পরিচ্ছেদঃ ১৪৩. আসরের পরের দু’রাকাত সালাত আদায় সম্পর্কে
১৪৭৩. ইবন আব্বাসের (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) আযাদকৃত গোলাম কুরায়ব (রহঃ) হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস, আব্দুর রহমান ইবন আযহার এবং মিসওয়ার ইবন মাখরামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সকলে মিলে তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সহধর্মিনী আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা এর নিকট প্রেরণ করলেন এবং বলে দিলেন, তাঁকে আমাদের সবার পক্ষ থেকে সালাম জানাবে এবং তাঁকে আসরের পরের দু- রাকআত সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে। এবং এ কথাও বলবে যে, আমরা জানতে পেরেছি যে, আপনিও সেই দু রাকআত সালাত আদায় করে থাকেন, অথচ আমাদের নিকট (হাদীস) পৌঁছেছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দু’রাকাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন ।
ইবন আব্বাসরাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমিও উমর ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর সঙ্গে এ দুই রাকা’আত (সালাত আদায় করা)-এর কারণে লোকদেরকে প্রহার করতাম।
কুরাইব বলেন, আমি তাঁর নিকট গেলাম এবং তাঁরা যে সকল বক্তব্যসহ আমাকে প্রেরণ করেছিলেন তা সব পৌঁছে দিলাম । তিনি (আয়িশা রাঃ) বললেন, উম্মু সালামাকে (রাঃ) জিজ্ঞাসা কর।’ ফলে আমি সেখান থেকে বেরিয়ে যারা আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁদের কাছে এলাম এবং তাঁদেরকে আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা যা বলেছিলেন তা অবহিত করলাম। তারা আমাকে পূনরায় উম্মু সালামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা এর নিকট প্রেরণ করলেন, যা দিয়ে আমাকে আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা এর নিকট পাঠিয়েছিলেন। তখন (আমার বক্তব্য শুনে ) উম্মু সালামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বললেন, আমিও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ দু’রাকাত আদায় করা হতে নিষেধ করতে শুনেছিলাম, পরে তাঁকেই এ দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করতে দেখলাম । আর তাঁর এ দু-রাকআত সালাত আদায়ের ব্যাপারটি হলো, তিনি একদা আসরের সালাত আদায় করলেন অতঃপর (আমার নিকট) প্রবেশ করলেন। তখন আনসারগনের বনী হারাম গোত্রের কতিপয় মহিলা আমার নিকট বসেছিলেন। এরপর তিনি দু’রাকআত সালাত আদায় করলেন। আমি একটি দাসীকে তাঁর নিকট পাঠালাম এবং বলে দিলাম, তুমি তাঁর পাশে দাঁড়াবে এবং তাঁকে বলবে, উম্মে সালামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেছেন,’ ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমি কি আপনাকে এ দু’রাকা’আত হতে নিষেধ করতে শুনিনি? অথচ এখন আপনাকেই সে দু-রাকআত আদায় করতে দেখছি!’ তখন তিনি যদি হাত দ্বারা ইশারা করেন তাহলে পিছনে সরে দাঁড়াবে।
তিনি (উম্মে সালামা) বলেন, দাসীটি তাই করল। ফলে তিনি হাত দ্বারা ইশারা করলেন। আর সে (দাসীটি) পিছনে সরে দাঁড়াল । সালাত শেষ করে তিনি বললেন, হে আবু উমাইয়ার কন্যা! তুমি কি আমাকে আসরের পরের দু- রাকআত সালাত সস্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছ? (এর ব্যাপারটি হলো) আমার নিকট আবদুল কায়স গোত্রের কতিপয় লোক তাদের গোত্রের পক্ষ হতে ইসলাম গ্রহণ করতে এসেছিল। ফলে তারা আমাকে যুহরের পরের দু’রাকা’আতসালাত হতে ব্যস্ত (বিরত) রেখেছিল। আর এ হলো সেই দু-রাকআত।”[1] আবু মুহাম্মদকে এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো, তখন তিনি বললেন, আমি মত পোষণ করি সেই হাদীস অনুযায়ী, যা উমার কর্তৃক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত যে,“ফজরের সালাতের পর (থেকে) সূর্য (পূর্ণরূপে) উদিত হওয়া পর্যন্ত কোন সালাত নাই এবং আসরের সালাতের পর (থেকে) সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোন সালাত নাই।”
بَاب فِي الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الْأَشَجِّ عَنْ كُرَيْبٍ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَزْهَرَ وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ أَرْسَلُوهُ إِلَى عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا اقْرَأْ عَلَيْهَا السَّلَامَ مِنَّا جَمِيعًا وَسَلْهَا عَنْ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ وَقُلْ إِنَّا أُخْبِرْنَا أَنَّكِ تُصَلِّينَهُمَا وَقَدْ بَلَغَنَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْهُمَا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَكُنْتُ أَضْرِبُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ النَّاسَ عَلَيْهِمَا قَالَ كُرَيْبٌ فَدَخَلْتُ عَلَيْهَا وَبَلَّغْتُهَا مَا أَرْسَلُونِي بِهِ فَقَالَتْ سَلْ أُمَّ سَلَمَةَ فَخَرَجْتُ إِلَيْهِمْ فَأَخْبَرْتُهُمْ بِقَوْلِهَا فَرَدُّونِي إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ بِمِثْلِ مَا أَرْسَلُونِي إِلَى عَائِشَةَ فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَى عَنْهُمَا ثُمَّ رَأَيْتُهُ يُصَلِّيهِمَا أَمَّا حِينَ صَلَّاهُمَا فَإِنَّهُ صَلَّى الْعَصْرَ ثُمَّ دَخَلَ وَعِنْدِي نِسْوَةٌ مِنْ بَنِي حَرَامٍ مِنْ الْأَنْصَارِ فَصَلَّاهُمَا فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ الْجَارِيَةَ فَقُلْتُ قُومِي بِجَنْبِهِ فَقُولِي أُمُّ سَلَمَةَ تَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَمْ أَسْمَعْكَ تَنْهَى عَنْ هَاتَيْنِ الرَّكْعَتَيْنِ وَأَرَاكَ تُصَلِّيهِمَا فَإِنْ أَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخِرِي عَنْهُ قَالَتْ فَفَعَلَتْ الْجَارِيَةُ فَأَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخَرَتْ عَنْهُ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ يَا ابْنَةَ أَبِي أُمَيَّةَ سَأَلْتِ عَنْ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ إِنَّهُ أَتَانِي نَاسٌ مِنْ عَبْدِ الْقَيْسِ بِالْإِسْلَامِ مِنْ قَوْمِهِمْ فَشَغَلُونِي عَنْ الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ فَهُمَا هَاتَانِ سُئِلَ أَبُو مُحَمَّد عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ أَنَا أَقُولُ بِحَدِيثِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا صَلَاةَ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ وَلَا بَعْدَ الْفَجْرِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