পরিচ্ছেদঃ ৭/১৪. যে ব্যক্তি রমযানের একটি রোযাও ভঙ্গ করে তার কাফফারা।
১/১৬৭১। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিান বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। তিনি বলেনঃ কিসে তোমাকে ধ্বংস করলো। সে বললো, আমি রমযানের রোযারত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি একটি গোলাম আযাদ করো সে বললো, আমার সেই সামর্থ্য নাই। তিনি বলেনঃ তাহলে একাধারে দু’ মাস রোযা রাখো। সে বললো, আমার সেই সামর্থ্যও নাই। তিনি বলেনঃ তাহলে ষাটজন মিসকীনকে আহার করাও। সে বললো, আমার সেই সামর্থ্যও নাই। তিনি বলেনঃ তুমি বসো। অতএব সে বসে থাকলো। ইতোমধ্যে এক ঝুড়ি খেজুর এলো। তিনি বলেনঃ যাও এটা দান করে দাও। সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! সেই সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন! মদিনার দু’ কংকরময় প্রান্তরের মাঝে আমাদের চেয়ে অধিক অভাবগ্রস্ত আর কেউ নেই। তিনি বলেনঃ যাও, এগুলো তোমার পরিবার-পরিজনদের খাওয়াও।
১/১৬৭১ (১)। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তার পরিবর্তে একদিন রোযা রাখো।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল জাব্বার বিন উমার সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা'দ সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি একাধিক মুনকার হাদিস বর্ণনা করেছেন। আল-যাহলী বলেন, তিনি খুবই দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ও মুনকার। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৬৯৫, ১৬/৩৮৮ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু আবদুল জাব্বার বিন উমার এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৫১৪ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ৬৬ টি অধিক দুর্বল, ১৫৪, টি দুর্বল, ১৪১ টি হাসান, ১৫৩ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৯৩৫, ১৯৩৬, ১৯৩৭, ২৬০০, ৫৩৬৮, ৬০৮৭, ৬১৬৪, ৬৭০৯, ৬৭১০, ৬৭১১, ৬৮২২, মুসলিম ১১১২, ১১১৩, তিরমিযি ১১৯৮, ১১৯৯, ৩২৯৯, সুনান আবু দাউদ ২২১৩, ২২১৪, ২২১৭, ২২১৮, ২২২১, ২২২২, ২৩৯০, ২৩৯৪, দারিমী ১৭১৬, ১৭১৮, ২২৭৩ ইত্যাদি।
بَاب مَا جَاءَ فِي كَفَّارَةِ مَنْ أَفْطَرَ يَوْمًا مِنْ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ هَلَكْتُ قَالَ وَمَا أَهْلَكَكَ قَالَ وَقَعْتُ عَلَى امْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَعْتِقْ رَقَبَةً قَالَ لَا أَجِدُ قَالَ صُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ قَالَ لَا أُطِيقُ قَالَ أَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا قَالَ لَا أَجِدُ قَالَ اجْلِسْ فَجَلَسَ فَبَيْنَمَا هُوَ كَذَلِكَ إِذْ أُتِيَ بِمِكْتَلٍ يُدْعَى الْعَرَقَ فَقَالَ اذْهَبْ فَتَصَدَّقْ بِهِ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا بَيْنَ لَابَتَيْهَا أَهْلُ بَيْتٍ أَحْوَجُ إِلَيْهِ مِنَّا قَالَ فَانْطَلِقْ فَأَطْعِمْهُ عِيَالَكَ
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ فَقَالَ وَصُمْ يَوْمًا مَكَانَهُ.
It was narrated that Abu Hurairah said:
“A man came to the Prophet (ﷺ) and said: ‘I am doomed.’ He said: ‘Why are you doomed?’ He said: ‘I had intercourse with my wife in Ramadan.’ The Prophet (ﷺ) said: ‘Free a slave.’ He said: ‘I cannot.’ He said: ‘Fast for two consecutive months.’ He said: ‘I cannot.’ He said: ‘Feed sixty poor persons.’ He said: ‘I cannot.’ He said: ‘Sit down.’ So he sat down, and while doing so a basketful of dates was brought. The Prophet (ﷺ) said: ‘Go and give this in charity.’ He said: ‘O Messenger of Allah, by the One Who sent you with the truth, there is no household between its two lava fields (i.e., in Al-Madinah) that is more in need of it than us.’ He said: ‘Then go and feed your family.’”
পরিচ্ছেদঃ ৭/১৪. যে ব্যক্তি রমযানের একটি রোযাও ভঙ্গ করে তার কাফফারা।
২/১৬৭২। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিনা ওজরে রমযান মাসের একদিন রোযা ভাঙ্গে সে সারা জীবন রোযা রাখলেও তার ক্ষতিপূরণ হবে না।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী (ইয়াযীদ) ইবনুল মুতাব্বিস সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে সিকাহ বললেও আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, আমি তাকে চিনি না। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি তার পিতা থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন, যা তার হাদিসের অনুসরণ করা যায় না। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি অপরিচিত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৬৩৪, ৩৪/২৯৯ নং পৃষ্ঠা) ২. মুতাব্বিস সম্পর্কে ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি অপরিচিত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬০১০, ২৮/৮৯ নং পৃষ্ঠা)
بَاب مَا جَاءَ فِي كَفَّارَةِ مَنْ أَفْطَرَ يَوْمًا مِنْ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ عَنْ ابْنِ الْمُطَوِّسِ عَنْ أَبِيهِ الْمُطَوِّسِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مَنْ أَفْطَرَ يَوْمًا مِنْ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ رُخْصَةٍ لَمْ يُجْزِهِ صِيَامُ الدَّهْرِ
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever does not fast one day in Ramadan without having a concession allowing that, fasting for a lifetime will not make up for that.”