পরিচ্ছেদঃ ১৯/৭৬. কোরবানীর দিনের ভাষণ
১/৩০৫৫। সুলায়মান ইবনে ’আমর ইবনুল আহ্ওয়াস (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলে, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বিদায় হজ্জে বলতে শুনেছিঃ হে লোকসকল! কোন্ দিনটি সর্বাধিক সম্মানিত? তিনি তিনবার এ কথা বলেন। তারা বলেন, হজ্জের বড় দিন। তিনি বলেনঃ তোমাদের রক্ত (জীবন), তোমাদের সম্পদ, তোমাদের মান-সম্ভ্রম তোমাদের পরস্পরের জন্য (তাতে হস্তক্ষেপ করা) হারাম, যেভাবে তোমাদের এ দিনে, এই মাসে এবং এই শহরে হারাম। সাবধান! কেউ অপরাধ করলে সেজন্য তাকেই গ্রেপ্তার করা হবে। পিতার অপরাধের জন্য পুত্রকে দায়ী করা যাবে না এবং পুত্রের অপরাধের জন্য পিতাকে দায়ী করা যাবে না। জেনে রাখো! তোমাদের এই শহরে শয়তান নিজের জন্য ইবাদত পাওয়া থেকে চিরকালের জন্য নিরাশ হয়ে গেছে।
কিন্তু কতগুলো কাজ যা তোমরা তুচ্ছজ্ঞানে করতে গিয়ে শয়তানের আনুগত্য করো এবং তাতে সে খুশি হয়ে যায়। সাবধান! জাহিলী যুগের সকল রক্তের (হত্যার) দাবি রহিত হলো। এসব দাবির মধ্যে আমি সর্ব প্রথম আল-হারিস ইবনে আবদুল মুত্তালিবের রক্তের দাবি রহিত করছি, সে লাইস গোত্রে প্রতিপালিত হওয়াকালে হুযাইল গোত্রের লোকেরা তাকে হত্যা করে। সাবধান! জাহিলী যুগের সমস্ত সূদের দাবি রহিত হলো। তবে তোমার মূলধন ফেরত পাবে, তোমরাও জুলুম করবে না এবং জুলুমের শিকারও হবে না। শোনো হে আমার উম্মাত! আমি কি পৌঁছে দিয়েছি? একথা তিনি তিনবার জিজ্ঞেস করেন। তারা বলেন, হাঁ। তিনি বলেনঃ হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন। একথাও তিনি তিনবার বলেন।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب الْخُطْبَةِ يَوْمَ النَّحْرِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ شَبِيبِ بْنِ غَرْقَدَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَلاَ أَىُّ يَوْمٍ أَحْرَمُ " . ثَلاَثَ مَرَّاتٍ قَالُوا يَوْمُ الْحَجِّ الأَكْبَرِ . قَالَ " فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ بَيْنَكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا أَلاَ لاَ يَجْنِي جَانٍ إِلاَّ عَلَى نَفْسِهِ وَلاَ يَجْنِي وَالِدٌ عَلَى وَلَدِهِ وَلاَ مَوْلُودٌ عَلَى وَالِدِهِ . أَلاَ إِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ أَيِسَ أَنْ يُعْبَدَ فِي بَلَدِكُمْ هَذَا أَبَدًا وَلَكِنْ سَيَكُونُ لَهُ طَاعَةٌ فِي بَعْضِ مَا تَحْتَقِرُونَ مِنْ أَعْمَالِكُمْ فَيَرْضَى بِهَا أَلاَ وَكُلُّ دَمٍ مِنْ دِمَاءِ الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ وَأَوَّلُ مَا أَضَعُ مِنْهَا دَمُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ - كَانَ مُسْتَرْضِعًا فِي بَنِي لَيْثٍ فَقَتَلَتْهُ هُذَيْلٌ - أَلاَ وَإِنَّ كُلَّ رِبًا مِنْ رِبَا الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ لَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَالِكُمْ لاَ تَظْلِمُونَ وَلاَ تُظْلَمُونَ أَلاَ يَا أُمَّتَاهُ هَلْ بَلَّغْتُ " . ثَلاَثَ مَرَّاتٍ قَالُوا نَعَمْ . قَالَ " اللَّهُمَّ اشْهَدْ " . ثَلاَثَ مَرَّاتٍ .
