পরিচ্ছেদঃ ৬/৫৩. মৃতের জন্য কান্নাকটি করা।
১/১৫৮৭। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক জানাযায় উপস্থিত ছিলেন। ’উমার (রাঃ) এক মহিলাকে (কাঁদতে) দেখে ধমকালেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ হে ’উমার! তাকে ছেড়ে দাও। কেননা অশ্রু বর্ষণকারী, দেহ-মন বেদনাক্লিষ্ট এবং প্রতিশ্রুত সময় নিকটবর্তী।
১/১৫৮৭ (১) আবূ বকর বিন আবূ শায়বাহ-আফফান, হাম্মাদ বিন সালামাহ-হিশাম বিন ’উরওয়াহ, ওয়াহাব বিন কায়সান-মুহাম্মাদ বিন আমর বিন আত্বা-সালামাহ বিন আযরাক্ব আবূ হুরাইরাহ থেকে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী সালামাহ বিন আযরাক সম্পর্কে ইবনুল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي جِنَازَةٍ فَرَأَى عُمَرُ امْرَأَةً فَصَاحَ بِهَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم دَعْهَا يَا عُمَرُ فَإِنَّ الْعَيْنَ دَامِعَةٌ وَالنَّفْسَ مُصَابَةٌ وَالْعَهْدَ قَرِيبٌ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَفَّانُ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَزْرَقِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِهِ.
It was narrated from Abu Hurairah that the Prophet (ﷺ) was attending a funeral. ‘Umar saw a woman and shouted at her, but the Prophet (ﷺ) said, “Leave her alone, O ‘Umar, for the eye weeps and the heart is afflicted, and the bereavement is recent.”
পরিচ্ছেদঃ ৬/৫৩. মৃতের জন্য কান্নাকটি করা।
২/১৫৮৮ উসামাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর এক কন্যার শিশু পুত্রের মৃত্যু আসন্ন হলে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে তার নিকট আসার জন্য লোক মারফত বলে পাঠান। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কন্যাকে বলে পাঠান যে, সবই আল্লাহর যা তিনি নেন তাও তাঁর এবং যা তিনি দান করেন তাও তাঁর। প্রতিটি বস্তুর জন্য তাঁর নিকট একটি নির্ধারিত কাল রয়েছে। অতএব তোমার ধৈর্যধারণ ও সওয়াবের আশা করা উচিত।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যা কসম খেয়ে পুনরায় তাঁর কাছে লোক পাঠান। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে রওয়ানা হন এবং আমিও তাঁর সাথে উঠে রওয়ানা হই। তাঁর সাথে আরো ছিলেন মুআয ইবনু জাবাল, উবাদা ইবনুস সামিত ও উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ)।
আমরা গিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করলে শিশুটিকে যখন তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে দিলো, তখন তার রূহ তার বুকের মাঝে ধড়ফড় করছিল। রাবী বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেনঃ এ যেন পুরাতন মশক। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেঁদে ফেললেন। উবাদা ইবনুস সামিত (রাঃ) তাঁকে বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! একী? তিনি বলেনঃ মায়া-মমতা, যা আল্লাহ আদম-সন্তানদের মধ্যে রেখে দিয়েছেন। আল্লাহ্ তাঁর দয়ালু বান্দাদের অবশ্যই দয়া করেন।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الْأَحْوَلُ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ كَانَ ابْنٌ لِبَعْضِ بَنَاتِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقْضِي فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ أَنْ يَأْتِيَهَا فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا أَنَّ لِلهِ مَا أَخَذَ وَلَهُ مَا أَعْطَى وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَهُ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى فَلْتَصْبِرْ وَلْتَحْتَسِبْ فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ فَأَقْسَمَتْ عَلَيْهِ فَقَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَقُمْتُ مَعَهُ وَمَعَهُ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ وَأُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ وَعُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ فَلَمَّا دَخَلْنَا نَاوَلُوا الصَّبِيَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَرُوحُهُ تَقَلْقَلُ فِي صَدْرِهِ قَالَ حَسِبْتُهُ قَالَ كَأَنَّهَا شَنَّةٌ قَالَ فَبَكَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ مَا هَذَا يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ الرَّحْمَةُ الَّتِي جَعَلَهَا اللهُ فِي بَنِي آدَمَ وَإِنَّمَا يَرْحَمُ اللهُ مِنْ عِبَادِهِ الرُّحَمَاءَ.
