পরিচ্ছেদঃ ৫/৭২. সালাতকে পূর্ণাঙ্গ করা।
১/১০৬০। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে সালাত (নামায/নামাজ) পড়লো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন মসজিদের এক পাশে অবস্থান করছিলেন। সে এসে তাঁকে সালাম দিলো। তিনি বলেনঃ তোমার প্রতিও, তুমি ফিরে যাও, আবার সালাত পড়ো। কেননা তুমি সালাত পড়োনি। সে ফিরে গিয়ে সালাত পড়লো, তারপর এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সালাম দিলো। তিনি বলেনঃ তোমার প্রতিও, ফিরে যাও এবং সালাত পড়ো। কেননা তুমি সালাত পড়োনি। তৃতীয়বারে সে বললো, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাকে শিখিয়ে দিন।
তিনি বলেনঃ তুমি সালাত পড়ার ইচ্ছা করলে উত্তমরূপে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করো, তারপর কিবলামুখী হয়ে তাকবীর (তাহরীমা) বলো, এরপর কুরআনের যে অংশ তোমার কাছে সহজ সেখান থেকে কিরাআত পাঠ করো, তারপর ধীরস্থিরভাবে রুকূ করো, অতঃপর রুকূ থেকে দাঁড়িয়ে সোজা হও, তারপর ধীরস্থিরভাবে সিজদা করো, অতঃপর মাথা তুলে সোজা হয়ে বসো। তুমি তোমার গোটা সালাত এভাবে পড়ো।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ২৮৯, সহীহ আবূ দাউদ ৮০২।
بَاب إِتْمَامِ الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى وَرَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي نَاحِيَةٍ مِنَ الْمَسْجِدِ فَجَاءَ فَسَلَّمَ فَقَالَ " وَعَلَيْكَ فَارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . فَرَجَعَ فَصَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ " وَعَلَيْكَ فَارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ بَعْدُ " . قَالَ فِي الثَّالِثَةَ فَعَلِّمْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلاَةِ فَأَسْبِغِ الْوُضُوءَ ثُمَّ اسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ وَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ مَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ رَأْسَكَ حَتَّى تَسْتَوِيَ قَاعِدًا ثُمَّ افْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلاَتِكَ كُلِّهَا " .
It was narrated from Abu Hurairah that a man entered the mosque and performed prayer, and the Prophet (ﷺ) was in a corner of the mosque. The man came and greeted him, and he said:
“And also upon you. Go back and repeat your prayer, for you have not prayed.” So he went back and repeated his prayer, then he came and greeted the Prophet (ﷺ). He said: “And also upon you. Go back and repeat your prayer, for you have not prayed.” On the third occasion, the man said: “Teach me, O Messenger of Allah!” He said: “When you stand up to offer the prayer, perform ablution properly, then stand to face the prayer direction and say Allahu Akbar. Then recite whatever you can of Qur’an, and then bow until you can feel at ease bowing. Then stand up until you feel at ease standing, then prostrate until you feel at ease prostrating. Then raise your head until you are sitting up straight. Do that throughout your prayer.”
পরিচ্ছেদঃ ৫/৭২. সালাতকে পূর্ণাঙ্গ করা।
২/১০৬১। মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু আতা (রহ ) বলেন, আমি আবূ হুমাইদ আস-সাইদী (রাঃ) কে আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) সহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দশজন সাহাবীর উপস্থিতিতে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাতের (নামাযের) ব্যাপারে আমি তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক জ্ঞাত। তারা বলেন, তা কিভাবে? আল্লাহ্র শপথ! আপনি আমাদের চেয়ে অধিক কাল তাঁর অনুসরণকারী নন এবং তাঁর সাহচর্য লাভের দিক থেকেও আমাদের অগ্রগামী নন। তিনি বলেন, হ্যাঁ। তারা বলেন, তাহলে আপনার বক্তব্য পেশ করুন।