It was narrated from Sulaiman bin ‘Amr bin Ahwas that his father said:
“I heard the Prophet (ﷺ) say, during the Farewell Pilgrimage: ‘O people! Which day is the most sacred?’ three times. They said: ‘The day of the greatest Hajj.’ He said: ‘Your blood and your wealth and your honor are sacred to one another, as sacred as this day of yours, in this land of your. No sinner commits a sin but it is against himself. No father is to be punished for the sins of his child, and no child is to be punished for the sins of his father. Satan has despaired of ever being worshipping in this land of yours, but he will be obeyed in some matters which you regard as insignificant, and he will be content with that. All the blood feuds of the Ignorance days are abolished, and the first of them that I abolish is the blood feud of Harith bin ‘Abdul-Muttalib, who was nursed among Banu Laith and killed by Hudhail. All the usuries of the Ignorance days are abolished, but you will have your capital. Do not wrong others and you will not be wronged. O my nation, have I conveyed (the message)?’ (He asked this) three times. They said: ‘Yes.’ He said: ‘O Allah, bear witness!’ three times.”
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৭৬. কোরবানীর দিনের ভাষণ
২/৩০৫৬। মুহাম্মাদ ইবনে জুবায়ের ইবনে মুতইম (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিনার মসজিদুল খায়ফ-এ দাঁড়িয়ে বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা সেই ব্যক্তিকে সজীব ও আলোকোজ্জ্বল করে রাখুন যে আমার কথা শোনে, অতঃপর তা (অন্যদের নিকট) পৌঁছে দেয়। জ্ঞানের অনেক বাহক মূলত জ্ঞানী নয়। কোন কোন জ্ঞানের বাহক যার নিকট জ্ঞান বয়ে নিয়ে যায়, সে তার চেয়ে অধিক জ্ঞানী। তিনটি বিষয় মুমিন ব্যক্তির অন্তর প্রতারণা করতে পারে না: (১) একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর (সন্তোষ লাভের) জন্য ’আমল (কাজ) করা, (২) মুসলিম শাসকবর্গকে সদুপদেশ প্রদানে এবং (৩) মুসলিম জামা’আতের (সমাজের) সাথে সংঘবদ্ধ থাকার ব্যাপারে। কারণ মুসলিমদের দোয়া তাদেরকে পেছন দিক থেকে পরিবেষ্টন করে রাখে।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা) ২. আব্দুস সালাম বিন আবুল জানুব সম্পর্কে আবু বাকর আল-বাযযার বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে জড়িত। আবু যুরআহ আর-রাযী ও ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪১৬, ১৮/৬৩ নং পৃষ্ঠা
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু মুহাম্মাদ বিন ইসহাক ও আব্দুস সালাম বিন আবুল জানুব এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৯৩ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১ টি জাল, ৩৩ টি খুবই দুর্বল, ১১৪ টি দুর্বল, ৬৭ টি হাসান, ৭৮ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ২৬৫৬, ২৬৫৭, ২৬৫৮, আবু দাউদ ৩৬৬০, দারিমী ২২৭, ২২৮, ২২৯, ২৩০।
بَاب الْخُطْبَةِ يَوْمَ النَّحْرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ السَّلاَمِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِالْخَيْفِ مِنْ مِنًى فَقَالَ " نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مَقَالَتِي فَبَلَّغَهَا فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ غَيْرُ فَقِيهٍ وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ ثَلاَثٌ لاَ يُغِلُّ عَلَيْهِنَّ قَلْبُ مُؤْمِنٍ إِخْلاَصُ الْعَمَلِ لِلَّهِ وَالنَّصِيحَةُ لِوُلاَةِ الْمُسْلِمِينَ وَلُزُومُ جَمَاعَتِهِمْ فَإِنَّ دَعْوَتَهُمْ تُحِيطُ مِنْ وَرَائِهِمْ " .
