পরিচ্ছেদঃ ৫) লুঙ্গি ছাড়া পুরুষদের এবং নেফাসযুক্ত বা রুগ্ন মহিলা ব্যতীত অন্যান্য মহিলাদের লুঙ্গিসহ গণগোসলখানায় প্রবেশের ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন। এক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে তার বর্ণনা
১৬৪. (সহীহ্ লি গাইরিহী) জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’যে ব্যাক্তি আল্লাহ এবং শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন লুঙ্গি ছাড়া গণগোসলখানায় প্রবেশ না করে। আর যে ব্যাক্তি আল্লাহ এবং শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তার স্ত্রীকে গণগোসলখানায় প্রবেশ না করায়।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন নাসাঈ ১/১৯৮, তিরমিযী ২৮০১ ও হাকেম ৪/২৮৮। হাকেম বলেন, মুসলিমের শর্তানুযায়ী হাদীছটি সহীহ)
الترهيب من دخول الرجال الحمام بغير أزر ومن دخول النساء بأزر وغيرها إلا نفساء أو مريضة وما جاء في النهي عن ذلك
(صحيح لغيره) عن جاَبِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قاَلَ: قَالَ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يَدْخُلْ الْحَمَّامَ إلا بمئزر وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يُدْخِلْ حَلِيلَتَهُ الْحَمَّامَ. رواه النسائي والترمذي وحسنه والحاكم وقال صحيح على شرط مسلم
পরিচ্ছেদঃ ৫) লুঙ্গি ছাড়া পুরুষদের এবং নেফাসযুক্ত বা রুগ্ন মহিলা ব্যতীত অন্যান্য মহিলাদের লুঙ্গিসহ গণগোসলখানায় প্রবেশের ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন। এক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে তার বর্ণনা
১৬৫. (হাসান সহীহ্) আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে একথা বলতে শুনেছিঃ ’’আমার উম্মতের নারীদের জন্যে হাম্মামে (জন সাধারণের জন্য উন্মুক্ত গোসলখানায়) প্রবেশ করা হারাম।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন হাকেম ৪/২৯০। তিনি বলেন, হাদীছটির সনদ সহীহ)
الترهيب من دخول الرجال الحمام بغير أزر ومن دخول النساء بأزر وغيرها إلا نفساء أو مريضة وما جاء في النهي عن ذلك
(حسن ) وَعَنْها (يعني عائشة رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا ) قالت سمعت رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقول الحمام حرام على نساء أمتي. رواه الحاكم وقال هذا حديث صحيح الإسناد
পরিচ্ছেদঃ ৫) লুঙ্গি ছাড়া পুরুষদের এবং নেফাসযুক্ত বা রুগ্ন মহিলা ব্যতীত অন্যান্য মহিলাদের লুঙ্গিসহ গণগোসলখানায় প্রবেশের ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন। এক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে তার বর্ণনা
১৬৬. (সহীহ) আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’যে ব্যাক্তি আল্লাহ এবং শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে সম্মান করে। যে ব্যাক্তি আল্লাহ এবং শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন লুঙ্গি ছাড়া গণগোসলখানায় প্রবেশ না করে। যে ব্যাক্তি আল্লাহ এবং শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে নতুবা চুপ থাকে। আর তোমাদের মহিলাদের মধ্যে যে আল্লাহ এবং শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন গণগোসলখানায় প্রবেশ না করে।’’
আবু আইয়ুব বলেনঃ ওমার বিন আবদুল আযীযের খেলাফত কালে হাদীছটি আমি তাঁর সামনে উত্থাপন করলাম। তিনি এর সত্যতা জানার জন্য আবু বকর বিন মুহাম্মাদ বিন আমর বিন হাযমের নিকট এই মর্মে চিঠি লিখেন যে, তিনি যেন হাদীছটি সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন ছাবেতকে জিজ্ঞেস করেন। কেননা তাঁর কথাতে সন্তুষ্ট হওয়া যায়। তিনি তাকে প্রশ্ন করে হাদীছের সত্যতা সম্পর্কে ওমারকে লিখে পাঠালেন। তখন তিনি গণগোসলখানায় প্রবেশের ব্যাপারে মহিলাদের প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিলেন।
