পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
১/১৭৭। জারীর ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বসা ছিলাম। তিনি পূর্ণিমার রাতে চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলেনঃ অচিরেই তোমরা তোমাদের প্রভুকে দেখতে পাবে, যেমন তোমরা এই চাঁদ দেখতে পাচ্ছো। তাঁকে দেখতে তোমাদের কোন অসুবিধা হবে না। ফাজর ও আসরের সালাতে তোমরা পরাভূত না হয়ে সামর্থ্যবান হলে তাই করো (সালাত কাযা করো না)। অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) এবং তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পূর্বে- (সূরাহ কাফ ৫০ঃ ৩৯)।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَوَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا خَالِي، يَعْلَى وَوَكِيعٌ وَأَبُو مُعَاوِيَةَ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَنَظَرَ إِلَى الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ فَقَالَ " إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ كَمَا تَرَوْنَ هَذَا الْقَمَرَ لاَ تَضَامُّونَ فِي رُؤْيَتِهِ فَإِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَنْ لاَ تُغْلَبُوا عَلَى صَلاَةٍ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا فَافْعَلُوا " . ثُمَّ قَرَأَ (وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ الْغُرُوبِ) .
It was narrated that Jarir bin 'Abdullah said:
"We were sitting with the Messenger of Allah. He looked at the moon, which was full, and said, 'Indeed, you will see your Lord as you see this moon. You will not feel the slightest inconvenience and overcrowding in seeing Him. If you have the power not to be overcome and to say this prayer before the sun rises and before it sets, then do that.' Then he recited: "And glorify the praises of your Lord, before the rising of the sun and before (its) setting."
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
২/১৭৮। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পূর্ণিমার রাতের চাঁদ দেখতে তোমাদের কি কোন অসুবিধা হয়? তারা বলেন, না। তিনি বলেনঃ তদ্রূপ কিয়ামতের দিন তোমাদের প্রভুর দর্শন লাভে তোমাদের কোন অসুবিধা হবে না।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াহইয়া বিন ঈসা সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু আদী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عِيسَى الرَّمْلِيُّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " تَضَامُّونَ فِي رُؤْيَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ " . قَالُوا لاَ . قَالَ " فَكَذَلِكَ لاَ تَضَامُّونَ فِي رُؤْيَةِ رَبِّكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
It was narrated that Abu Hurairah said:
"The Messenger of Allah said: 'Do you crowd one another in order to see the moon on the night when it is full?' They said: 'No.' He said: 'And you will not crowd one another in order to see your Lord on the Day of Resurrection.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
৩/১৭৯। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমরা কি আমাদের রবকে দেখতে পাবো? তিনি বলেনঃ তোমরা কি ঠিক দুপুরে মেঘমুক্ত আকাশে সূর্য দেখতে বাধাগ্রস্ত হও? আমরা বললাম, না। তিনি আবার বলেনঃ পূর্ণিমার রাতে মেঘমুক্ত আকাশে তোমাদের চাঁদ দেখতে কি অসুবিধা হয়? তারা বলেন, না। তিনি বলেনঃ ঐ দুটি দেখতে তোমাদের যেমন কোন কষ্ট হয় না, তদ্রূপ তাঁর দর্শন লাভেও তোমাদের কোন কষ্ট হবে না।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَرَى رَبَّنَا قَالَ " تَضَامُّونَ فِي رُؤْيَةِ الشَّمْسِ فِي الظَّهِيرَةِ فِي غَيْرِ سَحَابٍ " . قُلْنَا لاَ . قَالَ " فَتَضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ فِي غَيْرِ سَحَابٍ " . قَالُوا لاَ . قَالَ " إِنَّكُمْ لاَ تَضَارُّونَ فِي رُؤْيَتِهِ إِلاَّ كَمَا تَضَارُّونَ فِي رُؤْيَتِهِمَا " .
It was narrated that Abu Sa'eed said:
"We said: 'O Messenger of Allah! Will we see our Lord?' He said: 'Do you crowd one another to see the sun at mid-day when there are no clouds?' We said: 'No.' He said: 'Do you crowd one another to see the moon on the night when it is full and there are no clouds?' We said: 'No.' He said: 'You will not crowd one another to see Him, just as you do not crowd to see these two things.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
৪১৮০। আবূ রযীন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমরা কি কিয়ামতের দিন আল্লাহকে দেখতে পাবো এবং তাঁর সৃষ্টির মাঝে এর নিদর্শন কী? তিনি বলেনঃ হে আবূ রযীন! তোমাদের প্রত্যেকে কি চাঁদকে পৃথকভাবে দেখতে পায় না? তিনি বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বলেনঃ আল্লাহ অতীব মহান এবং এটাই হল তাঁর সৃষ্টির মাঝে (তাঁর) নিদর্শন।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ وَكِيعِ بْنِ حُدُسٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكُلُّنَا يَرَى اللَّهَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَا آيَةُ ذَلِكَ فِي خَلْقِهِ قَالَ " يَا أَبَا رَزِينٍ أَلَيْسَ كُلُّكُمْ يَرَى الْقَمَرَ مُخْلِيًا بِهِ " . قَالَ قُلْتُ بَلَى . قَالَ " فَاللَّهُ أَعْظَمُ وَذَلِكَ آيَتُهُ فِي خَلْقِهِ " .