It was narrated from Muhammad bin Jubair bin Mut’im that his father said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) stood up in Khaif in Mina, and said: ‘May Allah make his face shine, the man who hears my words and conveys them. It may be that the bearer of knowledge does not understand it, and it may be that he takes it to one who will understand it more than he does. There are three things in which the heart of the believer does not betray: sincerity of action for the sake of Allah, offering sincere advice to the rulers of the Muslims, and adhering to the Jama’ah (main body of the Muslims). Their supplication is answered (i.e. encompassing every good, and all of the people).”
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৭৬. কোরবানীর দিনের ভাষণ
৩/৩০৫৭। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফাতের ময়দানে তাঁর কানকাটা উষ্ট্রীতে আরোহিত অবস্থায় বলেনঃ তোমরা কি জানো আজ কোন দিন, এটা কোন মাস এবং এটা কোন শহর? তারা বলেন, এটা (মক্কা) সম্মানিত শহর, সম্মানিত মাস ও সম্মানিত দিন। তিনি আরো বলেনঃ সাবধান! তোমাদের সম্পদ ও তোমাদের রক্ত তোমাদের পরস্পরের প্রতি তেমনি হারাম যেমনি তোমাদের এই মাসের সম্মান রয়েছে তোমাদের এই শহরে তোমাদের এই দিনে। শুনে রাখো! আমি তোমাদের আগেই হাওযে কাওসারে উপস্থিত থাকবো। অন্যান্য উম্মাতের তুলনায় তোমাদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে আমি গৌরব করবো। তোমরা যেন আমার চেহারা কালিমালিপ্ত না করো। সাবধান! কিছু লোককে আমি মুক্ত করতে পারবো, আর কিছু লোককে আমার নিকট থেকে ছিনিয়ে নেয়া হবে। তখম আমি বলবো, হে আল্লাহ! এরা তো আমার সাহাবী! তিনি বলবেনঃ তোমার পরে এরা কী বিদআতী কাজ করেছে, তা তুমি জানো না।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী যাফির বিন সুলায়মান সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না, তার দুর্বলতার সাথে তার থেকে হাদিস লিখা যায়। আবুল হাসান ইবনুল মুদানী বলেন, আমি তার হাদিস বর্জন করেছি। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৯৪৭, ৯/২৬৭ নং পৃষ্ঠা) ২. আবু সিনান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী ও সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিসের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী ও ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। মুহাম্মাদ বিন আম্মার বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২২৯৪, ১০/৪৯২ নং পৃষ্ঠা)
بَاب الْخُطْبَةِ يَوْمَ النَّحْرِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ تَوْبَةَ، حَدَّثَنَا زَافِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ عَلَى نَاقَتِهِ الْمُخَضْرَمَةِ بِعَرَفَاتٍ فَقَالَ " أَتَدْرُونَ أَىُّ يَوْمٍ هَذَا وَأَىُّ شَهْرٍ هَذَا وَأَىُّ بَلَدٍ هَذَا " . قَالُوا هَذَا بَلَدٌ حَرَامٌ وَشَهْرٌ حَرَامٌ وَيَوْمٌ حَرَامٌ . قَالَ " أَلاَ وَإِنَّ أَمْوَالَكُمْ وَدِمَاءَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا فِي يَوْمِكُمْ هَذَا أَلاَ وَإِنِّي فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ وَأُكَاثِرُ بِكُمُ الأُمَمَ فَلاَ تُسَوِّدُوا وَجْهِي أَلاَ وَإِنِّي مُسْتَنْقِذٌ أُنَاسًا وَمُسْتَنْقَذٌ مِنِّي أُنَاسٌ فَأَقُولُ يَا رَبِّ أُصَيْحَابِي . فَيَقُولُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ " .
