হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪৩৫৩

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৩৫৩-[৫০] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদিন জনৈক ব্যক্তি লাল বর্ণের দু’টি কাপড় পরে বিদায়কালে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম করল। কিন্তু তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার সালামের জবাব দিলেন না। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: مَرَّ رَجُلٌ وَعَلَيْهِ ثَوْبَانِ أَحْمَرَانِ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যাঃ যারা লাল পোশাক পরিধান করাকে মাকরূহ মনে করেন তারা এ হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন। তবে যারা লাল পোশাক পরিধান করাকে মুবাহ (বৈধ) মনে করেন তারা এর উত্তরে বলেন, লাল পোশাক পরিধান করা মাকরূহ হওয়ার পক্ষ পেশ করা হাদীস য‘ঈফ, যা দ্বারা দলীল সাব্যস্ত করা সঠিক নয়। পুরুষদের জন্য লাল পোশাক পরিধান করার বৈধতার হাদীস পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, শারী‘আয় নিষিদ্ধ এমন কাজে লিপ্ত কোন ব্যক্তির সালামের উত্তর না দেয়া জায়িয। এই উদ্দেশে যে, সে যেন বুঝাতে পারে সে অন্যায় বা গুনাহের কাজ করছে বিধায় তার সালামের উত্তর দেয়া হয়নি। ইবনু রাসলান বলেনঃ গুনাহে লিপ্ত কোন ব্যক্তির সালামের উত্তরে এ কথা বলা মুস্তাহাব যে, আমি তোমার সালামের উত্তর দেইনি, কারণ তুমি গুনাহের কাজে লিপ্ত আছো। একইভাবে বিদ্‘আতীদের এবং প্রকাশ্যে গুনাহকারীদের ধমক দেয়ার উদ্দেশে তাদেরকে সালাম না দেয়া মুস্তাহাব। এজন্য কা‘ব ইবনু মালিক  আবূ কতাদাহ্ -কে সালাম দেয়ার প্রসঙ্গে বলেন,

فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَوَاللهِ مَا رَدَّ عَلَىَّ السَّلاَمَ

অর্থাৎ- ‘‘আমি তাকে সালাম দিলাম কিন্তু আল্লাহর কসম তিনি আমার সালামের উত্তর দেননি’’- (সহীহ মুসলিম হাঃ ৭১৯২)। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৪০৬৫; তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৭ম খন্ড, হাঃ ২৮০৭)