Waki' bin Hudus narrated that his paternal uncle Abu Razin said:
"I said: 'O Messenger of Allah, will we see Allah on the Day of Resurrection? And what is the sign of that in His creation?' He said: 'O Abu Razin, do each of you not see the moon individually?' I said: 'Of course.' He said: 'Allah is Greater, and that is His sign in His creation.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
৫/১৮১। আবূ রযীন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন আল্লাহ্র বান্দারা (সামান্য বিপদেই) হতাশ হয় এবং (বিপদ কেটে উঠার জন্য) আল্লাহ ভিন্ন অপরের নৈকট্য অন্বেষী হয়, তখন আমাদের প্রভু তার এ আচরণে হাসেন। রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! মহান প্রভু কি হাসেন? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ। আমি বললাম, আমরা কখনো পুণ্যের কাজ ত্যাগ করবো না, যাতে আমাদের প্রভু হাসেন।
তাহক্বীক্ব আলবানী: দুর্বল। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৩৫৮৫ যঈফ জিদ্দান, যিলালিল জান্নাহ ৫৫৪ যঈফ, সহীহা ৬/২৮১০ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ওয়াকী বিন হুদুস সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও ইবনুল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়নি। ইমাম যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ وَكِيعِ بْنِ حُدُسٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " ضَحِكَ رَبُّنَا مِنْ قُنُوطِ عِبَادِهِ وَقُرْبِ غِيَرِهِ " . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوَ يَضْحَكُ الرَّبُّ قَالَ " نَعَمْ " . قُلْتُ لَنْ نَعْدِمَ مِنْ رَبٍّ يَضْحَكُ خَيْرًا .
Waki' bin Hudus narrated that his paternal uncle Abu Razin said:
"The Messenger of Allah said: 'Allah laughs at the despair of His slaves although He soon changes it.' I said: 'O Messenger of Allah, does the Lord laugh?' He said: 'Yes.' I said: 'We shall never be deprived of good by a Lord Who laughs.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
৬/১৮২। আবূ রযীন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাদের প্রতিপালক তাঁর সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টি করার পূর্বে কোথায় ছিলেন? তিনি বলেনঃ মেঘমালার মধ্যে, যার নিচেও বায়ু ছিল না এবং উপরেও বায়ু পানি ছিল না। অতঃপর পানির উপর তিনি তাঁর আরশ সৃষ্টি করেন।
তাহক্বীক্ব আলবানী: দুর্বল। তাখরীজ আলবানী: তিরমিযী ৩১০৯ যঈফ, মিশকাত ৫৭২৫ যঈফ, যিললুল জান্নাহ ৬১২। উক্ত হাদিসের রাবী ওয়াকী বিন হুদুস সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও ইবনুল কাত্তান বলেন তার অবস্থা সম্পর্কে জানা যায় নি। ইমাম যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ وَكِيعِ بْنِ حُدُسٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيْنَ كَانَ رَبُّنَا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ خَلْقَهُ قَالَ " كَانَ فِي عَمَاءٍ مَا تَحْتَهُ هَوَاءٌ وَمَا فَوْقَهُ هَوَاءٌ ثُمَّ خَلَقَ الْعَرْشَ عَلَى الْمَاءِ " .
Waki' bin Hudus narrated that his paternal uncle Abu Razin said:
"I said: 'O Messenger of Allah, where was our Lord before He created His creation?' He said: He was above the clouds, below which was air, and above which was air and water. Then He created His Throne above the water.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
৭/১৮৩। সাফওয়ান ইবনু মুহরিয আল-মাযিনী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) এর সাথে ছিলাম। তিনি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করছিলেন। তখন এক ব্যাক্তি তার কাছে এসে বলেন, হে ইবনু উমার! আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে একান্তে কথা বলা সম্পর্কে কিভাবে বলতে শুনেছেন? তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ কিয়ামতের দিন ঈমানদার ব্যাক্তিকে তার প্রতিপালক প্রভুর খুব নিকটবর্তী করা হবে, এমনকি তিনি তার থেকে পর্দা সরিয়ে নিবেন, অতঃপর তার থেকে তার গুনাহসমূহের স্বীকারোক্তি আদায় করবেন।
তিনি বলবেনঃ তুমি কি চিনতে পেরেছ? সে বলবে, হে প্রভু! হ্যাঁ, আমি চিনতে পেরেছি, এমনকি আল্লাহ্র মর্জিমাফিক সে স্বীকার করতে থাকবে। তিনি বলবেন, আমি তোমার এ গুনাহসমূহ দুনিয়াতে লুকিয়ে রেখেছি এবং আজ তোমার সেই গুনাহ ক্ষমা করে দিলাম। অতঃপর তার ডান হাতে তার সৎকাজের হিসাব সম্বলিত একটি পুস্তিকা প্রদান করা হবে। অপরদিকে কাফের ও মুনাফিক্বদেরকে উপস্থিত সকলের সামনে ডাক দিয়ে বলা হবে, এরাই তাদের প্রতিপালক প্রভুর প্রতি মিথ্যারোপ করেছে। সাবধান! যালিমদের প্রতি আল্লাহ্র অভিসম্পাত- (সূরাহ হূদ ১১ঃ ১৮)।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ مُحْرِزٍ الْمَازِنِيِّ، قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَهُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ إِذْ عَرَضَ لَهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا ابْنَ عُمَرَ كَيْفَ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَذْكُرُ فِي النَّجْوَى قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " يُدْنَى الْمُؤْمِنُ مِنْ رَبِّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتَّى يَضَعَ عَلَيْهِ كَنَفَهُ ثُمَّ يُقَرِّرُهُ بِذُنُوبِهِ فَيَقُولُ هَلْ تَعْرِفُ فَيَقُولُ يَا رَبِّ أَعْرِفُ . حَتَّى إِذَا بَلَغَ مِنْهُ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَبْلُغَ قَالَ إِنِّي سَتَرْتُهَا عَلَيْكَ فِي الدُّنْيَا وَأَنَا أَغْفِرُهَا لَكَ الْيَوْمَ . قَالَ ثُمَّ يُعْطَى صَحِيفَةَ حَسَنَاتِهِ أَوْ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ . قَالَ وَأَمَّا الْكَافِرُ أَوِ الْمُنَافِقُ فَيُنَادَى عَلَى رُءُوسِ الأَشْهَادِ " . قَالَ خَالِدٌ فِي " الأَشْهَادِ " . شَىْءٌ مِنِ انْقِطَاعٍ . (هَؤُلاَءِ الَّذِينَ كَذَبُوا عَلَى رَبِّهِمْ أَلاَ لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الظَّالِمِينَ) .
