পরিচ্ছেদঃ ৭/৪৬. রোযাদারের সামনে কেউ পানাহার করলে।
১/১৭৪৮। উম্মু ’উমারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এখানে আসলে আমরা তাঁর সামনে খাদ্যসামগ্রী পরিবেশন করলাম। তাঁর সাথের কতক লোক ছিল রোযাদার। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ রোযাদারের সামনে আহার করা হলে ফেরেশতাগণ তার জন্য (আল্লাহর) অনুগ্রহ কামনা করেন।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী লায়লা সম্পর্কে ইমাম যাহাবী অজ্ঞাত নারীর অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, তার সুত্রে হাবিব ইবনু যায়দ একক হয়ে গেছেন। হাফিয তার সম্পর্কে মুতাবআতের ক্ষেত্রে মাকবুল বলেছেন। অন্যথায় তিনি হাদিস গ্রহনে শিথিল। কিন্তু তার মুতাবিআত জানা যায়নি। বরং একথা বলা সম্ভব যে, তিনি বিপরীত করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৯২৭, ৩৫/৩০১ নং পৃষ্ঠা)
بَاب فِي الصَّائِمِ إِذَا أُكِلَ عِنْدَهُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ وَسَهْلٌ قَالُوا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ حَبِيبِ بْنِ زَيْدٍ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ امْرَأَةٍ يُقَالُ لَهَا لَيْلَى عَنْ أُمِّ عُمَارَةَ قَالَتْ أَتَانَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَرَّبْنَا إِلَيْهِ طَعَامًا فَكَانَ بَعْضُ مَنْ عِنْدَهُ صَائِمًا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الصَّائِمُ إِذَا أُكِلَ عِنْدَهُ الطَّعَامُ صَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ
It was narrated that Umm ‘Umarah said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) came to us and we brought food for him. Some of those who were with him were fasting, and the Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘If food is eaten in the presence of one who is fasting, the angels send blessing upon him.’”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৪৬. রোযাদারের সামনে কেউ পানাহার করলে।
২/১৭৪৯। বুরাইদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাল (রাঃ)-কে বললেনঃ হে বিলাল! সকালের খাবার। বিলাল (রাঃ) বলেন, আমি রোযাদার। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমরা আমাদের রিযিক আহার করবো, আর বিলালের অংশ রয়েছে জান্নাতে। হে বিলাল! তুমি কি জানো যে, রোযাদারের সামনে খাওয়া-দাওয়া করা হলে, তার হাড়সমূহ আল্লাহর গুণগান করে এবং ফেরেশতাগণ তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে!
তাহকীক আলবানীঃ বানোয়াট। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ ইবনুল মুসাফফা আল-হিমসী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী ও ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ ও তাদলীস করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৬১৩, ২৬/৪৬৫ নং পৃষ্ঠা) ২. বাকিইয়্যাহ সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, যখন তিনি সিকাহ রাবী থেকে হাদিস বর্ণনা করেন তখন তাকে সিকাহ হিসেবে গন্য করা হবে। ইমাম নাসাঈ বলেন, যখন তিনি হাদ্দাসানা বা আখবারনা শব্দদয় দ্বারা হাদিস বর্ণনা করেন তখন তিনি সিকাহ হিসেবে গন্য হবেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৩৮, ৪/১৯২ নং পৃষ্ঠা) ৩. মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি মিথ্যুক তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আল-উকায়লী বলেন, তিনি অপরিচিত, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আল-আযদী তিনি মিথ্যুক তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইমাম যাহাবী তাকে উল্লেখ করে বলেন, তার মাঝে জাহালাত রয়েছে। তিনি সন্দেহভাজন নির্ভরযোগ্য নয়। তার সম্পর্কে আবুল ফাত্তাহ আদ্দী বলেন, তিনি মিথ্যুক তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪১৬, ২৫/৬৫৭ নং পৃষ্ঠা)
بَاب فِي الصَّائِمِ إِذَا أُكِلَ عِنْدَهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِبِلَالٍ الْغَدَاءُ يَا بِلَالُ فَقَالَ إِنِّي صَائِمٌ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَأْكُلُ أَرْزَاقَنَا وَفَضْلُ رِزْقِ بِلَالٍ فِي الْجَنَّةِ أَشَعَرْتَ يَا بِلَالُ أَنَّ الصَّائِمَ تُسَبِّحُ عِظَامُهُ وَتَسْتَغْفِرُ لَهُ الْمَلَائِكَةُ مَا أُكِلَ عِنْدَهُ
It was narrated from Sulaiman bin Buraidah that his father said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said to Bilal: ‘Come and eat, O Bilal.’ He said: ‘I am fasting.’ The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘We are eating our provision, but most of Bilal’s provision is in Paradise. Do you realise, O Bilal, that the bones of the fasting person glorify Allah and the angels pray for forgiveness for him so long as food is eaten in front of him?’”