Usamah bin Zaid said:
“The son of one of the daughters of the Messenger of Allah (ﷺ) was dying. She sent for him, asking him to come to her, and he sent word to her, saying: ‘To Allah belongs what He has taken and to Him belongs what He has given. Everything has an appointed time with Him, so be patient and seek reward.’ But she sent for him again, adjuring him to come. So the Messenger of Allah (ﷺ) got up, and I got up with him, as did Mu’adh bin Jabal, Ubayy bin Ka’b and ‘Ubadah bin Samit. When we entered they handed the child to the Messenger of Allah (ﷺ), and his soul was rattling in his chest.” I think he was that it was like a water skin. “The Messenger of Allah (ﷺ) wept, and ‘Ubadah bin Samit said to him: ‘What is this, O Messenger of Allah?’ He said: ‘It is compassion which Allah has created in the son of Adam. Allah only shows mercy to those of His slaves who are compassionate.’”
পরিচ্ছেদঃ ৬/৫৩. মৃতের জন্য কান্নাকটি করা।
৩/১৫৮৯। আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-র শিশু পুত্র ইবরাহীম ইনতিকাল করলে তিনি নীরবে কাঁদেন। তাঁকে সান্ত্বনা দানকারী আবূ বকর অথবা ’উমার (রাঃ) বলেন, আপনি আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ব রক্ষার ব্যাপারে অধিক যোগ্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ চোখ অশ্রু বর্ষণ করছে, হৃদয় ব্যথিত হচ্ছে এবং আমরা এমন কিছু বলছি না, যা আমাদের প্রভুকে অসন্তুষ্ট করে। যদি তা (মৃত্যু) অবধারিত না হতো, কিয়ামতের দিন একত্র হওয়ার ওয়াদা না থাকতো এবং পরবর্তীদের জন্য পূর্ববর্তীদের অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত না থাকতো, তাহলে হে ইবরাহীম! আমরা তোমার ব্যাপারে যে কষ্ট পেয়েছি, তার চেয়ে অধিক কষ্ট পেতাম। আমরা তোমার জন্য অবশ্যই দুঃখিত।
তাহকীক আলবানীঃ হাসান
بَاب مَا جَاءَ فِي الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ عَنْ ابْنِ خُثَيْمٍ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ قَالَتْ لَمَّا تُوُفِّيَ ابْنُ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِبْرَاهِيمُ بَكَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ الْمُعَزِّي إِمَّا أَبُو بَكْرٍ وَإِمَّا عُمَرُ أَنْتَ أَحَقُّ مَنْ عَظَّمَ اللهُ حَقَّهُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم تَدْمَعُ الْعَيْنُ وَيَحْزَنُ الْقَلْبُ وَلَا نَقُولُ مَا يُسْخِطُ الرَّبَّ لَوْلَا أَنَّهُ وَعْدٌ صَادِقٌ وَمَوْعُودٌ جَامِعٌ وَأَنَّ الْآخِرَ تَابِعٌ لِلْأَوَّلِ لَوَجَدْنَا عَلَيْكَ يَا إِبْرَاهِيمُ أَفْضَلَ مِمَّا وَجَدْنَا وَإِنَّا بِكَ لَمَحْزُونُونَ
It was narrated that Asma’ bint Yazid said:
“When Ibrahim, the son of the Messenger of Allah (ﷺ), died, the Messenger of Allah (ﷺ) wept. The one who was consoling him, either Abu Bakr or ‘Umar, said to him: ‘You are indeed the best of those who glorify Allah with what is due to him.’ The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘The eye weeps and the heart grieves, but we do not say anything that angers the Lord. Were it not that death is something that inevitably comes to all, and that the latter will surely join the former, then we would have been more than we are, verily we grieve for you.’”
