পরিচ্ছেদঃ ৭/২. রমযান মাসের ফযীলত
১/১৬৪১। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশায় রমযান মাসের রোযা রাখলো, তার পূর্বের গুণাহরাশি মাফ করা হলো।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ পৃষ্ঠা)
بَاب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
‘Whoever fasts Ramadan out of faith and the hope of reward will be forgiven his previous sins.”
পরিচ্ছেদঃ ৭/২. রমযান মাসের ফযীলত
২/১৬৪২। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন রমযান মাসের প্রথম রাত আসে, তখন শয়তান ও অভিশপ্ত জিনদের শৃংখলিত করা হয়,জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়, তার একটি দরজাও খোলা হয় না, জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, এর একটি দরজাও বন্ধ হয় না এবং একজন ঘোষক ডেকে বলেন, হে সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তি! অগ্রসর হও, হে অসৎকর্মপরায়ণ! থেমে যাও। আল্লাহ্ (রমযানের) প্রতিটি রাতে অসংখ্য লোককে জাহান্নাম থেকে নাজাত দেন।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
بَاب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا كَانَتْ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ صُفِّدَتْ الشَّيَاطِينُ وَمَرَدَةُ الْجِنِّ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ فَلَمْ يُفْتَحْ مِنْهَا بَابٌ وَفُتِحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ فَلَمْ يُغْلَقْ مِنْهَا بَابٌ وَنَادَى مُنَادٍ يَا بَاغِيَ الْخَيْرِ أَقْبِلْ وَيَا بَاغِيَ الشَّرِّ أَقْصِرْ وَلِلهِ عُتَقَاءُ مِنْ النَّارِ وَذَلِكَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“When the first night of Ramadan comes, the satans and mischievous jinns are chained up, and the gates of the Fire are closed, and none of its gates are opened. The gates of Paradise are opened and none of its gates are closed. And a caller cried out: ‘O seeker of good, proceed, O seeker of evil, stop.’ And Allah has necks (people) whom He frees (from the Fire), and that happens every day.”
পরিচ্ছেদঃ ৭/২. রমযান মাসের ফযীলত
৩/১৬৪৩। জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা প্রতি ইফতারের অর্থাৎ প্রতি রাতে বেশ সংখ্যক লোককে (জাহান্নাম থেকে) মুক্তি দেন।
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।
بَاب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِنَّ لِلهِ عِنْدَ كُلِّ فِطْرٍ عُتَقَاءَ وَذَلِكَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ
It was narrated from Jabir that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“At every breaking of the fast Allah has people whom He frees (from the Fire), and that happens every night.”
পরিচ্ছেদঃ ৭/২. রমযান মাসের ফযীলত
৪/১৬৪৪। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রমযান মাস শুরু হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের নিকট এ মাস সমুপস্থিত। এতে রয়েছে এমন এক রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এ থেকে যে ব্যক্তি বঞ্চিত হলো সে সমস্ত কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হলো। কেবল বঞ্চিত ব্যক্তিরাই তা থেকে বঞ্চিত হয়।
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন বিলাল সম্পর্কে আবু জা'ফার আল-উকায়লী বলেন, আমার দৃষ্টিতে তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, আমি তার ব্যাপারে ভাল ছাড়া খারাফ কিছু শুনিনি। ইমাম যাহাবী বলেন, মানুষ যেভাবে ভুল করে তিনিও সেরকম ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৯৯, ২৪/৫৪৫ নং পৃষ্ঠা)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। রমাজান মাস হলো ধৈর্যধারণ, রোজা পালন, নামাজ, উপাসনা, জিকির, পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি লাভ করার মাস। এই মাসে একটি পবিত্র ও মর্যাদাপূর্ণ রজনী আছে। সেই একটি রজনীতে সৎ কর্ম সম্পাদন করলে, সেই সৎ কর্মের মান হবে এক হাজার মাসে সৎকর্ম সম্পাদন করার চেয়ে বেশি উত্তম। তাই যে ব্যক্তি এই মর্যাদা থেকে দূরে থাকবে, সেই ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে সমস্ত কল্যাণ থেকে বঞ্চিত থাকবে।
২। এই হাদীসটির দ্বারা এই বিষয়টি সাব্যস্ত হয় যে, মুসলিম ব্যক্তির উচিত যে, সে যেন এই কল্যাণময় রমাজান মাসে বেশি বেশি সৎ কর্ম সম্পাদন করার মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভ করে। যাতে মহান আল্লাহ তাকে পুণ্য দান করেন এবং তার পাপ ক্ষমা করে দেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَدْرٍ عَبَّادُ بْنُ الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِلَالٍ حَدَّثَنَا عِمْرَانُ الْقَطَّانُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ دَخَلَ رَمَضَانُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِنَّ هَذَا الشَّهْرَ قَدْ حَضَرَكُمْ وَفِيهِ لَيْلَةٌ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ مَنْ حُرِمَهَا فَقَدْ حُرِمَ الْخَيْرَ كُلَّهُ وَلَا يُحْرَمُ خَيْرَهَا إِلَّا مَحْرُومٌ
It was narrated that Anas bin Malik said:
“Ramadan began, and the Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘This month has come to you, and in it there is a night that is better than a thousand months. Whoever is deprived of it is deprived of all goodness, and no one is deprived of its goodness except one who is truly deprived.’”