পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৪. মুহাম্মাদ ﷺ -এর উম্মাতের বৈশিষ্ট্য
১/৪২৮২। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন তারা (আমার উম্মাত) শুভ্র হস্তপদ ও উজ্জ্বল চেহারায় আমার নিকট দিয়ে অতিক্রম করবে। এটা হবে আমার উম্মাতের নিদর্শন, অন্য কোন উম্মাতের নয়।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " تَرِدُونَ عَلَىَّ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنَ الْوُضُوءِ سِيمَاءُ أُمَّتِي لَيْسَ لأَحَدٍ غَيْرِهَا " .
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“You will come to me with radiant faces, hands and feet from the traces of ablution. This is the characteristic sign of my nation which does not belong to anyone else.”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৪. মুহাম্মাদ ﷺ -এর উম্মাতের বৈশিষ্ট্য
২/৪২৮৩। আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে একটি তাঁবুর মধ্যে ছিলাম। তিনি বলেনঃ তোমরা কি এ কথায় সন্তুষ্ট নও যে, তোমরা জান্নাতীদের সংখ্যার এক-চতুর্থাংশ হবে? আমরা বললাম, হাঁ। তিনি আবার বলেনঃ তোমরা কি এ কথায় সন্তুষ্ট নও যে, তোমরা জান্নাতীদের সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ হবে? আমরা বললাম, হাঁ। তিনি বলেনঃ জান্নাতীদের অর্ধেক হবে তোমরা। এজন্য যে, জান্নাতে কেবল মুসলিম ব্যক্তিই প্রবেশ করবে। তোমরা মুশরিকদের তুলনায় কালো ষাঁড়ের চামড়ায় সাদা লোম সদৃশ অথবা লাল ষাঁড়ের চামড়ায় কালো লোম সদৃশ।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي قُبَّةٍ فَقَالَ " أَتَرْضَوْنَ أَنْ تَكُونُوا رُبُعَ أَهْلِ الْجَنَّةِ " . قُلْنَا بَلَى . قَالَ " أَتَرْضَوْنَ أَنْ تَكُونُوا ثُلُثَ أَهْلِ الْجَنَّةِ " . قُلْنَا نَعَمْ . قَالَ " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا نِصْفَ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَذَلِكَ أَنَّ الْجَنَّةَ لاَ يَدْخُلُهَا إِلاَّ نَفْسٌ مُسْلِمَةٌ وَمَا أَنْتُمْ فِي أَهْلِ الشِّرْكِ إِلاَّ كَالشَّعَرَةِ الْبَيْضَاءِ فِي جِلْدِ الثَّوْرِ الأَسْوَدِ أَوْ كَالشَّعَرَةِ السَّوْدَاءِ فِي جِلْدِ الثَّوْرِ الأَحْمَرِ " .
It was narrated that ‘Abdullah said:
“We were with the Messenger of Allah (ﷺ) in a tent, and he said: ‘Will it not please you to be one quarter of the people of Paradise?’ We said: ‘Yes.’ He said: ‘Will it not please you to be one third of the people of Paradise?’ We said: ‘Yes.’ He said: ‘By the One in Whose Hand is my soul, I hope that you will be half of the people of Paradise. For no one will enter Paradise but a Muslim soul, and among the people of polytheism you are like a white hair on the hide of a black bull, or like a black hair on the hide of a red bull.’”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৪. মুহাম্মাদ ﷺ -এর উম্মাতের বৈশিষ্ট্য
৩/৪২৮৪। আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (কিয়ামতের দিন) একজন নবী আসবেন, তাঁর সাথে থাকবে একজন মাত্র অনুসারী। আবার কোন নবীর সাথে থাকবে দু’জন অনুসারী। আবার কোন নবীর সাথে থাকবে তিনজন বা তার কম-বেশী অনুসারী। তাঁকে বলা হবে, তুমি কি তোমার জাতির নিকট আল্লাহর বাণী পৌঁছিয়েছিলে? তিনি বলবেনঃ হাঁ। তার জাতিকে ডাকা হবে এবং বলা হবে, তিনি কি তোমাদের নিকট আল্লাহর বাণী পৌঁছিয়েছিলেন? তারা বলবে, না। তাঁকে বলা হবে, তোমার সাক্ষী কারা? তিনি বলবেনঃ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর উম্মাত। তখন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মাতকে ডাকা হবে এবং জিজ্ঞেস করা হবে, নবী কি (তাঁর উম্মাতের নিকট আল্লাহর বাণী) পৌঁছিয়েছিলেন?