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইবনে হিব্বান ৫৫৬৮ [স্বীয় সহীহ গ্রন্থে], হাকেম ৪/২৮৯, ত্বাবরানী [কাবীর ও আওসাত] গ্রন্থে)
الترهيب من دخول الرجال الحمام بغير أزر ومن دخول النساء بأزر وغيرها إلا نفساء أو مريضة وما جاء في النهي عن ذلك
(صحيح) وَعَنْ أبي أيوب الأنصاري رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيُكْرِمْ جَارَهُ ومَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يَدْخُلْ الْحَمَّامَ إِلَّا بِمِئْزَرٍ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ مِنْ نِسَائِكُمْ فَلا يدخل الْحَمَّامَ. قال فنميت بذلك إلى عمر بن عبد العزيز رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ في خلافته فكتب إلى أبي بكر بن محمد بن عمرو بن حزم أن سل محمد بن ثابت عن حديثه فإنه رضاً فسأله ثم كتب إلى عمر فمنع النساء عن الحمام
رواه ابن حبان في صحيحه واللفظ له والحاكم والطبراني في الكبير والأوسط
পরিচ্ছেদঃ ৫) লুঙ্গি ছাড়া পুরুষদের এবং নেফাসযুক্ত বা রুগ্ন মহিলা ব্যতীত অন্যান্য মহিলাদের লুঙ্গিসহ গণগোসলখানায় প্রবেশের ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন। এক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে তার বর্ণনা
১৬৭. (সহীহ্ লি গাইরিহী) ক্বাস আল আজনাদ থেকে বর্ণিত (তিনি কুসতুনতুনিয়ায় অবস্থান করতেন)। তিনি হাদীছ বর্ণনা করেন যে, ওমার বিন খাত্তাব (রাঃ) বলেন, হে লোক সকল! আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে একথা বলতে শুনেছিঃ
’’যে ব্যাক্তি আল্লাহ এবং শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন এমন দস্তরখানায় না বসে যেখানে মদ বিতরণ করা হয়। যে ব্যাক্তি আল্লাহ্ এবং শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন লুঙ্গি ছাড়া গণগোসলখানায় প্রবেশ না করে এবং যে ব্যাক্তি আল্লাহ্ এবং শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তার স্ত্রীকে গণগোসলখানায় প্রবেশ না করায়।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ১/২০)
الترهيب من دخول الرجال الحمام بغير أزر ومن دخول النساء بأزر وغيرها إلا نفساء أو مريضة وما جاء في النهي عن ذلك
(صحيح لغيره) وَعَنْ قاص الأجناد بالقسطنطينية أنه حَدَّثَ : أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: "مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، فَلا يَقْعُدَنَّ عَلَى مَائِدَةٍ يُدَارُ عَلَيْهَا الْخَمْرُ، وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، فَلا يَدْخُلِ الْحَمَّامَ إِلَّا بِإِزَارٍ، وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، فَلا يُدْخُلْ حَلِيْلَتَهُ الْحَمَّامَ. رواه أحمد
পরিচ্ছেদঃ ৫) লুঙ্গি ছাড়া পুরুষদের এবং নেফাসযুক্ত বা রুগ্ন মহিলা ব্যতীত অন্যান্য মহিলাদের লুঙ্গিসহ গণগোসলখানায় প্রবেশের ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন। এক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে তার বর্ণনা
১৬৮. (হাসান সহীহ্) ইমাম আহমাদ হাদীছের শেষাংশটুকু আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকেও বর্ণনা করেছেন।[1]
الترهيب من دخول الرجال الحمام بغير أزر ومن دخول النساء بأزر وغيرها إلا نفساء أو مريضة وما جاء في النهي عن ذلك
-
পরিচ্ছেদঃ ৫) লুঙ্গি ছাড়া পুরুষদের এবং নেফাসযুক্ত বা রুগ্ন মহিলা ব্যতীত অন্যান্য মহিলাদের লুঙ্গিসহ গণগোসলখানায় প্রবেশের ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন। এক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে তার বর্ণনা
