পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা
৪০২৬-[৪২] ’আমর ইবনু ’আবাসাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গনীমাতের একটি উটকে (সুতরাহ্ হিসেবে) সামনে রেখে আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন। সালাম ফিরিয়ে উটটির পাঁজরের চুলগুচ্ছ ধরে বললেনঃ গনীমাতের এ সম্পদ হতে এক-পঞ্চমাংশ ব্যতীত এ চুলগুচ্ছ পরিমাণও রাখার অধিকার তোমাদের কারো নেই। আর সে এক-পঞ্চমাংশও তোমাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَن عمْرو بن عَبَسةَ قَالَ: صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى بَعِيرٍ مِنَ الْمَغْنَمِ فَلَمَّا سَلَّمَ أَخَذَ وَبَرَةً مِنْ جَنْبِ الْبَعِيرِ ثُمَّ قَالَ: «وَلَا يَحِلُّ لِي مِنْ غَنَائِمِكُمْ مِثْلُ هَذَا إِلَّا الْخُمُسُ وَالْخُمُسُ مَرْدُودٌ فِيكُمْ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: উটকে সামনে রেখে সালাত আদায়ের কারণ হলো উটকে সুতরাহ্ বানানো। পশম ধরে দেখানোর উদ্দেশ্য হলো পশমের মতো সামান্য বস্তুও বণ্টনবিহীন আমার জন্য হালাল নয়। গনীমাতের চার অংশ তোমাদেরই মাত্র এক অংশ আমি পাবো, তাও আমি ওটা তোমাদের মধ্যেই বণ্টন করে দেই।
‘আল্লামা শাওকানী (রহঃ) বলেনঃ ইমাম পাঁচ ভাগের এক অংশ নিবে বাকী পাঁচ ভাগের চার অংশ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বণ্টন করে দিবে। ইমামের পাঁচ ভাগের এক অংশও তার নিজের একার নয় বরং ওটা কিতাবুল্লাহর বিধান মোতাবেক মুসলিমদের মাঝে বণ্টন করা ওয়াজিব। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৭৫২)