তারা বলবে, হাঁ। তাদের আবার জিজ্ঞেস করা হবে, তোমরা তা জানলে কিভাবে? তারা বলবে, আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অবহিত করেছিলেন যে, নিশ্চয় রাসূলগণ আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিয়েছেন। আমরা তাঁর কথা সত্য বলে স্বীকার করেছি। তোমাদের জন্য এ কথার প্রমাণ হলো মহান আল্লাহর বাণী (অনুবাদ): ’’এভাবে আমি তোমাদেরকে এক ন্যায়নিষ্ঠ জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি, যাতে তোমরা মানবজাতির জন্য সাক্ষীস্বরূপ এবং রাসূল তোমাদের সাক্ষীস্বরূপ হতে পারে’’ (সূরা বাকারঃ ১৪৩)।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " يَجِيءُ النَّبِيُّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَعَهُ الرَّجُلُ وَيَجِيءُ النَّبِيُّ وَمَعَهُ الرَّجُلاَنِ وَيَجِيءُ النَّبِيُّ وَمَعَهُ الثَّلاَثَةُ وَأَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ وَأَقَلُّ فَيُقَالُ لَهُ هَلْ بَلَّغْتَ قَوْمَكَ فَيَقُولُ نَعَمْ . فَيُدْعَى قَوْمُهُ فَيُقَالُ هَلَ بَلَّغَكُمْ فَيَقُولُونَ لاَ . فَيُقَالُ مَنْ شَهِدَ لَكَ فَيَقُولُ مُحَمَّدٌ وَأُمَّتُهُ . فَتُدْعَى أُمَّةُ مُحَمَّدٍ فَيُقَالُ هَلْ بَلَّغَ هَذَا فَيَقُولُونَ نَعَمْ . فَيَقُولُ وَمَا عِلْمُكُمْ بِذَلِكَ فَيَقُولُونَ أَخْبَرَنَا نَبِيُّنَا بِذَلِكَ أَنَّ الرُّسُلَ قَدْ بَلَّغُوا فَصَدَّقْنَاهُ . قَالَ فَذَلِكُمْ قَوْلُهُ تَعَالَى (وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا) .
It was narrated from Abu Sa’eed that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“A Prophet will come accompanied by two men, and a Prophet will come accompanied by three, and (some will come) with more or less than that. It will be said to him: ‘Did you convey the message to your people?’ And he will say: ‘Yes.’ Then his people will be called and it will be said: ‘Did he convey the message to you?’ They will say: ‘No.’ Then it will be said: ‘Who will bear witness for you?’ He will say: ‘Muhammad and his nation.’ So the nation of Muhammad will be called and it will be said: ‘Did this man convey the message?’ They will say: ‘Yes.’ He will say: ‘How did you know that?’ They will say: ‘Our Prophet told us that the Messengers had conveyed the message, and we believed him.’ This is what Allah says: “Thus We have made you, a just (and the best) nation, that you be witnesses over mankind and the Messenger (Muhammad (ﷺ)) be a witness over you.’” [2:143]
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৪. মুহাম্মাদ ﷺ -এর উম্মাতের বৈশিষ্ট্য
৪/৪২৮৫। রিফাআ আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা (সফর থেকে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ফিরে এলে তিনি বলেনঃ সেই মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! এমন কোন বান্দা নেই, যে ঈমান আনার পর তার উপর অবিচল থেকেও জান্নাতের দিকে পরিচালিত হবে না। আমি আশা করি যে, তোমরা ও তোমাদের সৎকর্মপরায়ণ সন্তানেরা জান্নাতে নিজ নিজ স্থানে না পৌঁছা পর্যন্ত অন্য লোকেরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আমার মহান প্রভু আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তিনি আমার উম্মাতের সত্তর হাজার লোককে বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُصْعَبٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ رِفَاعَةَ الْجُهَنِيِّ، قَالَ صَدَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ " وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ مَا مِنْ عَبْدٍ يُؤْمِنُ ثُمَّ يُسَدَّدُ إِلاَّ سُلِكَ بِهِ فِي الْجَنَّةِ وَأَرْجُو أَلاَّ يَدْخُلُوهَا حَتَّى تَبَوَّءُوا أَنْتُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ ذَرَارِيِّكُمْ مَسَاكِنَ فِي الْجَنَّةِ وَلَقَدْ وَعَدَنِي رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يُدْخِلَ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعِينَ أَلْفًا بِغَيْرِ حِسَابٍ " .