১৬৯. (সহীহ) উম্মু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি গোসলখানা থেকে বের হলাম। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হল, তিনি বললেন, কোত্থেকে হে উম্মু দারদা? আমি বললাম, গোসলখানা থেকে।
তিনি বললেনঃ ’’শপথ সেই সত্তার যার হাতে আমার প্রাণ, যে মহিলা স্বীয় মাতৃকূলের বাড়ী ছাড়া অন্যের বাড়ীতে নিজের বস্ত্র খুলবে, সে দয়াময় আল্লাহ্ তা’আলা এবং তার মাঝের পর্দাকে ধ্বংস করে দিবে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ৬/৩৬১, ত্বাবরানী (কাবীর গ্রন্থে। ২৪/২৫২)
الترهيب من دخول الرجال الحمام بغير أزر ومن دخول النساء بأزر وغيرها إلا نفساء أو مريضة وما جاء في النهي عن ذلك
(صحيح) وَعَنْ أمِّ الدَّرْداَءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا قاَلَتْ: خَرَجْتُ مِنَ الْحَمَّامِ فَلَقِيَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَ: "مِنْ أَيْنَ يَا أُمَّ الدَّرْدَاءِ؟ " فَقَالَتْ: مِنَ الْحَمَّامِ، فَقَالَ: "وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، مَا مِنَ امْرَأَةٍ تَنْزِعُ ثِيَابَهَا فِيْ غَيْرِ بَيْتِ أَحَدٍ مِنْ أُمَّهَاتِهَا، إِلَّا وَهِيَ هَاتِكَةٌ كُلَّ سِتْرٍ بَيْنَهَا وَبَيْنَ الرَّحْمَنِ عَزَّ وَجَلَّ. رواه أحمد والطبراني في الكبير
পরিচ্ছেদঃ ৫) লুঙ্গি ছাড়া পুরুষদের এবং নেফাসযুক্ত বা রুগ্ন মহিলা ব্যতীত অন্যান্য মহিলাদের লুঙ্গিসহ গণগোসলখানায় প্রবেশের ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন। এক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে তার বর্ণনা
১৭০. (সহীহ) আবু মুলায়হ আল হুযালী[1] (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হিমস্ অথবা শামের কয়েকজন মহিলা হযরত আয়েশা (রাঃ) এর নিকট এলেন। তিনি তাদেরকে বললেনঃ তোমরা সেই জাতি, যাদের মহিলাগণ গোসলখানা সমূহে প্রবেশ করে?! আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
’’যে নারী তার স্বামীর গৃহ ব্যতীত অন্যের গৃহে স্বীয় পোষাক খুলবে, সে তার এবং তার প্রভূর মাঝে পর্দা ধ্বংস করে দিবে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন তিরমিযি ২৮০৩, আবু দাউদ ৪০১০, ইবনু মাজাহ্ ৩৭৫০ ও হাকেম ৪/২৮৯। হাদীছের বাক্য তিরমিযীর, তিনি বলেন হাদীছটি হাসান। হাকেম বলেন, বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী হাদীছটি সহীহ)
الترهيب من دخول الرجال الحمام بغير أزر ومن دخول النساء بأزر وغيرها إلا نفساء أو مريضة وما جاء في النهي عن ذلك
(صحيح) و عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ الْهُذَلِيِّ أَنَّ نِسَاءً مِنْ أَهْلِ حِمْصَ أَوْ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ دَخَلْنَ عَلَى عَائِشَةَ فَقَالَتْ أَنْتُنَّ اللَّاتِي يَدْخُلْنَ نِسَاؤُكُنَّ الْحَمَّامَاتِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَا مِنْ امْرَأَةٍ تَضَعُ ثِيَابَهَا فِي غَيْرِ بَيْتِ زَوْجِهَا إِلَّا هَتَكَتْ السِّتْرَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ رَبِّهَا
. رواه الترمذي واللفظ له وقال حديث حسن وأبو داود وابن ماجه والحاكم
পরিচ্ছেদঃ ৫) লুঙ্গি ছাড়া পুরুষদের এবং নেফাসযুক্ত বা রুগ্ন মহিলা ব্যতীত অন্যান্য মহিলাদের লুঙ্গিসহ গণগোসলখানায় প্রবেশের ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন। এক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে তার বর্ণনা
১৭১. (সহীহ্ লি গাইরিহী) ইমাম আহমদ, আবু ইয়ালা, ত্বাবরানী ও হাকেম আবুস্ সামাহ্ দার্রাজের সূত্রে সায়েব (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ কতিপয় মহিলা উম্মু সালামা (রাঃ)এর নিকট এলে তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, কে তোমরা? তারা বললঃ আমরা হেমসের অধিবাসী। তিনি বললেনঃ গোসলখানায় প্রবেশকারীদের মধ্যে থেকে? তারা বললঃ এতে কোন অসুবিধা আছে?
