পরিচ্ছেদঃ ৫/১৫২. সালাতুল কুসূফ (সূর্যগ্রহণের সালাত)
১/১২৬১। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানবজাতির মধ্যে কারো মৃত্যুর কারণে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হয় না। অতএব তোমরা তা দেখলে সালাতে দাঁড়িয়ে যাও।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَقُومُوا فَصَلُّوا " .
It was narrated that Abu Mas’ud said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: “The sun and the moon do not become eclipsed for the death of anyone among mankind. If you see that, then stand and perform prayer.”
পরিচ্ছেদঃ ৫/১৫২. সালাতুল কুসূফ (সূর্যগ্রহণের সালাত)
২/১৬২। নুমান ইবনু বশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে সূর্যগ্রহণ হয়। তিনি ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় তাঁর পরিধেয় বস্ত্র হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে মসজিদে এসে পৌঁছেন। গ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি সালাতে রত থাকেন অতঃপর তিনি বলেনঃ এক দল লোক ধারণা করে যে, কোন মহান নেতার মৃত্যুর কারণে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হয়ে থাকে। আসলে তা নয়। কারো মৃত্যু অথবা জীবিত থাকার কারণে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। আল্লাহ তাআলা যখন তাঁর কোন সৃষ্টির উপর তাজাল্লী বিস্তার করেন তখন তা তাঁর ভয়ে ভীত হয়।
তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১৪৯৩, ইরওয়াহ ১৩১, তালীক সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ১৪০২। উক্ত হাদিসের রাবী জামিল ইবনুল হাসান বিন জামিল আল আতাকী সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে অপরিচিত। ইবনু আদী বলেন, আমি আশা করি তিনি ভাল। ২. আবদুল ওয়াহহাব সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা'দ বলেন, তিনি সিকাহ তবে তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَأَحْمَدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَجَمِيلُ بْنُ الْحَسَنِ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَخَرَجَ فَزِعًا يَجُرُّ ثَوْبَهُ حَتَّى أَتَى الْمَسْجِدَ فَلَمْ يَزَلْ يُصَلِّي حَتَّى انْجَلَتْ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ أُنَاسًا يَزْعُمُونَ أَنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ إِلاَّ لِمَوْتِ عَظِيمٍ مِنَ الْعُظَمَاءِ وَلَيْسَ كَذَلِكَ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا تَجَلَّى اللَّهُ لِشَىْءٍ مِنْ خَلْقِهِ خَشَعَ لَهُ " .
It was narrated that Nu’man bin Bashir said:
“The sun was eclipsed at the time of the Messenger of Allah (ﷺ), and he came out alarmed, dragging his lower garment, until he reached the mosque. He continued to perform prayer until the eclipse was over, then he said: ‘Some people claim that the sun and moon only become eclipsed because of the death of a great leader. That is not so. The sun and the moon do not become eclipsed for the death or birth of anyone. When Allah manifests Himself to anything in His creation, it humbles itself before Him.’”
পরিচ্ছেদঃ ৫/১৫২. সালাতুল কুসূফ (সূর্যগ্রহণের সালাত)
৩/১২৬৩। আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় সূর্যগ্রহণ হলে তিনি বের হয়ে মসজিদে চলে যান। তিনি দাঁড়িয়ে তাকবীরে তাহরীমা বলেন এবং লোকজন তাঁর পিছনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়ায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ কিরাআত পড়েন, অতঃপর তাকবীর বলে দীর্ঘ রুকূ করেন, অতঃপর মাথা তুলে সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ রব্বানা ওয়ালাকাল হামদ বলেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে দীর্ঘ কিরাআত পড়েন, তবে তা ছিল পূর্বের কিরাআতের তুলনায় কম দীর্ঘ। অতঃপর তাকবীর বলে রুকূতে গিয়ে দীর্ঘ রুকূ করেন, তবে তা পূর্বের রুকুর চেয়ে কম দীর্ঘ ছিল।
অতঃপর সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ রববানা ওয়ালাকাল হামদ বলেন। তিনি দ্বিতীয় রাকআতেও তাই করেন। তিনি মোট চার রাকআত সালাত (নামায/নামাজ) পড়েন এবং তাঁর সালাত শেষ করার পূর্বেই সূর্যগ্রহণ সমাপ্ত হয়। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে লোকেদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি আল্লাহ তাআলার যথোপযুক্ত প্রশংসা করার পর বলেনঃ সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহ্র নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত দুটি নিদর্শন। কারো জীবন-মৃত্যুতে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তোমরা তা দেখলে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে সালাতে রত হও।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৬৫৮, সহীহ আবী দাউদ ১০৬৮, ১০৭১।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلَى الْمَسْجِدِ فَقَامَ فَكَبَّرَ فَصَفَّ النَّاسُ وَرَاءَهُ فَقَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قِرَاءَةً طَوِيلَةً ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ " . ثُمَّ قَامَ فَقَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً هِيَ أَدْنَى مِنَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً هُوَ أَدْنَى مِنَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ " . ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ فَاسْتَكْمَلَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ وَانْجَلَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ يَنْصَرِفَ ثُمَّ قَامَ فَخَطَبَ النَّاسَ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا فَافْزَعُوا إِلَى الصَّلاَةِ " .