It was narrated that Rifa’ah Al-Juhani said:
“We came back (from a campaign) with the Messenger of Allah (ﷺ) and he said: ‘By the One in Whose Hand is the soul of Muhammad, there is no person who believes then stands firm, but he will be caused to enter Paradise. I hope that they will not enter it until you and those who are righteous among your offspring will enter it and take up your dwelling places therein. And my Lord has promised me that seventy thousand of my nation will enter Paradise without being brought to account.’”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৪. মুহাম্মাদ ﷺ -এর উম্মাতের বৈশিষ্ট্য
৫/৪২৮৬। আবূ উমামা আল-বাহিলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ আমার মহান প্রতিপালক আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তিনি আমার উম্মাতের সত্তর হাজার লোককে বিনা হিসাবে জান্নাতে দাখিল করবেন এবং তাদের কোনরূপ শাস্তিও হবে না। প্রতি হাজারের সাথে থাকবে আরও সত্তর হাজার করে এবং আরো থাকবে আমার মহান প্রতিপালকের তিন মুঠো পরিমাণ।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ الأَلْهَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ الْبَاهِلِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ وَعَدَنِي رَبِّي سُبْحَانَهُ أَنْ يُدْخِلَ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعِينَ أَلْفًا لاَ حِسَابَ عَلَيْهِمْ وَلاَ عَذَابَ مَعَ كُلِّ أَلْفٍ سَبْعُونَ أَلْفًا وَثَلاَثُ حَثَيَاتٍ مِنْ حَثَيَاتِ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ " .
Abu Umamah Al-Bahili said:
“I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: ‘My Lord has promised me that seventy thousand of my nation will enter Paradise without being brought to account or punished. With every thousand will be (another) seventy thousand, and three handfuls of my Lord, the Glorified.’”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৪. মুহাম্মাদ ﷺ -এর উম্মাতের বৈশিষ্ট্য
৬/৪২৮৭। বাহ্য ইবনে হাকীম (রাঃ) থেকে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন আমার উম্মাত সত্তর সংখ্যা পূর্ণ করবে। আমরা হবো এর সর্বশেষ ও সর্বোত্তম উম্মাত।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ النَّحَّاسِ الرَّمْلِيُّ، وَأَيُّوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الرَّقِّيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنِ ابْنِ شَوْذَبٍ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " نُكْمِلُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ سَبْعِينَ أُمَّةً نَحْنُ آخِرُهَا وَخَيْرُهَا " .
It was narrated from Bahz bin Hakim, from his father, that his grandfather said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘On the Day of Resurrection, we will complete seventy nations, of whom we are the last and the best.’”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৪. মুহাম্মাদ ﷺ -এর উম্মাতের বৈশিষ্ট্য
৭/৪২৮৮। বাহয ইবনে হাকীম (রাঃ) থেকে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয় তোমরা উম্মাতের সংখ্যা সত্তরে পূর্ণ করেছো। এদের মধ্যে তোমরাই আল্লাহর নিকট অধিক উত্তম ও মর্যাদাবান উম্মাত।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ خِدَاشٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " إِنَّكُمْ وَفَّيْتُمْ سَبْعِينَ أُمَّةً أَنْتُمْ خَيْرُهَا وَأَكْرَمُهَا عَلَى اللَّهِ " .
It was narrated from Bahz bin Hakim, from his father, that his grandfather said:
“I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: ‘You complete seventy nations, of which you are the best and dearest to Allah.’”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৪. মুহাম্মাদ ﷺ -এর উম্মাতের বৈশিষ্ট্য
৮/৪২৮৯। বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জান্নাতীদের একশত বিশটি কাতার হবে। তন্মধ্যে এই উম্মাতের হবে আশিটি কাতার এবং অন্যান্য উম্মাতের হবে চল্লিশটি।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِسْحَاقَ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ حَفْصٍ الأَصْبَهَانِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " أَهْلُ الْجَنَّةِ عِشْرُونَ وَمِائَةُ صَفٍّ ثَمَانُونَ مِنْ هَذِهِ الأُمَّةِ وَأَرْبَعُونَ مِنْ سَائِرِ الأُمَمِ " .