It was narrated that Safwan bin Muhriz Al-Mazini said:
"We were with 'Abdullah bin 'Umar when he was circumambulating the House; a man came up to him and said: 'O Ibn 'Umar, what did you hear the Messenger of Allah say about the Najwa?' He said: 'I heard the Messenger of Allah say: 'On the Day of Resurrection, the believer will be brought close to his Lord until He will cover him with His screen, then He will make him confess his sins. He will ask him: "Do you confess?" He will say: "O Lord, I confess." This will continue as long as Allah wills, then He will say: "I concealed them for you in the world, and I forgive you for them today." Then he will be given the scroll of his good deeds, or his record, in his right hand. But as for the disbeliever or the hypocrite, (his sins) will be announced before the witnesses.' " (One of the narrators) Khalid said: "At: 'before the witnesses' there is something missing." "These are the ones who lied against their Lord!' No doubt! The curse of Allah is on the wrongdoers."
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
৮/১৮৪। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতবাসীরা তাদের ভোগ-বিলাসে মশগুল থাকবে, এমতাবস্থায় তাদের সামনে একটি নূরের আলোকচ্ছটা বিচ্ছুরিত হবে। তারা তাদের মাথা তুলে দেখতে পাবে যে, তাদের মহান প্রভু তাদের উপর দিক থেকে উদ্ভাসিত হয়েছেন। তিনি বলবেনঃ হে জান্নাতবাসীগণ! আসসালাম আলাইকুম (তোমাদের উপর অনন্ত শান্তি বর্ষিত হোক)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এটাই হল আল্লাহ্র বাণীর প্রমাণ (অনুবাদ) সালাম (অনন্ত শান্তি), পরম দয়ালু প্রভুর পক্ষ থেকে সম্ভাষণ- (সূরাহ ইয়াসিন ৩৬ঃ ৫৮)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি তাকাবেন এবং তারাও তাঁর প্রতি অপলক নেত্রে তাকাবে। জান্নাতীরা যতক্ষণ আল্লাহ্র দীদারে মশগুল থাকবে ততক্ষণ তারা অন্য কোন ভোগ-বিলাসের প্রতি ফিরেও তাকাবে না। অবশেষে তিনি তাদের দৃষ্টি থেকে অন্তর্হিত হবেন এবং তাঁর নূর ও বারাকাত তাদের জন্য তাদের আবাসে অবারিত থাকবে।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ الْعَبَّادَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ الرَّقَاشِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " بَيْنَا أَهْلُ الْجَنَّةِ فِي نَعِيمِهِمْ إِذْ سَطَعَ لَهُمْ نُورٌ فَرَفَعُوا رُءُوسَهُمْ فَإِذَا الرَّبُّ قَدْ أَشْرَفَ عَلَيْهِمْ مِنْ فَوْقِهِمْ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ . قَالَ وَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ (سَلاَمٌ قَوْلاً مِنْ رَبٍّ رَحِيمٍ) قَالَ فَيَنْظُرُ إِلَيْهِمْ وَيَنْظُرُونَ إِلَيْهِ فَلاَ يَلْتَفِتُونَ إِلَى شَىْءٍ مِنَ النَّعِيمِ مَا دَامُوا يَنْظُرُونَ إِلَيْهِ حَتَّى يَحْتَجِبَ عَنْهُمْ وَيَبْقَى نُورُهُ وَبَرَكَتُهُ عَلَيْهِمْ فِي دِيَارِهِمْ " .
It was narrated that Jabor bin 'Abdullah said:
"The Messenger of Allah said: 'While the people of Paradise are enjoying their blessings, a light will shine upon them, and they will raise their heads, and they will see their Lord looking upon them from above. He will say: "Peace be upon you, O people of Paradise." This is what Allah says in the Verse: "Salam (peace be upon you) - a Word from the Lord (Allah), The Most Merciful." He will look at them, and they will look at Him, and they will not pay any attention to the delights (of Paradise) so long as they look at Him, until He will screen Himself from them. But His light and blessing will remain with them in their bodies.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
৯/১৮৫। আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের সাথেই তার মহান প্রভু কথা বলবেন এবং তার ও প্রভুর মধ্যখানে কোন দোভাষী থাকবে না। সে তার ডান দিকে তাকালে তার কৃতকর্ম ব্যতীত কিছুই দেখবে না। সে তার বাম দিকে তাকালে তার কৃতকর্ম ব্যতীত কিছুই দেখবে না। সে তার সামনের দিকে তাকালে জাহান্নাম তাকে অভ্যর্থনা জানাবে। অতএব কারো জাহান্নামের আগুন থেকে আত্নরক্ষা করার সামর্থ্য থাকলে সে যেন এক টুকরা খেজুর দান করে হলেও তাই করে।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ سَيُكَلِّمُهُ رَبُّهُ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ تَرْجُمَانٌ فَيَنْظُرُ عَنْ أَيْمَنَ مِنْهُ فَلاَ يَرَى إِلاَّ شَيْئًا قَدَّمَهُ ثُمَّ يَنْظُرُ عَنْ أَيْسَرَ مِنْهُ فَلاَ يَرَى إِلاَّ شَيْئًا قَدَّمَهُ ثُمَّ يَنْظُرُ أَمَامَهُ فَتَسْتَقْبِلُهُ النَّارُ فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يَتَّقِيَ النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ فَلْيَفْعَلْ " .
