পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৭৬-[৫৮] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শীঘ্রই অনারব দেশ তোমাদের দখলে আসবে এবং সেখানে তোমরা এমন কিছু ঘর পাবে যাকে হাম্মাম বলা হয়। সে সমস্ত হাম্মামে তোমাদের পুরুষেরা যেন লুঙ্গি পরিহিত অবস্থা ব্যতীত প্রবেশ না করে, আর মহিলাদের যেন তা হতে বিরত রাখে। তবে রুগ্ন এবং হায়য-নিফাস হতে পবিত্রতা অর্জনকারী মহিলাদের বাধা দেবে না। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: سَتُفْتَحُ لَكُمْ أَرْضُ الْعَجَمِ وَسَتَجِدُونَ فِيهَا بُيُوتًا يُقَالُ لَهَا: الْحَمَّامَاتُ فَلَا يَدْخُلَنَّهَا الرِّجَالُ إِلَّا بِالْأُزُرِ وَامْنَعُوهَا النِّسَاءَ إِلَّا مَرِيضَةً أَوْ نُفَسَاءَ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যাঃ পূর্বেই বলা হয়েছে যে, হাদীসে নিষিদ্ধ হাম্মাম তথা গোসলখানা বলতে সবাই মিলে একত্রে গোসলের সমবেশস্থলকে বুঝানো হয়েছে। যেমন বর্তমানকালে বিভিন্ন সুইমিংপুল ইত্যাদিতে পুরুষ মহিলা সমবেত হয়ে আড্ডা দিয়ে গোসল দেয়, সাঁতার কাটে। এসব গোসলখানা বা সুইমিংপুলে পুরুষদের জন্য লুঙ্গি বা এমন কাপড় দ্বারা শরীর আবৃত করে গোসলে প্রবেশ জায়িয হবে যার মাধ্যমে শরীরের সতরের অংশ কাপড় ভিজলেও প্রকাশ পায় না। কিন্তু মহিলাদের এসব গোসলখানায় প্রবেশ জায়িয নেই। মহিলাদের এসব গোসলখানায় প্রবেশ থেকে বারণ করতে পুরুষদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেয়েদের দু’টি বিশেষ অবস্থার কথা তুলে ধরেছেন, যে অবস্থায় তারা এসব হাম্মামে প্রবেশ করতে পারে। অর্থাৎ যখন তার জন্য গোসল জরুরী হয়ে পড়বে এবং এখানে প্রবেশ ছাড়া কোন উপায় নেই, সেই অপারগ অবস্থায় মহিলা এসব গোসলখানায় প্রবেশ করতে পারে। তবে এক্ষেত্রেও সে একাকি প্রবেশ করবে অথবা সতর ঢাকা অবস্থায় প্রবেশ করবে। কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ হাদীসে প্রমাণ হলো, মেয়েদের জন্য প্রয়োজন ছাড়া এসব গোসলখানায় প্রবেশ জায়িয নেই। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)