পরিচ্ছেদঃ ৫/১৮০. কোন ব্যক্তি তাহজ্জুদ সালাত আদায় করতে উঠে যে দু‘আ পড়বে।
১/১৩৫৫। ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের তাহাজ্জুদ সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে উঠে বলতেনঃ হে আল্লাহ্! সমস্ত প্রশংসা তোমার, তুমি আসমান-যমীন ও এগুলোর মধ্যস্থ সকল কিছুর জ্যোতি। সমস্ত প্রশংসা তোমার, তুমিই আসমান-যমীন এবং এগুলোর মধ্যস্থ সকল কিছুর ধারক। সমস্ত প্রশংসা তোমার। তুমি আসমান-যমীন এবং এগুলোর মধ্যস্থ সবকিছুর অধিপতি। সমস্ত প্রশংসা তোমার। তুমি সত্য, তোমার অঙ্গীকার সত্য, তোমার সাক্ষাত লাভ সত্য, তোমার বাণী সত্য, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) সত্য, আম্বিয়া কিরাম সত্য এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্য। হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট আত্মসমর্পণ করেছি, তোমার উপর ঈমান এনেছি, তোমার উপর ভরসা করেছি, তোমার দিকে ফিরে এসেছি, তোমার জন্য বিতর্ক করি এবং তোমার কাছেই বিচারপ্রার্থী। অতএব তুমি আমার পূর্বাপর পাপরাশি ক্ষমা করে দাও, যা আমি গোপনে ও প্রকাশ্যে করেছি। তুমিই আদি, তুমিই অন্ত, তুমিই একমাত্র ইলাহ এবং তুমি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তোমার শক্তি ব্যতীত ক্ষতি রোধ করার এবং কল্যাণ লাভ করার কোন শক্তি নেই।
১/১৩৫৫(১) আবূ বকর ইবনু খাল্লাদ আল-বাহিলী, সুফ্ইয়ান ইবনু উয়াইনাহ, সুলাইমান ইবনু আবূ মুসলিম আল-আহ্ওয়াল, তাঊস, ইবনু আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতে উঠে বলতেন পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৭৪৫-৭৪৬।
بَاب مَا جَاءَ فِي الدُّعَاءِ إِذَا قَامَ الرَّجُلُ مِنْ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ الأَحْوَلِ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا تَهَجَّدَ مِنَ اللَّيْلِ قَالَ " اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيَّامُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ مَالِكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ الْحَقُّ وَوَعْدُكَ حَقٌّ وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ وَقَوْلُكَ حَقٌّ وَالْجَنَّةُ حَقٌّ وَالنَّارُ حَقٌّ وَالسَّاعَةُ حَقٌّ وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ وَمُحَمَّدٌ حَقٌّ اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ وَبِكَ خَاصَمْتُ وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِكَ " .
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَبِي مُسْلِمٍ الأَحْوَلُ، خَالُ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ سَمِعَ طَاوُسًا، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ لِلتَّهَجُّدِ . فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
It was narrated that Ibn `Abbas said:
“When the Messenger of Allah (ﷺ) prayed Tahajjud at night, he would say: “Allahumma lakal-hamd, Anta nurus-samawati wal-ard wa man fihinna. Wa lakal-hamd, Anta qayyamus-samawati wal-ard wa man fihinna. Wa lakal-hamd, Anta malikus- samawati wal-ard wa man fihinna. Wa lakal-hamd, Antal-haqq, wa wa`duka haqq, wa liqa’uka haqq, wa qawluka haqq, wal-jannatu haqq, wan-naru haqq, was-sa`atu haqq, wan-nabiyyuna haqq, wa Muhammadun haqq. Allahumma laka aslamtu, wa bika amantu, wa `alaika tawakkaltu wa ilaika anabtu, wa bika khasamtu, wa ilaika hakamtu, faghfirli ma qaddamtu wa ma akhkhartu, wa ma asrartu wa ma a`lantu. Antal-muqaddimu wa Antal-muakhkhiru. La ilaha illa anta wa la ilaha ghairuka, wa la hawla wa la quwwata illa bika (O Allah, to you is praise, You are the Light of the heavens and the earth, and everyone therein. To You is praise, You are the Sustainer of the heavens and the earth, and everyone therein. To You is praise, You are the Sovereign of the heavens and the earth, and everyone therein. To You is praise, You are the Truth; Your promise is true, the meeting with You is true, Your saying is true, Paradise is true, the Fire is true, the Hour is true, the Prophets are true, and Muhammad (ﷺ) is true. O Allah, to You have I submitted, in You I believe, in You have I put my trust, to You I turn in repentance, by Your help I argue, to You I refer my case, so forgive me for my past and future sins, what I have done in secret and what I have done openly. You are the One Who brings forward and puts back. None has the right to be worshipped but You, and there is none who has the right to be worshipped other than You. And there is no power and no strength except with You.” Another chain that Ibn `Abbas narrated: “When the Messenger of Allah (ﷺ) stood during the night for Tahajjud,” and he mentioned something similar.