It was narrated that ‘Abdullah bin Mas’ud said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said, when he was atop his camel with the clipped ears in ‘Arafat: ‘Do you know what day this is, what month this is and what land this is?’ They said: ‘This is a sacred land, a sacred month and a sacred day.’ He said: ‘Your wealth and your blood are sacred to you as this month of yours, in this land of yours, on this day of yours. I will reach the Cistern (Hawd) before you, and I will be proud of your great numbers before the nations, so do not blacken my face (i.e., cause me to be ashamed). I will rescue some people, and some people will be taken away from me. I will say: “O Lord, my companions!” and He will say: “You do not know what innovations they introduced after you were gone.’”
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৭৬. কোরবানীর দিনের ভাষণ
৪/৩০৫৮। ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে বছর হজ্জ করেন, সেই বছর কোরবানীর দিন জামরাসমূহের মধ্যস্থলে দাঁড়ালেন এবং জিজ্ঞাসা করলেনঃ আজ কোন্ দিন? সাহাবীগণ বললেন, কোরবানীর দিন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ এটি কোন্ শহর? তারা বললেন, এটা আল্লাহর সম্মানিত শহর। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এটি কোন্ মাস? তারা বললেন, আল্লাহর সম্মানিত মাস। তিনি বলেনঃ এটি হজ্জের বড় দিন। তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ ও তোমাদের মান-সম্ভ্রম (প্রভৃতির উপর হস্তক্ষেপ) তোমাদের জন্য হারাম, যেমন এই শহরের হুরমাত (সম্মান) এই মাসে এবং এই দিনে। তিনি পুনরায় বলেনঃ আমি কি পৌঁছে দিয়েছি? তারা বলেন, হাঁ। তখন তিনি বলতে শুরু করলেনঃ হে আল্লাহ! সাক্ষী থাকুন। অতঃপর তিনি লোকেদের বিদায় দেন। তখন তারা বলেন, এটা বিদায় হজ্জ।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب الْخُطْبَةِ يَوْمَ النَّحْرِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ الْغَازِ، قَالَ سَمِعْتُ نَافِعًا، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَقَفَ يَوْمَ النَّحْرِ بَيْنَ الْجَمَرَاتِ فِي الْحَجَّةِ الَّتِي حَجَّ فِيهَا فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " أَىُّ يَوْمٍ هَذَا " . قَالُوا يَوْمُ النَّحْرِ . قَالَ " فَأَىُّ بَلَدٍ هَذَا " . قَالُوا هَذَا بَلَدُ اللَّهِ الْحَرَامُ . قَالَ " فَأَىُّ شَهْرٍ هَذَا " . قَالُوا شَهْرُ اللَّهِ الْحَرَامُ . قَالَ " هَذَا يَوْمُ الْحَجِّ الأَكْبَرِ وَدِمَاؤُكُمْ وَأَمْوَالُكُمْ وَأَعْرَاضُكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ هَذَا الْبَلَدِ فِي هَذَا الشَّهْرِ فِي هَذَا الْيَوْمِ " . ثُمَّ قَالَ " هَلْ بَلَّغْتُ " . قَالُوا نَعَمْ . فَطَفِقَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " اللَّهُمَّ اشْهَدْ " . ثُمَّ وَدَّعَ النَّاسَ فَقَالُوا هَذِهِ حَجَّةُ الْوَدَاعِ .
It was narrated from Ibn ‘Umar that the Messenger of Allah (ﷺ) stood, on the Day of Sacrifice, between the Pillars, during the Hajj that he performed. The Prophet (ﷺ) said:
“What day is this?” They said: “The day of sacrifice.” He said: “What land is this?” They said: “This is the sacred land of Allah.” He said: “What month is this?” They said: “The sacred month of Allah.” He said: “This is the day of the greatest Hajj, and your blood, your wealth and your honor are sacred to you, as sacred as this land, in this month, on this day.” Then he said: “Have I conveyed (the message)?” They said: “Yes.” Then the Prophet (ﷺ) started to say: “O Allah, bear witness.” Then he bade farewell to the people, and they said: “This is the Farewell Pilgrimage.”