পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - করমর্দন ও আলিঙ্গন
৪৬৮১-[৫] আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রোগগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেখাশুনা পূর্ণতা হয় যখন তোমাদের কেউ রোগীর কপালে বা হাতে নিজের হাত রাখে এবং তার কুশল সংবাদ জিজ্ঞেস করে। তোমাদের সালামের পরিপূর্ণতা হলো, সালামের পর পরস্পর করমর্দন করা। [আহমাদ ও তিরমিযী; আর ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন।][1]
وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم قَالَ: تَمَامُ عِيَادَةِ الْمَرِيضِ أَنْ يَضَعَ أَحَدُكُمْ يَدَهُ عَلَى جَبْهَتِهِ أَوْ عَلَى يَدِهِ فَيَسْأَلَهُ: كَيْفَ هُوَ؟ وَتَمَامُ تَحِيَّاتِكُمْ بَيْنَكُمُ الْمُصَافَحَةُ . رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَضَعفه
ব্যাখ্যাঃ ইমাম ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ দুইয়ের অতিরিক্ত নেই। যদি বেশি করা হয় তবে তা কষ্টকর হবে। আসলে তিনি এর দ্বারা মধ্যমপন্থার কথা বলেছেন। এর অর্থ এ নয় যে, এর চাইতে কম বেশি করা যাবে না।
কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এর অতিরিক্ত হলে কঠিন হয়। বরং এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো নিম্নমানের পূর্ণতা। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৭ম খন্ড, হাঃ ২৭৩২)
অন্য হাদীসে রয়েছে, যখন তোমরা রোগীকে দেখতে যাবে তখন তাকে বেঁচে থাকায় খুশি রাখ। অর্থাৎ এরূপ বল যে, এখনো তুমি অনেক দিন বেঁচে থাকবে, রোগ খুব কঠিন নয় ভালো হয়ে যাবে ইনশা-আল্লাহ। এরূপ বলাতে তাকদীর পরিবর্তন হয় না কিন্তু রোগীর এমন খুশি হয়। রোগীর এ খুশি থাকলে সুস্থ হয়ে যাওয়ার আশা করা যায়। (মিশকাতুল মাসাবীহ- বোম্বায় ছাপা, ৪র্থ খন্ড, ২৭ পৃষ্ঠা)