পরিচ্ছেদঃ ৫/১৫২. সালাতুল কুসূফ (সূর্যগ্রহণের সালাত)
৫/১২৬৫। আসমা বিনতে আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্যগ্রহণের সালাত (নামায/নামাজ) পড়েন। তাতে তিনি দীর্ঘ কিয়াম করেন, দীর্ঘ রুকূ করেন, রুকূ থেকে উঠেও দীর্ঘ কিয়াম করেন, পুনরায় দীর্ঘ রুকূ করেন, অতঃপর মাথা তোলেন, অতঃপর সিজদায় গিয়ে দীর্ঘ সিজদা করেন, অতঃপর মাথা তোলেন, আবার দীর্ঘ সিজদা করেন, অতঃপর উঠে দীর্ঘ কিয়াম করেন, অতঃপর রুকূতে গিয়েও দীর্ঘক্ষণ রুকূতে থাকেন, অতঃপর মাথা তুলে পুনরায় সাজদায় গিয়ে দীর্ঘক্ষণ সাজাদায় থাকেন, অতঃপর মাথা তুলে পুনরায় সিজদায় গিয়ে দীর্ঘক্ষণ সাজদায় থাকেন।
অতঃপর সালাত শেষ করে বলেনঃ জান্নাত আমার নিকটবর্তী হলো, এমনকি আমি ইচ্ছা করলে হাত বাড়িয়ে তার ফলগুচ্ছ আহরণ করে তোমাদের জন্য নিয়ে আসতে পারতাম। অনুরূপভাবে জাহান্নাম আমার নিকটবর্তী হলো, এমনকি আমি বললাম, হে প্রভু! আমি তাদের মধ্যে থাকতেও (কি তাদের শাস্তি দেয়া হবে)?
নাফি (রহঃ) বলেন, আমার মনে হয় তিনি এ কথাও বলেছেন: আমি এক নারীকে দেখলাম যে, তার একটি বিড়াল তাকে নখর দ্বারা আচড় কাটছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তার এ অবস্থা কেন? ফেরেশতারা বলেন, সে একে আটক করে রেখেছিল, অবশেষে অনাহারে এটি মারা যায়। সে একে আহারও দেয়নি এবং ছেড়েও দেয়নি, যাতে জমিনের কীট-পত্যঙ্গ খেতে পারতো।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَا مُحْرِزُ بْنُ سَلَمَةَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ الْجُمَحِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلاَةَ الْكُسُوفِ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ انْصَرَفَ فَقَالَ " لَقَدْ دَنَتْ مِنِّي الْجَنَّةُ حَتَّى لَوِ اجْتَرَأْتُ عَلَيْهَا لَجِئْتُكُمْ بِقِطَافٍ مِنْ قِطَافِهَا وَدَنَتْ مِنِّي النَّارُ حَتَّى قُلْتُ أَىْ رَبِّ وَأَنَا فِيهِمْ " . قَالَ نَافِعٌ حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ " وَرَأَيْتُ امْرَأَةً تَخْدِشُهَا هِرَّةٌ لَهَا فَقُلْتُ مَا شَأْنُ هَذِهِ قَالُوا حَبَسَتْهَا حَتَّى مَاتَتْ جُوعًا لاَ هِيَ أَطْعَمَتْهَا وَلاَ هِيَ أَرْسَلَتْهَا تَأْكُلُ مِنْ خِشَاشِ الأَرْضِ " .
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
It was narrated that Asma’ bint Abu Bakr said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) performed the eclipse prayer. He stood for a long time, then he bowed for a long time, then he stood up for a long time, then he bowed for a long time, then he stood up, then he prostrated for a long time, then he sat up, then he prostrated for a long time. He stood for a long time, then he bowed for a long time, then he stood up for a long time, then he bowed for a long time, then he stood up, then he prostrated for a long time, then he sat up, then he prostrated for a long time. Then he finished and said: ‘Paradise was brought close to me, so that if I had dared, I could have brought you some of its fruits. And Hell was brought near to me, until I said: “O Lord, am I one of them?” Nafi’ said: “I think that he said: ‘And I saw a woman being scratched by a cat that belonged to her. I said: “What is wrong with this woman?” They said: “She detained it until it died of hunger; she did not feed it and she did not let it loose to eat of the vermin of the earth.”