পরিচ্ছেদঃ ৫/১৮০. কোন ব্যক্তি তাহজ্জুদ সালাত আদায় করতে উঠে যে দু‘আ পড়বে।
২/১৩৫৬। আসিম ইবনু হুমাইদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে উঠে প্রথমে কী পড়তেন? তিনি বলেন, তুমি আমার নিকট যে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছো, তোমার আগে সে সম্পর্কে আমাকে আর কেউ জিজ্ঞেস করেনি। তিনি দশবার আল্লাহু আকবার, দশবার আলহামদু লিল্লাহ, দশবার সুবহানাল্লাহ ও দশবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন এবং বলতেনঃ হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করো, আমাকে হিদায়াত দান করো, আমাকে রিযিক দাও এবং আমাকে নিরাপত্তা দান করো। তিনি ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) দিবসের ভয়াবহ অবস্থা থেকেও আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।
তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৭৪২। উক্ত হাদিসের রাবী যায়দ ইবনুল হুবাব সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আলী ইবনুল মাদীনী ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে সিকাহ বলেছেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي الدُّعَاءِ إِذَا قَامَ الرَّجُلُ مِنْ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي أَزْهَرُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ حُمَيْدٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ مَاذَا كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَفْتَتِحُ بِهِ قِيَامَ اللَّيْلِ قَالَتْ لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ شَىْءٍ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَحَدٌ قَبْلَكَ كَانَ يُكَبِّرُ عَشْرًا وَيَحْمَدُ عَشْرًا وَيُسَبِّحُ عَشْرًا وَيَسْتَغْفِرُ عَشْرًا وَيَقُولُ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِنِي " . وَيَتَعَوَّذُ مِنْ ضِيقِ الْمُقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ .
It was narrated that ‘Asim bin Humaid said:
“I asked ‘Aishah: ‘With what did the Prophet (ﷺ) start voluntary prayers?’ She said: ‘You have asked me about something which no one has asked before. He used to say Allahu Akbar ten times, and Al-Hamdu Lillah ten times and Subhan Allah ten times, and he would say Allahumma aghfirli wahdini, warzuqni, wa ‘afini (O Allah, forgive me, guide me, grant me provision and give me good health),” and he would seek refuge from the difficulty of the standing on the Day of Resurrection.”
পরিচ্ছেদঃ ৫/১৮০. কোন ব্যক্তি তাহজ্জুদ সালাত আদায় করতে উঠে যে দু‘আ পড়বে।
৩/১৩৫৭। আবূ সালাম ইবনু আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে জাগ্রত হয়ে তাঁর (তাহাজ্জুদ) সালাতের শুরুতে কী বলতেন? আয়িশাহ(রাঃ) বলেন, তিনি বলতেনঃ হে আল্লাহ জিবরাঈল, মীকাঈল ও ইসরাফীল (আলাইহিমুস সালাম)-এর প্রভু, আসমান ও যমীনের সৃষ্টিকর্তা, অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা! আপনার বান্দারা যে বিষয় নিয়ে মতভেদ করে, আপনি তার মীমাংসাকারী। যে বিষয়ে মতভেদ করা হয়ে থাকে, আপনি মেহেরবাণী করে সে বিষয়ে আমাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। আপনই সরল সঠিক পথে হিদায়াত দান করেন। আবদুর রহমান বিন উমার (রহঃ) বলেন, তোমরা জিবরাঈল শব্দটি হামযা অক্ষরযোগে পাঠ করো। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এরূপই বর্ণিত আছে।
তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান।
بَاب مَا جَاءَ فِي الدُّعَاءِ إِذَا قَامَ الرَّجُلُ مِنْ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ الْيَمَامِيُّ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ بِمَا كَانَ يَسْتَفْتِحُ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلاَتَهُ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ قَالَتْ كَانَ يَقُولُ " اللَّهُمَّ رَبَّ جِبْرَئِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ لَتَهْدِي إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ " . قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُمَرَ احْفَظُوهُ جِبْرَئِيلُ مَهْمُوزَةً فَإِنَّهُ كَذَا عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .
It was narrated that Abu Salamah bin `Abdur-Rahman said:
“I asked `Aishah: ‘With what did the Prophet (ﷺ) start his voluntary prayers?’ She said: ‘He would say: “Allahumma Rabba Jibra’il wa Mika’il wa Israfil, Fatiras-samawati wal-ard, `alimal-ghaybi wash- shahadah, Anta tahkumu baina `ibadika fima kanu fihi yakhtalifun, ihdini lima-khtulifa fihi minal-haqqi bi idhnika, innaka latahdi ila siratin mustaqim (O Allah, Lord of Jibra’il, Mika’il and Israfil, Creator of the heavens and the earth, Knower of the unseen and the seen, You judge between Your slaves concerning that wherein they differ. Guide me to the disputed matters of truth by Your Leave, for You are the One Who guides to the straight Path).” (One of the narrators) `Abdur-Rahman bin `Umar said: “Bear in mind the word Jibra’il with a Hamzah - this is how it was narrated from the Prophet (ﷺ).”