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে (নামাযে) দাঁড়িয়ে তাকবীর (তাহরীমা) বলতেন, তারপর তাঁর উভয় হাত তাঁর দু কাঁধ বরাবর উঠাতেন এবং তাঁর প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যর্ঙ্গ স্ব স্ব স্থানে স্থির থাকতো। অতঃপর তিনি কিরাআত পড়তেন, অতঃপর তাকবীর বলে তাঁর উভয় কাঁধ বরাবর তাঁর উভয় হাত উঠাতেন। তারপর তিনি রুকূ করতেন এবং রুকূতে তাঁর উভয় হাত যথাযথভাবে দু হাঁটুর উপর রাখতেন, তাঁর মাথা অধিক উঁচু বা নীচু না করে সমানভাবে রাখতেন। অতঃপর তিনি সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে উভয় হাত উভয় কাঁধ বরাবর উঠাতেন, এমনকি তাঁর প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্ব স্ব স্থানে স্থির হয় যেতো।
অতঃপর তিনি যমীনের দিকে (সিজদায়) ঝুঁকে যেতেন এবং পার্শ্বদেশ থেকে উভয় হাত আলাদা রাখতেন, তারপর মাথা উঠিয়ে বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসতেন এবং সিজদার সময় উভয় পায়ের আঙ্গুলগুলো ভাঁজ করে খাড়া রাখতেন, তারপর সিজদা করতেন, অতঃপর তাকবীর বলে (সিজদা্ থেকে উঠে) বাম পায়ের উপর বসতেন, এমনকি তাঁর প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বস্থানে স্থির হয়ে যেত। অতঃপর তিনি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় রাকআতেও প্রথম রাকআতের অনুরূপ করতেন।
তিনি দ্বিতীয় রাকআত থেকে দাঁড়ানোর সময় তাঁর উভয় হাত তাঁর কাঁধ বরাবর উঠাতেন, যেমন উঠাতেন সালাত শুরু করার সময়। তিনি অবশিষ্ট সালাত এভাবে পড়তেন। শেষ সিজদা করে তিনি সালাম ফিরিয়ে এক পা আগে-পিছে করে, বাম দিকের পাছার উপর ভর করে বসতেন। তারা বলেন, আপনি যথার্থই বলেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবেই সালাত আদায় করতেন।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩০৫, সহীহ আবী দাউদ ৭২০, ৭২১।
بَاب إِتْمَامِ الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حُمَيْدٍ السَّاعِدِيَّ، فِي عَشْرَةٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِيهِمْ أَبُو قَتَادَةَ فَقَالَ أَبُو حُمَيْدٍ أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . قَالُوا لِمَ فَوَاللَّهِ مَا كُنْتَ بِأَكْثَرِنَا لَهُ تَبَعَةً وَلاَ أَقْدَمَنَا لَهُ صُحْبَةً . قَالَ بَلَى . قَالُوا فَاعْرِضْ . قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ كَبَّرَ ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ وَيَقِرَّ كُلُّ عُضْوٍ مِنْهُ فِي مَوْضِعِهِ ثُمَّ يَقْرَأُ ثُمَّ يُكَبِّرُ وَيَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ يَرْكَعُ وَيَضَعُ رَاحَتَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ مُعْتَمِدًا لاَ يَصُبُّ رَأْسَهُ وَلاَ يُقْنِعُ مُعْتَدِلاً ثُمَّ يَقُولُ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . وَيَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ حَتَّى يَقِرَّ كُلُّ عَظْمٍ إِلَى مَوْضِعِهِ ثُمَّ يَهْوِي إِلَى الأَرْضِ وَيُجَافِي يَدَيْهِ عَنْ جَنْبَيْهِ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ وَيَثْنِي رِجْلَهُ الْيُسْرَى فَيَقْعُدُ عَلَيْهَا وَيَفْتَخُ أَصَابِعَ رِجْلَيْهِ إِذَا سَجَدَ ثُمَّ يَسْجُدُ ثُمَّ يُكَبِّرُ وَيَجْلِسُ عَلَى رِجْلِهِ الْيُسْرَى حَتَّى يَرْجِعَ كُلُّ عَظْمٍ مِنْهُ إِلَى مَوْضِعِهِ ثُمَّ يَقُومُ فَيَصْنَعُ فِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ إِذَا قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ كَمَا صَنَعَ عِنْدَ افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ ثُمَّ يُصَلِّي بَقِيَّةَ صَلاَتِهِ هَكَذَا حَتَّى إِذَا كَانَتِ السَّجْدَةُ الَّتِي يَنْقَضِي فِيهَا التَّسْلِيمُ أَخَّرَ إِحْدَى رِجْلَيْهِ وَجَلَسَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْسَرِ مُتَوَرِّكًا . قَالُوا صَدَقْتَ هَكَذَا كَانَ يُصَلِّي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .
Muhammad bin ‘Amr bin ‘Ata’ said:
‘While he was among ten of the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) including Abu Qatadah: “I heard Abu Humaid As-Sa’idi say: ‘I am the most knowledgeable of you concerning the prayer of the Messenger of Allah (ﷺ).’ They said: ‘Why? By Allah, you did not follow him more than we did, and you did not accompany him for longer.’ He said: ‘Yes I am.’ They said: ‘Show us.’ He said: ‘When the Messenger of Allah (ﷺ) stood up for prayer, he would say the Takbir, then he would raise his hands parallel to his shoulders, and every part of his body would settle in place. Then he would recite, then he would raise his hands parallel to his shoulders and bow, placing his palms on his knees and supporting his weight on them. He neither lowered his head, nor raised it up, it was evenly balanced (between either extreme). Then he would say: “Sami’ Allahu liman hamidah (Allah hears those who praise Him); and he would raise his hands parallel with his shoulders, until every bone returned to its place. Then he would prostrate himself on the ground, keeping his arms away from his sides. Then he would raise his head and tuck his left foot under him and sit on it, and he would spread his toes when he prostrated.* Then he would prostrate, then say the Takbir and sit on his left foot, until every bone returned to its place. Then he would stand up and do the same in the next Rak’ah. Then when he stood up after two Rak’ah, he would raise his hands level with his shoulders as he did at the beginning of the prayer. Then he would offer the rest of his prayer in like manner until, when he did the prostration after which the Taslim comes, he would push one of his feet back and sit with his weight on his left side, Mutawarrikan.’** They said: ‘You have spoken the truth; this is how the Messenger of Allah (ﷺ) used to perform the prayer.’”
পরিচ্ছেদঃ ৫/৭২. সালাতকে পূর্ণাঙ্গ করা।
৩/১০৬২। আসমা বিনত আবদুর রহমান থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত (নামায/নামাজ) কিরূপ ছিল? তিনি বলেন, তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করার সময় বিসমিল্লাহ বলে পাত্রে তাঁর দু হাত রেখে পূর্ণরূপে উযূ করতেন, অতঃপর কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে তাকবীর বলতেন এবং তাঁর উভয় হাত তাঁর উভয় কাঁধ পর্যন্ত উত্তোলন করতেন, অতঃপর (কিরাআত শেষে) রুকূ করতেন এবং তাঁর উভয় হাত উভয় হাঁটুতে রাখতেন এবং হাত দুটোকে পৃথক করে রাখতেন। তারপর মাথা উত্তোলন করে মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়িয়ে যেতেন এবং তোমাদের চাইতে সামান্য বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতেন। অতঃপর তিনি সিজদা করতেন এবং তাঁর হাত দুটি কিবলামুখী করে রাখতেন। আমি যতটা দেখেছি, তিনি যথাসাধ্য তাঁর হাত দুটি (পাঁজর থেকে) পৃথক রাখতেন। অতঃপর তিনি তাঁর মাথা তুলে তাঁর বাঁ পায়ের উপর বসতেন এবং ডান পায়ের পাতা খাড়া রাখতেন। তিনি বাঁদিকে ঝুঁকে বসতে অপছন্দ করতেন।
তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ জিদ্দান। উক্ত হাদিসের রাবী হারিসাহ বিন আবু রিজাল সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আবু যুরআহ আর-রাযী ও আবু হাতিম আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন।
بَاب إِتْمَامِ الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ أَبِي الرِّجَالِ، عَنْ عَمْرَةَ، قَالَتْ سَأَلْتُ عَائِشَةَ كَيْفَ كَانَتْ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا تَوَضَّأَ فَوَضَعَ يَدَيْهِ فِي الإِنَاءِ سَمَّى اللَّهَ وَيُسْبِغُ الْوُضُوءَ ثُمَّ يَقُومُ فَيَسْتَقْبِلُ الْقِبْلَةَ فَيُكَبِّرُ وَيَرْفَعُ يَدَيْهِ حِذَاءَ مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ يَرْكَعُ فَيَضَعُ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَيُجَافِي بِعَضُدَيْهِ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ فَيُقِيمُ صُلْبَهُ وَيَقُومُ قِيَامًا هُوَ أَطْوَلُ مِنْ قِيَامِكُمْ قَلِيلاً ثُمَّ يَسْجُدُ فَيَضَعُ يَدَيْهِ تِجَاهَ الْقِبْلَةِ وَيُجَافِي بِعَضُدَيْهِ مَا اسْتَطَاعَ فِيمَا رَأَيْتُ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ فَيَجْلِسُ عَلَى قَدَمِهِ الْيُسْرَى وَيَنْصِبُ الْيُمْنَى وَيَكْرَهُ أَنْ يَسْقُطَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْسَرِ .
It was narrated that ‘Amrah said:
“I asked ‘Aishah: ‘How did the Messenger of Allah (ﷺ) perform prayer?’ She said: ‘When the Prophet (ﷺ) performed ablution, he would put his hand in the vessel and say Bismillah, and he would perform ablution properly. Then he would stand and face the Qiblah. He would say the Takbir raising his hands parallel to his shoulders. Then he would bow, putting his hands on his knees and keeping his arms away from his sides. Then he would raise his head and straighten his back, and he would stand a little longer than your standing. Then he would prostrate, pointing his hands towards the Qiblah, keeping his arms away (from his sides) as much as possible, according to what I have seen. Then he would raise his head and sit on his left foot with his right foot held upright, and he disliked leaning towards his left side.’”