পরিচ্ছেদঃ ৫/২৩. দু’ সিজদার মাঝখানে পড়ার দু‘আ
১/৮৯৭। হুযাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু সিজদার মাঝখানে বসে বলতেনঃ রব্বিগফির লী রব্বিগফির লী (প্রভু! আমায় ক্ষমা করুন, প্রভু আমায় ক্ষমা করুন)।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩৩৫।
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নামাজের অবস্থায় দুই সিজদার মধ্যবর্তী সময়ে বসার অবস্থায় পঠনীয় দোয়া হলো:
"رَبِّ اغْفِرْ لِيْ، رَبِّ اغْفِرْ لِيْ".
২। আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]হতে দুই সিজদার মধ্যবর্তী সময়ে বসার অবস্থায় অনেক রকম দোয়া পাঠ করার বিবরণ অনেকগুলি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এই বিষয়টিকে সংক্ষিপ্ত করার উদ্দেশ্যে অন্য হাদীসগুলির কথা উপস্থাপন করলাম না।
بَاب مَا يَقُولُ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا الْعَلاَءُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ حُذَيْفَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنِ الْمُسْتَوْرِدِ بْنِ الأَحْنَفِ، عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ، عَنْ حُذَيْفَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَقُولُ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ " رَبِّ اغْفِرْ لِي رَبِّ اغْفِرْ لِي " .
It was narrated from Hudhaifah that the Prophet (ﷺ) used to say between the two prostrations:
“Rabbighfir li, Rabbighfir li (O Lord forgive me, O Lord forgive me).”
পরিচ্ছেদঃ ৫/২৩. দু’ সিজদার মাঝখানে পড়ার দু‘আ
২/৮৯৮। ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের সালাতে দু সিজদার মাঝখানে (বসে) বলতেনঃ রব্বিগফির লী ওয়ারহামনী ওয়াজবুরনী ওয়ারযুকনী ওরফায়নী (হে প্রভু! আমায় ক্ষমা করুন, আমাকে দয়া করুন, আমার বিপদ দূর করুন, আমাকে রিযিক দান করুন এবং আমার মর্যাদা বর্ধিত করুন)।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৭৯৬।
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই দোয়াটির মধ্যে মানুষের দুনিয়া ও পরকালের জীবনের প্রয়োজনীয় মঙ্গল ও সুখের সকল প্রকার উপাদান রয়েছে। এবং সর্ব প্রকার অমঙ্গল থেকে সংরক্ষিত হওয়ার উপযুক্ত উপকরণও রয়েছে।
২। প্রকৃত ইসলাম ধর্ম হলো সকল জাতির মানব সমাজের জন্য সুখময় জীবন লাভের সঠিক উৎস। সুতরাং যে ব্যক্তি এই ধর্মের অনুগামী হতে পারবে, সে ব্যক্তি সুখময় জীবন লাভ করতে পারবে। এবং যে ব্যক্তি এই ধর্ম থেকে বিমুখ হয়ে যাবে, সে ব্যক্তি কষ্টের জীবন লাভ করবে।
بَاب مَا يَقُولُ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ صَبِيحٍ، عَنْ كَامِلٍ أَبِي الْعَلاَءِ، قَالَ سَمِعْتُ حَبِيبَ بْنَ أَبِي ثَابِتٍ، يُحَدِّثُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ " رَبِّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاجْبُرْنِي وَارْزُقْنِي وَارْفَعْنِي " .
It was narrated that Ibn ‘Abbas said:
“When praying at night (Qiyamul-Lail), the Messenger of Allah (ﷺ) used to say between the two prostrations: ‘Rabbighfir li warhamni wajburni warzuqni warfa’ni (O Lord, forgive me, have mercy on me, improve my situation, grant me provision and raise me in status).’”