পরিচ্ছেদঃ জামাআতের সাথে ফজরের নামায আদায়ের ফজীলত
৩৮৬) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কারো একাকী নামায আদায় করার চেয়ে জামাআতের সাথে নামায আদায় করার ফজীলত পঁচিশ গুণ বেশী। রাতের ফেরেশতাগণ এবং দিনের ফেরেশতাগণ ফজরের নামাযের সময় একত্রিত হয়। অতঃপর আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেনঃ তোমাদের ইচ্ছা হলে কুরআনের এই আয়াতটি পাঠ করঃ
﴿أَقِمْ الصَّلَاةَ لِدُلُوكِ الشَّمْسِ إِلَى غَسَقِ اللَّيْلِ وَقُرْآنَ الْفَجْرِ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا﴾
‘‘সূর্য ঢলে যাওয়ার পর হতে রাত্রির ঘন অন্ধকার পর্যন্ত নামায কায়েম করো এবং কায়েম করো ফজরের নামায। নিশ্চয়ই ফজরের কুরআন তেলাওয়াতে ফেরেশতাগণ উপস্থিত হয়ে থাকেন। (সূরা বানী ইসরাঈলঃ ৭৮)
টিকাঃ মূলতঃ ২৭ গুণ ও ২৫ গুণের মধ্যে কোন দ্বন্দ নেই। এটি মুসল্লীর অন্তরের অবস্থার উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে। সুতরাং কারও জন্য হবে পঁচিশ গুণ আবার একাগ্রতা ও যত্নসহকারে নামায আদায় করার কারণে কারও জন্য হবে ২৭ গুণ। অথবা এও বলা যেতে পারে যে, ২৭ গুণের হাদীছটি অধিক সংখ্যক রাবী থেকে বর্ণিত হয়েছে। সুতরাং ২৭ গুণের হাদীছটি প্রাধান্যপ্রাপ্ত। তা ছাড়া আরও বলা যায় যে, (ক) এ জাতীয় বিষয়ে কম সংখ্যা বেশী সংখ্যার বিরোধী নয়। (খ) তাঁকে যখন যে সংখ্যা অহীর মাধ্যমে জানানো হয়েছিল, তিনি তাই বলেছেন।
باب فَضْلِ صَلاَةِ الْفَجْرِ فِي جَمَاعَةٍ
৩৮৬ـ عَنْ أبي هُرَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ يَقُولُ تَفْضُلُ صَلاةُ الْجَمِيعِ صَلاةَ أَحَدِكُمْ وَحْدَهُ بِخَمْسٍ وَعِشْرِينَ جُزْءًا، وَتَجْتَمِعُ مَلائِكَةُ اللَّيْلِ وَمَلائِكَةُ النَّهَارِ فِي صَلاةِ الْفَجْرِ. ثمَّ يَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ: فَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ: ﴿إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَان مَشْهُودًا﴾ (بخارى:৬৪৮).
Superiority of the Fajr (early morning) prayer in congregation.
Abu Huraira said, "I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, 'The reward of a prayer in congregation is twenty five times greater than that of a prayer offered by a person alone. The angels of the night and the angels of the day gather at the time of Fajr prayer.' " Abu Huraira then added, "Recite the Holy Book if you wish, for "Indeed, the recitation of the Qur'an in the early dawn (Fajr prayer) is ever witnessed." (17:78).
পরিচ্ছেদঃ জামাআতের সাথে ফজরের নামায আদায়ের ফজীলত
৩৮৭) আবু মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ সেই ব্যক্তি নামাযের ছাওয়াব বেশী পাবে, যে দূর থেকে মসজিদে আগমণ করে। তার চেয়ে আরো ছাওয়াব বেশী পাবে ঐ ব্যক্তি, যে আরো দূর থেকে মসজিদে আগমণ করে থাকে। যে ব্যক্তি ইমামের সাথে নামায পড়ার জন্য অপেক্ষা করে তাঁর ছাওয়াব ঐ ব্যক্তির চেয়ে বেশী যে ব্যক্তি একাকী নামায পড়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
باب فَضْلِ صَلاَةِ الْفَجْرِ فِي جَمَاعَةٍ
৩৮৭ـ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ أَعْظَمُ النَّاسِ أَجْرًا فِي الصَّلاةِ أَبْعَدُهُمْ فَأَبْعَدُهُمْ مَمْشًى، وَالَّذِي يَنْتَظِرُ الصَّلاةَ حَتَّى يُصَلِّيَهَا مَعَ الإِمَامِ أَعْظَمُ أَجْرًا مِنِ الَّذِي يُصَلِّي، ثمَّ يَنَامُ.)بخارى:৬৫১)
Superiority of the Fajr (early morning) prayer in congregation.
Narrated Abu Musa:
The Prophet (ﷺ) said, "The people who get tremendous reward for the prayer are those who are farthest away (from the mosque) and then those who are next farthest and so on. Similarly one who waits to pray with the Imam has greater reward than one who prays and goes to bed. "