পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৬৪-[৪৬] উম্মু ’আত্বিয়্যাহ্ আল আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। জনৈকা নারী মদীনায় (মেয়েদের) খৎনা করত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ খৎনা স্থানের মাংস খুব বেশি কেটো না। কেননা তা নারীর জন্য অত্যধিক তৃপ্তিদায়ক এবং স্বামীর কাছে খুবই প্রিয়। (আবূ দাঊদ; আর তিনি বলেছেনঃ হাদীসটি য’ঈফ। তার বর্ণনাকারী অপরিচিত।)[1]
وَعَن أُمِّ عطيَّةَ الأنصاريَّةِ: أنَّ امْرَأَة كَانَت تختن بِالْمَدِينَةِ. فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُنْهِكِي فَإِنَّ ذَلِكَ أَحْظَى لِلْمَرْأَةِ وَأَحَبُّ إِلَى الْبَعْلِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ: هَذَا الْحَدِيثُ ضَعِيفٌ وَرَاوِيه مَجْهُول
ব্যাখ্যাঃ পুরুষের যেমন খৎনা রয়েছে ঠিক তেমনি মেয়েদেরও খৎনা রয়েছে। তবে পুরুষের জন্য খৎনা করা জরুরী। কিন্তু মেয়েদের জন্য তা জরুরী নয়। অধ্যায়ের শুরুতে ফিতরাত বা স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এ হাদীসে মেয়েদের খৎনার বিষয়ে একটি দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হাদীসে যে দিক নির্দেশনাটি দেয়া হয়েছে তা হচ্ছে, মেয়েদের খৎনার ক্ষেত্রে খৎনার স্থানকে অধিক বা গভীর করে না কাটা। "إنهاك" শব্দের অর্থ হলো খৎনার জায়গা কাটতে আধিক্য অবলম্বন করা বা একেবারে মূল থেকে পুরোটা কেটে ফেলা। এভাবে কাটতে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারণ করেন। বরং মেয়েদের খৎনার ক্ষেত্রে অল্প কেটে খৎনা করতে হবে। অন্য বর্ণনায় রয়েছে- أَشِمِّي ولا تَنْهكي অর্থাৎ ‘ইশমাম’ অর্থ সুগন্ধি গ্রহণ। এখানে অল্প কাটাকে সুগন্ধি গ্রহণের সাথে তুলনা করা হয়েছে। অর্থাৎ কোন রকম একটু কেটে নিবে, যাতে কাটার আংশটি পাওয়া যায়। গভীর বা গাঢ় করে কাটবে না। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৫২৬২)
মেয়েদের খৎনার ক্ষেত্রে গভীর বা গাঢ় করে না কাটার একটি হিকমাত বা রহস্যও হাদীসে উল্লেখ করা হয়। আর সেই রহস্য হলো, অল্প কাটা স্ত্রীর জন্য উপকারী এবং স্বামীর জন্য স্বাদ ও ভালো লাগার কারণ। খৎনা করতে অধিক গাঢ় করে কাটলে স্বামী স্ত্রী উভয়ের জন্য মিলনের স্বাদ উপভোগে কিছুটা ঘাটতি হবে।