It was narrated that 'Adi bin Hatim said:
"The Messenger of Allah said: 'There is no one among you but his Lord will speak to him without any intermediary between them. He will look to his right and will not see anything but that which he sent forth. He will look to his left and will not see anything but that which he sent forth. Then he will look in front of him and will be faced with the Fire. So whoever among you can protect himself from fire, even by means of half a date, let him do so.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
১০/১৮৬। আবদুল্লাহ ইবনু ক্বায়স আল-আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুটি জান্নাত এবং তার পাত্রসমূহ ও অন্যান্য সব কিছুই হবে রূপার তৈরি। আরও দুটি জান্নাত এবং তার পাত্রসমূহ ও অন্যান্য সব কিছুই হবে সোনার তৈরি। আদন নামক জান্নাতে জান্নাতীগণ ও তাদের বারাকাতময় মহান প্রভুর দীদার লাভের মাঝখানে তাঁর চেহারার উপর তাঁর গৌরবের চাঁদর ব্যতীত আর কোন প্রতিবন্ধক থাকবে না।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الصَّمَدِ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ الأَشْعَرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " جَنَّتَانِ مِنْ فِضَّةٍ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا وَجَنَّتَانِ مِنْ ذَهَبٍ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا وَمَا بَيْنَ الْقَوْمِ وَبَيْنَ أَنْ يَنْظُرُوا إِلَى رَبِّهِمْ تَبَارَكَ وَتَعَالَى إِلاَّ رِدَاءُ الْكِبْرِيَاءِ عَلَى وَجْهِهِ فِي جَنَّةِ عَدْنٍ " .
Abu Bakr bin Qais Al-Ash'ari narrated that his father said:
"The Messenger of Allah said: 'Two gardens of silver, their vessels and everything in them; and two gardens of gold, their vessels and everything in them, and nothing between the people and their seeing their Lord, the Blessed and Exalted, except the Veil of Pride covering His Face in the Garden of Eden (Jannat 'Adn)."
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
১১/১৮৭। সুহায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) যারা কল্যাণকর কাজ করে, তাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ এবং আরো অধিক- (সূরাহ ইউনুস ১০ঃ ২৬)। অতঃপর তিনি বলেনঃ জান্নাতীরা জান্নাতে এবং জাহান্নামীরা জাহান্নামে প্রবেশ করার পর এক ঘোষণাকারী ডেকে বলবেঃ জান্নাতবাসীগণ! নিশ্চয় তোমাদের জন্য আল্লাহ তাআলার একটি প্রতিশ্রুতি রয়েছে যা তিনি এখন পূর্ণ করবেন। তারা বলবে, তা কী? আল্লাহ তাআলা কি আমাদের (সৎ কর্মের) পাল্লা ভারী করেননি, আমাদের চেহারাগুলো আলোকিত করেননি, আমাদেরকে জান্নাতে দাখিল করেননি এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেননি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তখন আল্লাহ তাআলা আবরণ উন্মুক্ত করবেন এবং তারা তাঁর দিকে তাকাবে। আল্লাহ্র শপথ! আল্লাহ তাদেরকে তার দীদারের চাইতে অধিক প্রিয় ও অধিক নয়নপ্রীতিকর আর কিছু দান করেননি।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقُدُّوسِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ صُهَيْبٍ، قَالَ تَلاَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ هَذِهِ الآيَةَ (لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ) وَقَالَ " إِذَا دَخَلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ وَأَهْلُ النَّارِ النَّارَ نَادَى مُنَادٍ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ إِنَّ لَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ مَوْعِدًا يُرِيدُ أَنْ يُنْجِزَكُمُوهُ . فَيَقُولُونَ وَمَا هُوَ أَلَمْ يُثَقِّلِ اللَّهُ مَوَازِينَنَا وَيُبَيِّضْ وُجُوهَنَا وَيُدْخِلْنَا الْجَنَّةَ وَيُنْجِنَا مِنَ النَّارِ قَالَ فَيَكْشِفُ الْحِجَابَ فَيَنْظُرُونَ إِلَيْهِ فَوَاللَّهِ مَا أَعْطَاهُمُ اللَّهُ شَيْئًا أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنَ النَّظَرِ إِلَيْهِ وَلاَ أَقَرَّ لأَعْيُنِهِمْ " .
