পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উত্তম সদাক্বার বর্ণনা
১৯৩৯-[১১] সালমান ইবনু ’আমির (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মিসকীনকে সদাক্বাহ্ (সাদাকা) করা এক প্রকার, আর নিকটাত্মীয়ের কাউকে সদাক্বাহ্ (সাদাকা) দেয়া দু’ প্রকার সাওয়াবের কারণ। এক রকম সাওয়াব নিকটাত্মীয়ের হক আদায় এবং অন্য রকম সাওয়াব সদাক্বাহ্ (সাদাকা) করার জন্য। (আহমাদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ ও দারিমী)[1]
وَعَنْ سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الصَّدَقَةُ عَلَى الْمِسْكِينِ صَدَقَةٌ وَهِيَ عَلَى ذِي الرَّحِمِ ثِنْتَانِ: صَدَقَةٌ وَصِلَةٌ . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ
ব্যাখ্যা: এখানে ‘সদাক্বাহ্ (সাদাকা)’ বলতে ফরয ও মুস্তাহাব সকল দানকে বুঝাচ্ছে। এ হাদীস দ্বারা আরো প্রমাণ হয় যে, নিকটাত্মীয়দের যাকাত দেয়া সাধারণভাবে বৈধ। আল্লামা শাওকানী বলেন, এ হাদীস দ্বারা প্রমাণ হয় যে, নিকটাত্মীয় হোক সে ভরণ-পোষণ আবশ্যক এমন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে কিংবা অন্যদের মধ্য থেকে, তাদেরকে যাকাত দেয়া বৈধ। কারণ অত্র হাদীসে ‘‘সদাক্বাহ্ (সাদাকা)’’ বলতে নির্দিষ্ট করে নফল সদাক্বাহ্ (সাদাকা) বুঝানো হয়নি। তবে ইবনুল মুনযির থেকে ‘সন্তানদেরকে যাকাত দেয়া যাবে না’ মর্মে ইজমা বর্ণিত হয়েছে।
আত্মীয়দের দান করলে দু’টি সাওয়াব। একটি দানের সাওয়াব অপরটি আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করার সাওয়াব। এর দ্বারা মূলত আত্মীয়দেরকে দান করার প্রতি উৎসাহ দেয়া হয়েছে এবং এর প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এ হাদীস দ্বারা আরো প্রমাণ হয়, আত্মীয়দেরকে দান করা সর্বোত্তম। কারণ তাতে দু’টি সাওয়াব। আর এ কথা সুস্পষ্ট ও সন্দেহাতীত যে, একটির থেকে দু’টি উত্তম।