তিনি বললেনঃ আমি শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’যে মহিলা নিজের গৃহ ব্যতীত অন্যের গৃহে স্বীয় পোষাক খুলবে, আল্লাহ তার পর্দাকে ছিন্ন করে দিবেন।’’ (তাবারানী কাবীর ৯৬২)
الترهيب من دخول الرجال الحمام بغير أزر ومن دخول النساء بأزر وغيرها إلا نفساء أو مريضة وما جاء في النهي عن ذلك
(صحيح لغيره) وروى أحمد وأبو يعلى والطبراني والحاكم أيضا من طريق دراج أبي السمح عن السائب أن نساء دخلن على أم سلمة رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا فسألتهن من أنتن قلن من أهل حمص، قالت من أصحاب الحمامات قلن وبها باس، قالت سمعت رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقول أَيُّمَا امْرَأَةٍ نَزَعَتْ ثِيَابَهَا فِي غَيْرِ بَيْتِِهَا، خرق الله عنها ستره.
পরিচ্ছেদঃ ৫) লুঙ্গি ছাড়া পুরুষদের এবং নেফাসযুক্ত বা রুগ্ন মহিলা ব্যতীত অন্যান্য মহিলাদের লুঙ্গিসহ গণগোসলখানায় প্রবেশের ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন। এক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে তার বর্ণনা
১৭২. (সহীহ্ লি গাইরিহী) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত । নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
’’যে ব্যাক্তি আল্লাহ এবং শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন লুঙ্গি ছাড়া গোসলখানায় প্রবেশ না করে। যে ব্যাক্তি আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তার স্ত্রীকে গণগাসলখানায় প্রবেশ না করায়। যে ব্যাক্তি আল্লাহ এবং শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন মদ পান না করে। যে ব্যাক্তি আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন এমন দস্তরখানায় না বসে যেখানে মদ বিতরণ করা হয়। যে ব্যাক্তি আল্লাহ এবং শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন এমন নারীর সাথে নির্জন না হয় যখন তার মাঝে এবং সে নারীর মাঝে কোন মাহরাম পুরুষ না থাকে।’’
(ত্বাবরানী স্বীয় [কাবীর] গ্রন্থে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ১১৪৬২।)
الترهيب من دخول الرجال الحمام بغير أزر ومن دخول النساء بأزر وغيرها إلا نفساء أو مريضة وما جاء في النهي عن ذلك
(صحيح) وَعَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا ، عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يَدْخُلْ الْحَمَّامَ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يُدْخِلْ حَلِيلَتَهُ الْحَمَّامَ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلا يَشْرَبِ الْخَمْرَ، مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلا يَجْلِسْ عَلَى مَائِدَةٍ يُشْرَبُ عَلَيْهَا الْخَمْرُ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلا يَخْلُوَنَّ بِامْرَأَةٍ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا مَحْرَمٌ. رواه الطبراني في الكبير