It was narrated that Suhaib said:
"The Messenger of Allah recited this Verse: 'For those who have done good is the best reward and even more.' Then he said: 'When the people of Paradise enter Paradise, and the people of the Fire enter the Fire, a caller will cry out: "O people of Paradise! You have a covenant with Allah and He wants to fulfill it." They will say: "What is it?" Has Allah not made the Balance (of our good deeds) heavy, and made our faces bright, and admitted us to Paradise and saved us from Hell?" Then the Veil will be lifted and they will look upon Him, and by Allah, Allah will not give them anything that is more beloved to them or delightful, than looking upon Him.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
১২/১৮৮। আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য যিনি সব রকমের ডাক শুনেন। এক মহিলা তার অভিযোগ নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসে। তখন আমি ঘরের এক কোণে অবস্থানরত ছিলাম। সে তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, কিন্তু আমি তার বক্তব্য শুনতে পাইনি। তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেন (অনুবাদ) আল্লাহ অবশ্যই সেই নারীর কথা শুনেছেন, যে তার স্বামীর বিষয়ে আপনার সাথে বাদানুবাদ করছে (সূরাহ মুজাদালা ৫৮ঃ ১)।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ تَمِيمِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتِ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَسِعَ سَمْعُهُ الأَصْوَاتَ، لَقَدْ جَاءَتِ الْمُجَادِلَةُ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَنَا فِي نَاحِيَةِ الْبَيْتِ تَشْكُو زَوْجَهَا وَمَا أَسْمَعُ مَا تَقُولُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ (قَدْ سَمِعَ اللَّهُ قَوْلَ الَّتِي تُجَادِلُكَ فِي زَوْجِهَا) .
It was narrated that 'Aishah said:
"Praise is to Allah Whose hearing encompasses all voices. The woman who disputed concerning her husband (Al-Mujadilah) came to the Prophet when I was (sitting) in a corner of the house, and she complained about her husband, but I did not hear what she said. The Allah revealed: 'Indeed Allah has heard the statement of her that disputes with you concerning her husband.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
১৩/১৮৯। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রতিপালক সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টির পূর্বেই তাঁর হাতে তাঁর নিজের ব্যাপারে লিপিবদ্ধ করেনঃ আমার দয়া আমার ক্রোধের উপর অগ্রবর্তী হয়েছে।
তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১৬২৯।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " كَتَبَ رَبُّكُمْ عَلَى نَفْسِهِ بِيَدِهِ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ الْخَلْقَ رَحْمَتِي سَبَقَتْ غَضَبِي " .
It was narrated that Abu Hurairah said:
"The Messenger of Allah said: 'Your Lord wrote for Himself with His Own Hand before He created the creation: "My mercy precedes My wrath."
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
১৪/১৯০। ত্বলহাহ্ ইবনু খিরাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ -কে বলতে শুনেছিঃ উহূদের যুদ্ধের দিন আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু হারাম শহীদ হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং বলেনঃ হে জাবির! আল্লাহ তাআলা তোমার পিতা সম্পর্কে যা বলেছেন, আমি কি তোমাকে তা অবহিত করবো না? ইয়াহ্ইয়া (রহঃ)-এর বর্ণনায় আছেঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ হে জাবির! আমার কী হল, আমি তোমাকে ভগ্ন হৃদয় দেখছি কেন?
জাবির বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমার পিতা শহীদ হয়েছেন এবং তিনি অনেক সন্তান ও ঋণের বোঝা রেখে গেছেন। তিনি বলেনঃ আমি কি তোমাকে সুসংবাদ দিবো না যে, আল্লাহ তাআলা তোমার পিতার সাথে কিভাবে সাক্ষাৎ করেছেন? তিনি বলেন, অবশ্যই, হে আল্লাহ্র রাসূল! তিনি বলেনঃ আল্লাহ তাআলা কখনো অন্তরাল ছাড়া কারো সাথে কথা বলেননি, কিন্তু তোমার পিতার সাথে অন্তরাল ছাড়াই কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেনঃ হে আমার বান্দা! আমার কাছে কামনা করো, আমি তোমাকে দান করবো। তোমার পিতা বললো, হে প্রভু! আমাকে জীবন দান করুন, যাতে আমি আপনার রাস্তায় পুনরায় শহীদ হতে পারি। মহান ও পবিত্র প্রতিপালক আল্লাহ বলেনঃ আমি তো আগেই লিপিবদ্ধ করে দিয়েছি যে, লোকেরা (মৃত্যুর পর) (পৃথিবীতে) ফিরে যাবে না। তোমার পিতা বললো, হে প্রভু! তাহলে আমার পশ্চাদবর্তীদের কাছে (আমার সৌভাগ্যের) এ খবর পৌঁছে দিন। তিনি বলেন, তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেন (অনুবাদ) যারা আল্লাহ্র পথে নিহত হয়েছে, তোমরা তাদের কখনো মৃত মনে করো না, বরং তারা জীবিত এবং তারা তাদের প্রভুর নিকট থেকে জীবিকাপ্রাপ্ত- (সূরাহ আল ইমরানঃ ৩ঃ ১৬৯)।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ، وَيَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ كَثِيرٍ الأَنْصَارِيُّ الْحَرَامِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ طَلْحَةَ بْنَ خِرَاشٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ لَمَّا قُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَرَامٍ يَوْمَ أُحُدٍ لَقِيَنِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ " يَا جَابِرُ أَلاَ أُخْبِرُكَ مَا قَالَ اللَّهُ لأَبِيكَ " . وَقَالَ يَحْيَى فِي حَدِيثِهِ فَقَالَ " يَا جَابِرُ مَالِي أَرَاكَ مُنْكَسِرًا " . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتُشْهِدَ أَبِي وَتَرَكَ عِيَالاً وَدَيْنًا . قَالَ " أَفَلاَ أُبَشِّرُكَ بِمَا لَقِيَ اللَّهُ بِهِ أَبَاكَ " . قَالَ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " مَا كَلَّمَ اللَّهُ أَحَدًا قَطُّ إِلاَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ وَكَلَّمَ أَبَاكَ كِفَاحًا . فَقَالَ يَا عَبْدِي تَمَنَّ عَلَىَّ أُعْطِكَ . قَالَ يَا رَبِّ تُحْيِينِي فَأُقْتَلُ فِيكَ ثَانِيَةً . فَقَالَ الرَّبُّ سُبْحَانَهُ إِنَّهُ سَبَقَ مِنِّي أَنَّهُمْ إِلَيْهَا لاَ يَرْجِعُونَ . قَالَ يَا رَبِّ فَأَبْلِغْ مَنْ وَرَائِي . قَالَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى (وَلاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ) " .