It was narrated from Sulaiman bin Buraidah, from his father, that the Prophet (ﷺ) said:
“The people of Paradise are one hundred and twenty ranks, eighty from this nation and forty from all other nations.”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৪. মুহাম্মাদ ﷺ -এর উম্মাতের বৈশিষ্ট্য
৯/৪২৯০। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমরা হলাম সর্বশেষ উম্মাত এবং সর্বপ্রথম আমাদের হিসাব গ্রহণ করা হবে। বলা হবে, উম্মী (নিরক্ষর) নবীর উম্মাত এবং তাদের নবী কোথায়? সুতরাং আমরা হলাম সর্বশেষ উম্মাত (দুনিয়াতে আগমনের দিক থেকে) এবং সর্বাপ্রথম উম্মাত (জান্নাতে প্রবেশের দিক থেকে)।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ إِيَاسٍ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ نَحْنُ آخِرُ الأُمَمِ وَأَوَّلُ مَنْ يُحَاسَبُ يُقَالُ أَيْنَ الأُمَّةُ الأُمِّيَّةُ وَنَبِيُّهَا فَنَحْنُ الآخِرُونَ الأَوَّلُونَ " .
It was narrated from Ibn ‘Abbas that the Prophet (ﷺ) said:
“We are the last of the nations, and the first to be brought to account. It will be said: ‘Where is the unlettered nation and its Prophet?’ So we are the last and the first.”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৪. মুহাম্মাদ ﷺ -এর উম্মাতের বৈশিষ্ট্য
১০/৪২৯১। আবূ বুরদা (রাঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ কিয়ামতের দিন সমগ্র সৃষ্টিকে একত্র করার পর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মাতকে সিজদারত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হবে। তারা দীর্ঘক্ষণ তাঁর উদ্দেশে সিজদারত থাকবে। অতঃপর বলা হবে, তোমরা মাথা উঠাও। আমি তোমাদের সমসংখ্যককে (কাফেরকে) জাহান্নামের ফিদয়া স্বরূপ দিয়েছি।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ أَبِي الْمُسَاوِرِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِذَا جَمَعَ اللَّهُ الْخَلاَئِقَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أُذِنَ لأُمَّةِ مُحَمَّدٍ بِالسُّجُودِ فَيَسْجُدُونَ لَهُ طَوِيلاً ثُمَّ يُقَالُ ارْفَعُوا رُءُوسَكُمْ قَدْ جَعَلْنَا عِدَّتَكُمْ فِدَاءَكُمْ مِنَ النَّارِ " .
It was narrated from Abu Burdah that his father said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘When Allah gathers all creatures on the Day of Resurrection, permission will be given to the nation of Muhammad to prostrate, so they will prostrate to Him for a long time. Then it will be said: “Raise your heads, for a certain number of you will go to Hell-fire and these will be your ransom from Hell.”
পরিচ্ছেদঃ ৩১/৩৪. মুহাম্মাদ ﷺ -এর উম্মাতের বৈশিষ্ট্য
১১/৪২৯২। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এই উম্মাত হলো অনুগ্রহপ্রাপ্ত। এদের দ্বারাই এদের শাস্তি হবে (পারস্পরিক হানাহানির মাধ্যমে)। কিয়ামতের দিন প্রত্যেক মুসলিমকে একজন করে মুশরিক সোপর্দ করা হবে এবং বলা হবে, জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য এই হলো তোমার ফিদয়া।
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু জুবারাহ ইবনুল মুগাল্লিস ও কাসীর বিন সুলায়ম এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৯৩ টি শাহিদ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ মুসলিম ২৭৬৮, ২৭৬৯, আহমাদ ১৯০৫০, ১৯০৬৫, ১৯১০২, ১৯১৫৬, ১৯১৬০, ১৯১৭০, ১৯১৭৫।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّ هَذِهِ أُمَّةٌ مَرْحُومَةٌ عَذَابُهَا بِأَيْدِيهَا فَإِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ دُفِعَ إِلَى كُلِّ رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ رَجُلٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَيُقَالُ هَذَا فِدَاؤُكَ مِنَ النَّارِ " .
It was narrated from Anas bin Malik that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“This nation has been granted mercy (in the Hereafter) and its torment (in this world) is at the hands of one another. When the Day of Resurrection comes, each Muslim man will be given a man from among the idolaters and it will be said: ‘This is your ransom from the Fire.’”