পরিচ্ছেদঃ ৪৬. কোনো ক্রীতদাসীকে মুক্তিদান করে তাকে বিয়ে করার ফযীলত
২২৮৩. সালিহ ইবনু সালিহ ইবনু হাই আল হামদানী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি শা’বী (রহঃ) এর নিকট ছিলাম। এমতাবস্থায় খুরাসানের অধিবাসী এক লোক এসে তাকে বললো, হে আবী আমর! কোনো ব্যক্তি যদি তার ক্রীতদাসীকে মুক্ত করে দিয়ে তাকে বিয়ে করতো, তবে খুরাসানের প্রাচীন অধিবাসীরা বলতো যে, সে যেন নিজের কোরবানীর পশুর পিঠে আরোহণকারী ব্যক্তির মতো। তখন শা’বী বললেন, আবূ বুরদা (র), তাঁর পিতা আবূ মূসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “তিন ধরনের লোকের জন্য দুটি সওয়াব দেয়া হবে: (১) আহলে কিতাবের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি তার নবীর ওপর ঈমান এনেছে এবং এরপর এই নবী (মুহাম্মদ সা) কে পেয়েছে এবং তাঁর উপরও ঈমান এনেছে এবং তাঁর অনুসরণ করেছে। (২) যে ক্রীতদাস আল্লাহ্র হক আদায় করে এবং তার মালিকের হকও আদায় করে- তার জন্য রয়েছে দু’টি সাওয়াব (৩) যার একটি বাঁদী ছিল, আর সে উত্তমরূপে তার ভরণপোষণ করতো, তারপর তাকে সে সুন্দরভাবে আদব-কায়দা শিক্ষা দিয়েছে এরপর তাকে আযাদ (মুক্তিদান) করে বিয়ে করেছে; তার জন্য দুটি সওয়াব রয়েছে।” [1]
এরপর তিনি (বর্ণনাকারী) (তাঁর ছাত্রদের) কাউকে বললেন, কোন কিছুর বিনিময় ছাড়াই হাদীসটি গ্রহণ করো, অথচ এর চাইতে ছোট হাদীসের জন্যও লোক (দূর-দূরান্ত থেকে) সওয়ার হয়ে মদীনায় আসত।
হুশাইম বলেন, আমি বসরায় থাকতে এটি জানতে পারলাম, এরপর আমি তার নিকট এসে এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম।
بَاب فَضْلِ مَنْ أَعْتَقَ أَمَةً ثُمَّ تَزَوَّجَهَا
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ عَنْ صَالِحِ بْنِ صَالِحِ بْنِ حَيٍّ الْهَمْدَانِيِّ قَالَ كُنْتُ عِنْدَ الشَّعْبِيِّ فَأَتَاهُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ خُرَاسَانَ فَقَالَ يَا أَبَا عَمْرٍو إِنَّ مَنْ قِبَلَنَا مِنْ أَهْلِ خُرَاسَانَ يَقُولُونَ فِي الرَّجُلِ إِذَا أَعْتَقَ أَمَتَهُ ثُمَّ تَزَوَّجَهَا فَهُوَ كَالرَّاكِبِ بَدَنَتَهُ فَقَالَ الشَّعْبِيُّ حَدَّثَنِي أَبُو بُرْدَةَ بْنُ أَبِي مُوسَى عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَةٌ يُؤْتَوْنَ أَجْرَهُمْ مَرَّتَيْنِ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ آمَنَ بِنَبِيِّهِ ثُمَّ أَدْرَكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَآمَنَ بِهِ وَاتَّبَعَهُ وَعَبْدٌ مَمْلُوكٌ أَدَّى حَقَّ اللَّهِ وَحَقَّ مَوَالِيهِ فَلَهُ أَجْرَانِ وَرَجُلٌ كَانَتْ لَهُ أَمَةٌ فَغَذَّاهَا فَأَحْسَنَ غِذَاءَهَا وَأَدَّبَهَا فَأَحْسَنَ تَأْدِيبَهَا فَأَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا فَلَهُ أَجْرَانِ ثُمَّ قَالَ لِلرَّجُلِ خُذْ هَذَا الْحَدِيثَ بِغَيْرِ شَيْءٍ فَقَدْ كَانَ يُرْحَلُ فِيمَا دُونَ هَذَا إِلَى الْمَدِينَةِ قَالَ هُشَيْمٌ أَفَادُونِي بِالْبَصْرَةِ فَأَتَيْتُهُ فَسَأَلْتُهُ عَنْهُ