Talhah bin Khirash said:
"I head Jabir bin 'Abdullah say" 'When 'Abdullah bin 'Amr bin )Haram) was killed on the Day of Uhud, the Messenger of Allah met me, and said: "O Jabir, shall I not tell you what Allah has said to your father?" Yahya said in his Hadith: "And he said: 'O Jabir, why do I see you broken-hearted?' I (Jabir) said: 'O Messenger of Allah, my father has been martyred and he has left behind dependents and debts.' He said: 'Shall I not give you the glad tidings of that with which Allah met your father?' I said: 'Yes, O Messenger of Allah.' He said: 'Allah never spoke to anyone except from behind a screen, but He spoke to your father directly, and He said: "O My slave! Ask something from Me and I shall give it to you." He said: "O Lord, bring me back to life so that I may be killed in Your cause a second time." The Lord, Glorified is He, said: "I have already decreed that they will not return to life." He said: "My Lord, then convey (this news) to those whom I have left behind." Allah said: "Think not of those as dead who are killed in the way of Allah, Nay, they are alive, with their Lord, and they have provision."
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
১৫/১৯১। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা দু ব্যাক্তিকে দেখে হাসবেন, যাদের একজন অপরজনকে হত্যা করার পর দুজনই জান্নাতবাসী হবে। তাদের একজন আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদ করে শহীদ হবে। অতঃপর আল্লাহ তাআলা হত্যাকারীর তওবা কবূল করবেন, ফলে সে ইসলাম গ্রহণ করে আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদ করে শহীদ হবে।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১০৭৪।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّ اللَّهَ يَضْحَكُ إِلَى رَجُلَيْنِ يَقْتُلُ أَحَدُهُمَا الآخَرَ كِلاَهُمَا دَخَلَ الْجَنَّةَ يُقَاتِلُ هَذَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيُسْتَشْهَدُ ثُمَّ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَى قَاتِلِهِ فَيُسْلِمُ فَيُقَاتِلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيُسْتَشْهَدُ " .
It was narrated that Abu Hurairah said:
"The Messenger of Allah said: 'Allah will laugh at two persons- one of them kills the other, and both of them enter Paradise, for the first one fought in the cause of Allah and was martyred, then his killer repented to Allah and became Muslim, then he also fought in the cause of Allah and was martyred.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
১৬/১৯২। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলতেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন যমীন ও আসমানকে গুটিয়ে তাঁর ডান হাতে মুষ্টিবদ্ধ করে বলবেনঃ আমিই রাজাধিরাজ, পৃথিবীর রাজা-বাদশারা (আজ) কোথায়?
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: যিলাল ৫৪৯।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، وَيُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، كَانَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " يَقْبِضُ اللَّهُ الأَرْضَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَطْوِي السَّمَاءَ بِيَمِينِهِ ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ أَيْنَ مُلُوكُ الأَرْضِ " .
Sa'eed bin Musayyab narrated that Abu Hurairah used to say:
"The Messenger of Allah said: Allah will seize the earth on the Day of Ressurection, and He will roll up the heavens in his Right Hand, then He will say, "I am the Sovereign. Where are the kings of the earth?'"
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
১৭/১৯৩। আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বাতহা নামক স্থানে একদল লোকের সাথে ছিলাম এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তাদের সাথে ছিলেন। তখন একখন্ড মেঘ তাঁকে অতিক্রম করে। তিনি মেঘখন্ডের দিকে তাকিয়ে বলেনঃ তোমরা এটাকে কী নামে অভিহিত করো? তারা বলেন, মেঘ। তিনি বলেনঃ এবং মুয্ন। তারা বলেন, মুয্নও বটে। তিনি বলেনঃ আনানও। আবূ বকর বলেন, তারা সবাই বললেন, আনানও বটে। তিনি বলেনঃ তোমাদের ও আসমানের মাঝে তোমরা কত দূরত্ব মনে করো? তারা বলেন, আমরা অবগত নই। তিনি বলেনঃ তোমাদের এবং আসমানের মাঝে ৭১ বা ৭২ বা ৭৩ বছরের দূরত্ব রয়েছে। এক আসমান থেকে তার ঊর্ধ্বের আসমানের দূরত্বও তদ্রূপ।
এভাবে তিনি সাত আসমানের সংখ্যা গণনা করেন। অতঃপর সপ্তম আকাশের উপর একটি সমুদ্র আছে যার শীর্ষভাগ ও নিম্নভাগের মধ্যকার ব্যবধান (গভীরতা) দু আসমানের মধ্যকার দূরত্বের সমান। তার উপর রয়েছেন আটজন ফেরেশতা, যাদের পায়ের পাতা ও হাঁটুর মধ্যকার ব্যবধান দু আসমানের মধ্যকার দূরত্বের সমান। তাদের পিঠের উপরে আল্লাহ্র আরশ অবস্থিত, যার উপর ও নিচের ব্যবধান (উচ্চতা) দু আসমানের মধ্যকার দূরত্বের সমান। তার উপরে রয়েছেন বরকতময় মহান আল্লাহ্।
তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: আবূ দাঊদ ৪৭২৩ যঈফ, মিশকাত ৫৭২৬ যঈফ, যঈফা ১২৪৭, যিলালুল জান্নাহ ৫৭৭। উক্ত হাদিসের রাবী ওয়ালীদ বিন আবু সাওর আল হামদানী সম্পর্কে ইবনু নুমায়র বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন ও মুনকারুল হাদিস। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান ও সাকিহ জাযারাহ তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতীম আর-রাযী বলেন, তার থেকে যাচাই করে হাদিস লিখা যায়।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي ثَوْرٍ الْهَمْدَانِيُّ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمِيرَةَ، عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، قَالَ كُنْتُ بِالْبَطْحَاءِ فِي عِصَابَةٍ وَفِيهِمْ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَمَرَّتْ بِهِ سَحَابَةٌ فَنَظَرَ إِلَيْهَا فَقَالَ " مَا تُسَمُّونَ هَذِهِ " . قَالُوا السَّحَابُ . قَالَ " وَالْمُزْنُ " . قَالُوا وَالْمُزْنُ . قَالَ " وَالْعَنَانُ " . قَالَ أَبُو بَكْرٍ قَالُوا وَالْعَنَانُ . قَالَ " كَمْ تَرَوْنَ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ السَّمَاءِ " . قَالُوا لاَ نَدْرِي . قَالَ " فَإِنَّ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهَا إِمَّا وَاحِدًا أَوِ اثْنَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا وَسَبْعِينَ سَنَةً وَالسَّمَاءُ فَوْقَهَا كَذَلِكَ " . حَتَّى عَدَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ " ثُمَّ فَوْقَ السَّمَاءِ السَّابِعَةِ بَحْرٌ بَيْنَ أَعْلاَهُ وَأَسْفَلِهِ كَمَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ فَوْقَ ذَلِكَ ثَمَانِيَةُ أَوْعَالٍ بَيْنَ أَظْلاَفِهِنَّ وَرُكَبِهِنَّ كَمَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ عَلَى ظُهُورِهِنَّ الْعَرْشُ بَيْنَ أَعْلاَهُ وَأَسْفَلِهِ كَمَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ اللَّهُ فَوْقَ ذَلِكَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى " .
It was narrated that 'Abbas bin 'Abdul-Mutallib said:
"I was in Batha with a group of people, among them whom was the Messenger of Allah. A cloud passed over him, and he looked at it and said: 'What do you call this?' They said: 'Sahab (a cloud).' He said: 'And Muzn (rain cloud).' They said: 'And Muzn.' He said: 'And 'Anan (clouds).' Abu Bakr said: "They said: 'And 'Anan.'" He said: 'How much (distance) do you think there is between you and the heavens?' They said: 'We do not know.' He said: 'Between you and it is seventy-one, or seventy-two, or seventy-three years, and there is a similar distance between it and the heaven above it (and so on)' until he counted seven heavens. 'Then above the seventh heaven there is a sea, between whose top and bottom is a distance like that between one heaven and another. Then above that there are eight (angels in the form of) mountain goats. The distance between their hooves and their knees is like the distance between one heaven and the next. Then on their backs is the Throne, and the distance between the top and the bottom of the Throne is like the distance between one heaven and another. Then Allah is above that, the Blessed and Exalted."
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
১৮/১৯৪। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আল্লাহ তাআলা আসমানে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা জারী করলে মালায়িকাহ বিনয়াবনত হয়ে তাদের পাখাসমূহ দোলাতে থাকেন। ফলে তা থেকে মসৃণ পাথরের উপর জিঞ্জিরের আঘাতের আওয়াজের অনুরূপ আওয়াজ হতে থাকে। অতঃপর তাদের অন্তরের ভীতিকর অবস্থা দূরীভূত হলে তারা পরস্পর জিজ্ঞেস করেন, তোমাদের রব কী বলেছেন? তারা বলেন, তিনি সত্যই বলেছেন, তিনি সমুচ্চ মহান- (সূরাহ সাবা ৩৪ঃ ২৩)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তাদের পারস্পরিক আলোচনা শয়তান ওৎ পেতে শোনে এবং ভূপৃষ্ঠে অবস্থানকারী তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের কাছে তা পৌঁছে দেয়। কখনো তা নিম্নে অবস্থানকারীদের কাছে পৌঁছানোর পূর্বে তাদের প্রতি উল্কাপিন্ড নিক্ষেপ করা হয়। শ্রুত কথা তারা পৃথিবীতে এসে গণক অথবা যাদুকরের মুখে ঢেলে দেয়। আবার কখনো তারা কিছুই শুনতে পায় না, বরং (নিজেদের পক্ষ থেকে) তা গণক ও যাদুকরের মুখে তাদের কথার সাথে শত মিথ্যা যোগ করে ঢেলে দেয়। তাই কেবল সত্য সেটিই হয় যা তারা আসমান থেকে শোনে।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ৩/২৮৩। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াকুব বিন হুমায়দ বিন কাসিব সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। ইমাম বুখারী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। ইবনু আদী বলেন, কোন সমস্যা নেই।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " إِذَا قَضَى اللَّهُ أَمْرًا فِي السَّمَاءِ ضَرَبَتِ الْمَلاَئِكَةُ أَجْنِحَتَهَا خِضْعَانًا لِقَوْلِهِ كَأَنَّهُ سِلْسِلَةٌ عَلَى صَفْوَانٍ فَإِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ قَالُوا مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالُوا الْحَقَّ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْكَبِيرُ قَالَ فَيَسْمَعُهَا مُسْتَرِقُو السَّمْعِ بَعْضُهُمْ فَوْقَ بَعْضٍ فَيَسْمَعُ الْكَلِمَةَ فَيُلْقِيهَا إِلَى مَنْ تَحْتَهُ فَرُبَّمَا أَدْرَكَهُ الشِّهَابُ قَبْلَ أَنْ يُلْقِيَهَا إِلَى الَّذِي تَحْتَهُ فَيُلْقِيهَا عَلَى لِسَانِ الْكَاهِنِ أَوِ السَّاحِرِ فَرُبَّمَا لَمْ يُدْرَكْ حَتَّى يُلْقِيَهَا فَيَكْذِبُ مَعَهَا مِائَةَ كَذْبَةٍ فَتَصْدُقُ تِلْكَ الْكَلِمَةُ الَّتِي سُمِعَتْ مِنَ السَّمَاءِ " .
