পরিচ্ছেদঃ ১৯/৩২. তাওয়াফের ফযীলাত
১/২৯৫৬। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ লোকেদের করলো এবং দু’ রাক’আত নামায পড়লো, তা একটি ক্রীতদাসকে দাসত্বমুক্ত করার সমতুল্য।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা)
بَاب فَضْلِ الطَّوَافِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " مَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ كَانَ كَعِتْقِ رَقَبَةٍ " .
It was narrated that ‘Abdullah bin ‘Umar said:
“I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: ‘Whoever performs Tawaf around the House and prays two Rak’ah, it is as if he freed a slave.’”
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৩২. তাওয়াফের ফযীলাত
২/২৯৫৭। হুমাইদ ইবনে আবূ সাবিয়্যা (রাঃ) বলেন, আমি ইবনে হিশামকে রুকনে ইয়ামানী সম্পর্কে আতা ইবনে আবূ রাবাহ (রাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞেস করতে শুনেছি। তিনি তখন বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করছিলেন। আতা (রাঃ) বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ (রুকনে ইয়ামানীতে) সত্তরজন ফেরেশতা মোতায়েন আছেন।
অতএব যে ব্যক্তি বলে, ’’আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল আফ্ওয়া, ওয়াল-আফিয়াতা ফিদ-দুন্য়া ওয়াল-আখিরাতে রববানা আতিনা ফিদ-দুন্য়া হাসানাতান ওয়াফিল-আখিরাতে হাসানাতান ওয়াকিনা আযাবান-নার,’’ তখন ফেরেশতাগণ বলেন, আমীন। (’’হে আল্লাহ আমি আপনার নিকট ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করি দুনিয়া ও আখেরাতের। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়ার কল্যাণ দান করুন, আখেরাতেও কল্যাণ দান করুন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন’’)।
আতা (রাঃ) রুকনুল-আসওয়াদে (হাজরে আসওয়াদ) পৌঁছলে ইবনে হিশাম (রহঃ) বলেন, হে আবূ মুহাম্মাদ! এই রুকনুল আসওয়াদ সম্পর্কে আপনি কী জানতে পেরেছেন? আতা (রহঃ) বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেনঃ ’’যে কেউ তার সামনা-সামনি হলো, সে যেন দয়াময় আল্লাহর হাতের সামনাসামনি হলো’’। ইবনে হিশাম তাকে পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, হে আবূ মুহাম্মদ! তাওয়াফ সম্পর্কে কী এসেছে?
আতা (রহঃ) বলেন, আমার নিকট আবূ হুরায়রা (রাঃ) হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেনঃ ’’যে ব্যক্তি সাতবার বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে এবং কোন কথা না বলে নিম্নোক্ত দোয়া পড়ে, ’’সুবহানাল্লাহ ওয়াল-হামদুল্লিাহ ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’’, তার দশটি গুনাহ মুছে যাবে, তার জন্য দশটি নেকি লেখা হবে এবং তার মর্যাদা দশ গুণ বৃদ্ধি করা হবে। আর যে ব্যক্তি তাওয়াফরত অবস্থায় কথা বলে, সে তার পদদ্বয় কেবল রহমতের মধ্যে ডুবিয়ে রাখে, যেমন কারো পদদ্বয় পানিতে ডুবে থাকে।
তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী, ইবনু আবু শায়বাহ, আমর ইবনুল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭২, ৩/১৬৩ নং পৃষ্ঠা) ২. হুমায়দ বিন আবু সাবিয়্যাহ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী ও আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি কুফুরী নয় এমন কওলী বা আমলী কোন ফিসক এর সাথে জড়িত। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি অপরিচিত। ইমাম যাহাবী তাকে মুনকার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৫২৯, ৭/৩৭৩ নং পৃষ্ঠা)
بَاب فَضْلِ الطَّوَافِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ أَبِي سَوِيَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ هِشَامٍ، يَسْأَلُ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ عَنِ الرُّكْنِ الْيَمَانِيِّ، وَهُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ فَقَالَ عَطَاءٌ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " وُكِلَ بِهِ سَبْعُونَ مَلَكًا فَمَنْ قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ - قَالُوا آمِينَ " . فَلَمَّا بَلَغَ الرُّكْنَ الأَسْوَدَ قَالَ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ مَا بَلَغَكَ فِي هَذَا الرُّكْنِ الأَسْوَدِ فَقَالَ عَطَاءٌ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " مَنْ فَاوَضَهُ فَإِنَّمَا يُفَاوِضُ يَدَ الرَّحْمَنِ " . قَالَ لَهُ ابْنُ هِشَامٍ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ فَالطَّوَافُ قَالَ عَطَاءٌ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " مَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا وَلاَ يَتَكَلَّمُ إِلاَّ بِسُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَقُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ مُحِيَتْ عَنْهُ عَشْرُ سِيِّئَاتٍ وَكُتِبَتْ لَهُ عَشْرُ حَسَنَاتٍ وَرُفِعَ لَهُ بِهَا عَشْرُ دَرَجَاتٍ وَمَنْ طَافَ فَتَكَلَّمَ وَهُوَ فِي تِلْكَ الْحَالِ خَاضَ فِي الرَّحْمَةِ بِرِجْلَيْهِ كَخَائِضِ الْمَاءِ بِرِجْلَيْهِ " .
Humaid bin Abu Sawiyyah said:
I heard Ibn Hisham asking ‘Ata’ bin Abu Rabah about the Yemenite Corner, when he was performing Tawaf around the House. ‘Ata’ said: Abu Hurairah told me that the Prophet (ﷺ) said: “Seventy angels have been appointed over it. Whoever says: Allahumma inni as’alukal-‘afwa wal-‘afiyah fid-dunya wal-akhirah; Rabbana atina fid-dunya hasanah, wa fil-akhirati hasanah, wa qina ‘adhaban-Nar (O Allah, I ask You for pardon and well-being in this world and in the Hereafter. Our Lord, give us good in this world and good in the Hereafter and protect us from the torment of the Fire), they say: Amin.” When he reached the Black Corner (where the Black Stone is), he said: O Abu Muhammad! What have you heard about this Black Corner? ‘Ata’ said: Abu Hurairah told me that he heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: “Whoever faces it is facing the Hand of the Most Merciful.’” Ibn Hisham said to him: O Abu Muhammad, what about Tawaf? ‘Ata’ said: Abu Hurairah told me that he heard the Prophet (ﷺ) say: “Whoever performs Tawaf around the House seven times and does not say anything except: Subhan Allah wal-hamdu lillah, wa la ilaha illallah wa Allahu Akbar, wa la hawla wa la quwwata illa billah (Glory is to Allah, praise is to Allah, none has the right to be worshipping but Allah, and there is no power nor strength except with Allah), ten bad deeds will be erased from him, ten merits will be recorded for him, and he will be raised ten degrees in status. Whoever performs Tawaf and talks when he is in that situation, is wading in mercy like one who wades in water.”