কুরআনের ধারক বাহক যে জান্নাতে প্রবেশ করবে তার উপরে আর কোন স্তর নেই। মুহাদ্দিসগণ বলেন, জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরের নাম হলো জান্নাতুল ফিরদাউস, যার অধিকারী হবেন নবীগণ ও বিশেষ মু'মিনবর্গ। আর জান্নাতের নহর হবে চারটি। যথা: ১) পানির নহর, ২) দুধের শরাবের নহর, ৩) মধুর শরাবের নহর, ৪) মদের নহর। (শারহুন নাবাবী হা, ২৮২৬, তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ২৫৩১)