পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
اللباس (আল লিবা-স) শব্দটি باب سمع (বা-বি সামি’আ)-এর মাসদার। এটি পেশের সাথেও ব্যবহার করা হয়। যার অর্থ পোশাক। আর باب ضرب (বা-বি যরাবা) থেকে لبسا (লাবসান) লামের উপর যবর যোগে আসে। যার অর্থ সংমিশ্রণ করা। মহান আল্লাহ বলেনঃ
وَلَا تَلْبِسُوا الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَتَكْتُمُوا الْحَقَّ وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ
’’আর তোমরা হককে বাতিলের সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনে-বুঝে হককে গোপন করো না’’- (সূরাহ্ আল বাকারাহ্ ০২ : ৪২)।
বিভিন্ন কারণে ইসলামে কতিপয় পোশাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেগুলো হল- ১. পুরুষের জন্য রেশমের পোশাক ও স্বর্ণমিশ্রিত পোশাক। ২. পুরুষের জন্য মহিলাদের পোশাক। ৩. মহিলাদের জন্য পুরুষের পোশাক। ৪. খ্যাতি ও বড়াই প্রকাশক পোশাক। ৫. ভিন্ন ধর্মীয় পোশাক। ৬. আঁটসাঁট পোশাক ইত্যাদি। [সম্পাদক]
৪৩০৪-[১] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিবারাহ্ কাপড় পরিধান করতে অধিক পছন্দ করতেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
الْفَصْلُ الْأَوْلُ
عَن أنسٍ قَالَ: كَانَ أَحَبُّ الثِّيَابِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَلْبَسَهَا الْحِبَرَةُ
ব্যাখ্যাঃ (حِبَرَ) বলা হয় সবুজ অথবা লাল ডোরাযুক্ত ইয়ামান দেশে বুনানো অতীব উন্নত সূতী কাপড়কে। ‘আরব জাতির জন্য এটা অত্যন্ত সম্মানী এবং আনন্দদায়ক পোশাক। কেউ কেউ বলেছেন, জান্নাতীদের এই সবুজ রঙের সম্মানিত ‘হিবারাহ্’ পোশাক পরানো হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ فَهُمْ فِي رَوْضَةٍ يُحْبَرُونَ ‘‘তাদেরকে মনোরম উদ্যানে হিবারাহ্ পোশাক পরিয়ে সম্মানিত ও আনন্দিত করা হবে।’’ (সূরাহ্ আর্ রূম ৩০ : ১৫)
ত্ববারানী, ইবনুস্ সুন্নী, আবূ নু‘আয়ম (রহিমাহুমুল্লাহ) প্রমুখ মুহাদ্দিসের বর্ণনা মতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এজন্যই সবুজ রং পছন্দ করতেন।
‘আল্লামা জাযরী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ হিবারাহ্ পরিধান করা মুস্তাহাব, এ হাদীস তার দলীল। এতে এও প্রমাণিত যে নকশা বা ডোরাযুক্ত কাপড় পরা বৈধ। হাফিয ইবনু হাজার ‘আসকালানী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ তবে সালাতে নকশাদার কাপড় পরা মাকরূহ।
এই নকশাদার হিবারাহ্ পোশাকটি কামীস না চাদর ছিল তা নিয়ে অনেকের অনেক কথা, তবে এটা চাদর ছিল বলেই বেশি মতামত রয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৮১২; শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড, হাঃ ২০৭৯; তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৭৮৮)