পরিচ্ছেদঃ ৭/২৬. রাত থাকতে ফরয রোযার নিয়াত করা এবং নফল রোযার নিয়াতে বিলম্ব করা যায়।
১/১৭০০। হাফসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাত থাকতে ফরয রোযার নিয়াত করলো না তার রোযা হয়নি।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. খালিদ বিন মাখলাদ আল-কাতওয়ানী সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আলী আল জুরজানী বলেন, ইনশাআল্লাহ্ আমার আমার নিকট তার ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। ইমাম যাহাবী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৬৫২, ৮/১৬৩ নং পৃষ্ঠা) ২. ইসহাক বিন হাযিম সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল আযদী বলেন, তিনি কাদিরিয়া মতাবলম্বী। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার কাদারিয়া মতাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ আছে। ইমাম যাহাবী ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৮, ২/৪১৭ নং পৃষ্ঠা)
بَاب مَا جَاءَ فِي فَرْضِ الصَّوْمِ مِنْ اللَّيْلِ وَالْخِيَارِ فِي الصَّوْمِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ الْقَطَوَانِيُّ عَنْ إِسْحَقَ بْنِ حَازِمٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ سَالِمٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ حَفْصَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَا صِيَامَ لِمَنْ لَمْ يَفْرِضْهُ مِنْ اللَّيْلِ
It was narrated from Hafsah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"There is no fast for the one who did not make it incumbent upon himself from the night before."
পরিচ্ছেদঃ ৭/২৬. রাত থাকতে ফরয রোযার নিয়াত করা এবং নফল রোযার নিয়াতে বিলম্ব করা যায়।
২/১৭০১। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এসে বলেনঃ তোমাদের কাছে (আহার করার মত) কিছু আছে কি? আমরা বললাম, না। তিনি বলেন, তাহলে আমি রোযা রাখলাম। অতঃপর তিনি রোযা অবস্থায় থাকেন। আমাদের নিকট কিছু হাদিয়া এলে তিনি রোযা ভাঙ্গ করেন। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, তিনি কখনো রোযা রাখতেন আবার কখনো রোযা রাখতেন না। রাবী মুজাহিদ (রহ.) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, তা কিভাবে? ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, তার দৃষ্টান্ত এরূপ যে, কোন ব্যক্তি সদকার মাল নিয়ে দান করার উদ্দেশে বের হয়ে এর কিছু অংশ দান করে, আর কিছু অংশ রেখে দেয়।
তাহকীক আলবানীঃ হাসান। ইসমাইল বিন মুসা সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু শিয়া মতাবলম্বী। ইবনু হিব্বান বলেন তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন ও তার রাফিদি মতাবলম্বী। হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৯১, ৩/২১০ নং পৃষ্ঠা) ২. তালহাহ বিন ইয়াহইয়া বিন তালহাহ বিন উবায়দুল্লাহ সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, কোন সমস্যা নেই। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সালিহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৯৮৪, ১৩/৪৪১ নং পৃষ্ঠা)
بَاب مَا جَاءَ فِي فَرْضِ الصَّوْمِ مِنْ اللَّيْلِ وَالْخِيَارِ فِي الصَّوْمِ
حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَقَالَ هَلْ عِنْدَكُمْ شَيْءٌ فَنَقُولُ لَا فَيَقُولُ إِنِّي صَائِمٌ فَيُقِيمُ عَلَى صَوْمِهِ ثُمَّ يُهْدَى لَنَا شَيْءٌ فَيُفْطِرُ قَالَتْ وَرُبَّمَا صَامَ وَأَفْطَرَ قُلْتُ كَيْفَ ذَا قَالَتْ إِنَّمَا مَثَلُ هَذَا مَثَلُ الَّذِي يَخْرُجُ بِصَدَقَةٍ فَيُعْطِي بَعْضًا وَيُمْسِكُ بَعْضًا.
It was narrated that ‘Aishah said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) would enter upon me and say: ‘Do you have anything (any food)?’ If we said: ‘No,’ he would say: ‘Then I am fasting.’ So he would continue fasting, then it we were given some food, he would break his fast.” She said: “Sometimes he would fast and (then) break fast (i.e., combine fasting and breaking fast in one day).” I said: “How is that?” She said: “Like the one who goes out with charity (i.e., something to give in charity),and he gives some away and keeps some.”