It was narrated from Abu Hurairah that:
The Prophet said: "When Allah decrees a matter in heaven, the angels beat their wings in submission to his decree (with a sound) like a chain beating a rock. Then "When fear is banished from their hearts, they say: 'What is it that your Lord has said?' They say: 'The truth. And He is The Most High, The Most Great." He said: 'Then the eavesdroppers (from among the jinn) listen out for that, one above the other, so (one of them) hears the words and passes it on to the one beneath him. The Shihab (shooting star) may strike him before he can pass it on to the one beneath him and the latter can pass it on to the soothsayer or sorcerer, or it may not strike him until he has passed it on. And he ads one hundred lies to it, and only that word which was overheard from the heavens is true."
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
১৯/১৯৫। আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঁচটি বিষয় নিয়ে আমাদের সামনে দাঁড়ালেন। তিনি বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ ঘুমান না এবং ঘুমানো তাঁর জন্য সঙ্গতও নয়। তিনি মীযান (তুলাদন্ড) নীচু করেন এবং উঁচু করেন। রাতের কর্মকান্ড দিনের কর্মকান্ডের পূর্বেই এবং দিনের কর্মকান্ড রাতের কর্মকান্ডের পূর্বেই তাঁর নিকট পৌঁছানো হয়। তাঁর পর্দা হচ্ছে নূর (জ্যোতি)। তিনি তাঁর পর্দা তুলে নিলে তাঁর চেহারার জ্যোতি বা মহিমা তাঁর সৃষ্টির দৃষ্টির সীমা পর্যন্ত সব কিছু ভস্মীভূত করে দিত।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: যিলাল ৬১৪।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِخَمْسِ كَلِمَاتٍ فَقَالَ " إِنَّ اللَّهَ لاَ يَنَامُ وَلاَ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَنَامَ يَخْفِضُ الْقِسْطَ وَيَرْفَعُهُ يُرْفَعُ إِلَيْهِ عَمَلُ اللَّيْلِ قَبْلَ عَمَلِ النَّهَارِ وَعَمَلُ النَّهَارِ قَبْلَ عَمَلِ اللَّيْلِ حِجَابُهُ النُّورُ لَوْ كَشَفَهُ لأَحْرَقَتْ سُبُحَاتُ وَجْهِهِ مَا انْتَهَى إِلَيْهِ بَصَرُهُ مِنْ خَلْقِهِ " .
It was narrated that Abu Musa said:
"The Messenger of Allah stood up among us and said five things. He said: 'Allah does not sleep, and it is not befitting that He should sleep. He lowers the Scales and raises them. The deed done during the day is taken up to Him before the deed done during the night, and the deed done during the night before the deed done during the day. His Veil is Light, and if He were to remove it, the glory of his Face would burn everything of His creation, as far as His gaze reaches.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
২০/১৯৬। আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ ঘুমান না এবং ঘুমানো তাঁর জন্য শোভাও পায় না। তিনি দাঁড়িপাল্লা উঠানামা করান। তাঁর পর্দা হল নূর। তিনি তাঁর পর্দা তুলে নিলে তাঁর চেহারার জ্যোতি বা (মহিমা) মানুষের দৃষ্টিসীমার সব কিছুকে জ্বালিয়ে দিত। অধস্তন রাবী আবূ উবাইদাহ (রহঃ) এ আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ ধন্য তারা যারা আছে এ আলোর মাঝে এবং যারা আছে তার চারপাশে। জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ পবিত্র ও মহিমান্বিত (সূরাহ নামলঃ ৮)।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আল-মাসউদী সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু নুমায়র বলেন, তিনি সিকাহ তবে শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। মুহাম্মাদ বিন সা'দ বলেন তিনি সিকাহ তবে মৃত্যুর পূর্বে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। আলী ইবনুল মাদীনী তাকে সিকাহ বলেছেন।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّ اللَّهَ لاَ يَنَامُ وَلاَ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَنَامَ يَخْفِضُ الْقِسْطَ وَيَرْفَعُهُ حِجَابُهُ النُّورُ لَوْ كَشَفَهَا لأَحْرَقَتْ سُبُحَاتُ وَجْهِهِ كُلَّ شَىْءٍ أَدْرَكَهُ بَصَرُهُ " . ثُمَّ قَرَأَ أَبُو عُبَيْدَةَ (أَنْ بُورِكَ مَنْ فِي النَّارِ وَمَنْ حَوْلَهَا وَسُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ) .
It was narrated that Abu Musa said:
"The Messenger of Allah said: 'Allah does not sleep, and it is not befitting that He should sleep. He lowers the Scales and raises them. His Veil is Light, and if He were to remove it, the glory of his Face would burn everything of His creation, as far as His gaze reaches.' " Then Abu 'Ubaidah recited the verse: 'Blessed is whosoever is in the fire, (i.e. the light of Allah) and whosoever is round about it! And Glorified is Allah, the Lord of all that exists."