পরিচ্ছেদঃ ৬/৫৩. মৃতের জন্য কান্নাকটি করা।
৪/১৫৯০। হামনা বিনতে জাহশ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তাকে বলা হলো যে, তার ভাইকে শহীদ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আল্লাহ্ তার প্রতি দয়াপরবশ হোন। ’’ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন’’ (আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চিত তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী)। তারা বললো, আপনার স্বামীকে শহীদ করা হয়েছে। তিনি বলেনঃ আফসোস! আমরা তার জন্য চিন্তিত। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নিশ্চয় স্বামীর সাথে মহিলাদের এমন ভালোবাসার সম্পর্ক রয়েছে, যা অন্য কিছুতে নেই।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ইসহাক বিন মুহাম্মাদ আল ফারাবী সম্পর্কে আস-সাজী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন। ২. আবদুল্লাহ বিন উমার সম্পর্কে ইয়া'কুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি দুর্বল।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْفَرْوِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ جَحْشٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ أَنَّهُ قِيلَ لَهَا قُتِلَ أَخُوكِ فَقَالَتْ رَحِمَهُ اللهُ وَإِنَّا لِلهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ قَالُوا قُتِلَ زَوْجُكِ قَالَتْ وَا حُزْنَاهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِنَّ لِلزَّوْجِ مِنْ الْمَرْأَةِ لَشُعْبَةً مَا هِيَ لِشَيْءٍ
It was narrated from Hamnah bint Jahsh that it was said to her:
“Your brother has been killed.” She said: “May Allah have mercy on him. Inna lillahi wa inna ilayhi raji’un (Truly, to Allah we belong and truly, to Him we shall return).” They said: “Your husband has been killed.” She said: “O grief!” The Messenger of Allah (ﷺ) said: “The woman has a strong love for her husband, which she does not have for anything else.”
পরিচ্ছেদঃ ৬/৫৩. মৃতের জন্য কান্নাকটি করা।
৫/১৫৯১। ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার ’আবদুল আশহাল গোত্রের মহিলাদের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তারা উহুদ যুদ্ধে শহীদ তাদের আত্মীয়দের জন্য কান্নারত ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কিন্তু হামযা! তার জন্য কান্নাকাটি করার কেউ নেই। ইতোমধ্যে কয়েকজন আনসার মহিলা এসে হামযা (রাঃ)-এর জন্য কান্নাকাটি করতে লাগলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে জেগে উঠে বলেনঃ তাদের জন্য আফসোস! এতদিন পরে কিসে তাদের কান্নার প্রেরণা যোগালো? তাদের নিকট গিয়ে বলো, তারা যেন ফিরে যায়। আজকের দিনের পর থেকে তারা যেন কোন শহীদের জন্য কান্নকাটি না করে।
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। তা’লীক ইবনু মাজাহ।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الْمِصْرِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ أَنْبَأَنَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِنِسَاءِ عَبْدِ الْأَشْهَلِ يَبْكِينَ هَلَكَاهُنَّ يَوْمَ أُحُدٍ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَكِنَّ حَمْزَةَ لَا بَوَاكِيَ لَهُ فَجَاءَ نِسَاءُ الْأَنْصَارِ يَبْكِينَ حَمْزَةَ فَاسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ وَيْحَهُنَّ مَا انْقَلَبْنَ بَعْدُ مُرُوهُنَّ فَلْيَنْقَلِبْنَ وَلَا يَبْكِينَ عَلَى هَالِكٍ بَعْدَ الْيَوْمِ
It was narrated from Ibn ‘Umar that the Messenger of Allah (ﷺ) passed by some women of ‘Abdul-Ashhal who were weeping for their slain on the Day of Uhud. The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“But there is no one to weep for Hamzah.” So the women of Ansar started to weep for Hamzah. The messenger of Allah (ﷺ) woke up and said, ‘Woe to them, have they not gone home yet? Tell them to go home and not to weep for anyone who dies after this day.’”
পরিচ্ছেদঃ ৬/৫৩. মৃতের জন্য কান্নাকটি করা।
৬/১৫৯২। ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মৃতের জন্য) বিলাপ করতে বা শোকগাঁথা গাইতে নিষেধ করেছেন।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ইবরাহীম আল হাজারী সম্পর্কে আল আযদী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন, আবু যুরআহ আর-রাযী ও মুহাম্মাদ বিন সা'দ বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ الْهَجَرِيِّ عَنْ ابْنِ أَبِي أَوْفَى قَالَ نَهَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم عَنْ الْمَرَاثِي
It was narrated that Ibn Abi Awfa said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) forbade eulogies.”