It was narrated that ‘Aishah said:
“The sun was eclipsed during the life of the Messenger of Allah (ﷺ). The Messenger of Allah (ﷺ) went out to the mosque and stood and said the Takbir, and the people formed rows behind him. The Messenger of Allah (ﷺ) recited for a long time, then he said the Takbir and bowed for a long time. Then he raised his head and said: ‘Sami’ Allahu liman hamidah, Rabban was lakal-hamd.’ Then he stood and recited for a long time, but shorter than the first recitation. Then he said the Takbir and bowed for a long time, but less than the first bowing. Then he said: ‘Sami’ Allahu liman hamidah, Rabbana wa lakal-hamd.’ Then he did the same in the next Rak’ah, and he completed four Rak’ah and four sets of prostration, and the eclipse ended before he finished. Then he stood and addressed the people. He praised Allah as He deserves to be praised, then he said: ‘The sun and the moon are two of the signs of Allah. They do not become eclipsed for the death or birth of anyone. If you see that then seek help in prayer.’”
পরিচ্ছেদঃ ৫/১৫২. সালাতুল কুসূফ (সূর্যগ্রহণের সালাত)
৪/১২৬৪। সামুরা ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাথে নিয়ে সূর্যগ্রহণের সালাত (নামায/নামাজ) পড়লেন। আমরা তাঁর (কিরাআতের) কোন শব্দ শুনতে পাইনি।
তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১৪৯০, যঈফ আবী দাউদ ২১৬, তালীক সহীহ ইবনুু, খুযাইমাহ ১৩৯৭। উক্ত হাদিসের রাবী সা'লাবাহ বিন ইবাদ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তার ব্যাপারটি অজ্ঞাত। ইবনু হাজার ও ইবনুল কাত্তান বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ عِبَادٍ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي الْكُسُوفِ فَلاَ نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا .
It was narrated that Samurah bin Jundab said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) led us in the eclipse prayer, and we did not hear his voice.”
পরিচ্ছেদঃ ৫/১৫২. সালাতুল কুসূফ (সূর্যগ্রহণের সালাত)
৫/১২৬৫। আসমা বিনতে আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্যগ্রহণের সালাত (নামায/নামাজ) পড়েন। তাতে তিনি দীর্ঘ কিয়াম করেন, দীর্ঘ রুকূ করেন, রুকূ থেকে উঠেও দীর্ঘ কিয়াম করেন, পুনরায় দীর্ঘ রুকূ করেন, অতঃপর মাথা তোলেন, অতঃপর সিজদায় গিয়ে দীর্ঘ সিজদা করেন, অতঃপর মাথা তোলেন, আবার দীর্ঘ সিজদা করেন, অতঃপর উঠে দীর্ঘ কিয়াম করেন, অতঃপর রুকূতে গিয়েও দীর্ঘক্ষণ রুকূতে থাকেন, অতঃপর মাথা তুলে পুনরায় সাজদায় গিয়ে দীর্ঘক্ষণ সাজাদায় থাকেন, অতঃপর মাথা তুলে পুনরায় সিজদায় গিয়ে দীর্ঘক্ষণ সাজদায় থাকেন।
অতঃপর সালাত শেষ করে বলেনঃ জান্নাত আমার নিকটবর্তী হলো, এমনকি আমি ইচ্ছা করলে হাত বাড়িয়ে তার ফলগুচ্ছ আহরণ করে তোমাদের জন্য নিয়ে আসতে পারতাম। অনুরূপভাবে জাহান্নাম আমার নিকটবর্তী হলো, এমনকি আমি বললাম, হে প্রভু! আমি তাদের মধ্যে থাকতেও (কি তাদের শাস্তি দেয়া হবে)?
নাফি (রহঃ) বলেন, আমার মনে হয় তিনি এ কথাও বলেছেন: আমি এক নারীকে দেখলাম যে, তার একটি বিড়াল তাকে নখর দ্বারা আচড় কাটছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তার এ অবস্থা কেন? ফেরেশতারা বলেন, সে একে আটক করে রেখেছিল, অবশেষে অনাহারে এটি মারা যায়। সে একে আহারও দেয়নি এবং ছেড়েও দেয়নি, যাতে জমিনের কীট-পত্যঙ্গ খেতে পারতো।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَا مُحْرِزُ بْنُ سَلَمَةَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ الْجُمَحِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلاَةَ الْكُسُوفِ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ انْصَرَفَ فَقَالَ " لَقَدْ دَنَتْ مِنِّي الْجَنَّةُ حَتَّى لَوِ اجْتَرَأْتُ عَلَيْهَا لَجِئْتُكُمْ بِقِطَافٍ مِنْ قِطَافِهَا وَدَنَتْ مِنِّي النَّارُ حَتَّى قُلْتُ أَىْ رَبِّ وَأَنَا فِيهِمْ " . قَالَ نَافِعٌ حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ " وَرَأَيْتُ امْرَأَةً تَخْدِشُهَا هِرَّةٌ لَهَا فَقُلْتُ مَا شَأْنُ هَذِهِ قَالُوا حَبَسَتْهَا حَتَّى مَاتَتْ جُوعًا لاَ هِيَ أَطْعَمَتْهَا وَلاَ هِيَ أَرْسَلَتْهَا تَأْكُلُ مِنْ خِشَاشِ الأَرْضِ " .
It was narrated that Asma’ bint Abu Bakr said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) performed the eclipse prayer. He stood for a long time, then he bowed for a long time, then he stood up for a long time, then he bowed for a long time, then he stood up, then he prostrated for a long time, then he sat up, then he prostrated for a long time. He stood for a long time, then he bowed for a long time, then he stood up for a long time, then he bowed for a long time, then he stood up, then he prostrated for a long time, then he sat up, then he prostrated for a long time. Then he finished and said: ‘Paradise was brought close to me, so that if I had dared, I could have brought you some of its fruits. And Hell was brought near to me, until I said: “O Lord, am I one of them?” Nafi’ said: “I think that he said: ‘And I saw a woman being scratched by a cat that belonged to her. I said: “What is wrong with this woman?” They said: “She detained it until it died of hunger; she did not feed it and she did not let it loose to eat of the vermin of the earth.”