পরিচ্ছেদঃ আমরা যে সূর্য গ্রহণের সালাতের কথা উল্লেখ করলাম, সেই সালাত আদায়কারী ব্যক্তির জন্য বৈধ আছে তিনি প্রথম রাকা‘আতে যে সূরা পড়বেন, দ্বিতীয় রাকা‘আতে অন্য সূরা পড়বেন
২৮৩০. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময়ে একবার সূর্য গ্রহণ হলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে দাঁড়ান। তিনি দীর্ঘ সূরা পাঠ করেন। তারপর তিনি কিয়ামের মতো লম্বা রুকূ‘ করেন। তারপর তিনি রুকূ‘ থেকে মাথা উত্তোলন করেন। তারপর তিনি আরেকটি সূরা পাঠ শুরু করেন। যখন তিনি পাঠ শেষ করেন, তখন রুকূ‘ করেন, তখন দ্বিতীয় রুকূ‘ করেন। তারপর তিনি রুকূ‘ থেকে মাথা উত্তোলন করেন অতঃপর সাজদা করেন। তারপর তিনি দ্বিতীয় রাকা‘আতের জন্য দাঁড়ান এবং দাঁড়িয়ে আরেকটি সূরা পাঠ করেন, তবে সেটা প্রথম কিরা‘আত অপেক্ষা ছোট। তারপর তিনি রুকূ‘ করেন, তবে সেটা প্রথম রুকূ‘ অপেক্ষা ছোট। তারপর সাজদা করেন। অতঃপর যখন সাজদা থেকে মাথা উত্তোলন করেন, তখন তিনি বলেন, “যেসব জিনিস তোমাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তার সবকিছু আমাকে এই জায়গায় দেখানো হয়েছে। আমি জান্নাতের এক থোকা ফল নিতে চেয়েছিলাম, যখন তোমরা আমাকে দেখেছো যে, আমি সামনে অগ্রসর হচ্ছি। অবশ্যই আমি জাহান্নামকে দেখেছি, তার একাংশ আরেক অংশকে আঘাত করছে, এটা আমি দেখেছি, যখন তোমরা আমাকে দেখেছো যে, আমি পিছু হটছি। আমি জাহান্নামে আমর বিন লুহাইকেও দেখেছি। সে হলো ঐ ব্যক্তি যে, সায়িবা (প্রতিমার নামে প্রাণী ছেড়ে দেওয়া) এর প্রচলন করেছিল।”[1]
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১০৭১)
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْمُصَلِّي صَلَاةَ الْكُسُوفِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا لَهُ أَنْ يَقْرَأَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ غَيْرَ السُّورَةِ الَّتِي قَرَأَهَا فِي الرَّكْعَةِ الْأُولَى
2830 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا حِبَّانُ بْنُ مُوسَى قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ قَالَ: أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الصَّلَاةِ فَقَرَأَ بِسُورَةِ طَوِيلَةٍ ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِنْ قِيَامِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَافْتَتَحَ بِسُورَةٍ أُخْرَى حَتَّى إِذَا فَرَغَ مِنْهَا رَكَعَ ثَانِيَةً ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَسَجَدَ ثُمَّ قَامَ إِلَى الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ فَقَرَأَ أَيْضًا بِسُورَةٍ وَقَامَ دُونَ الْقِرَاءَةِ الْأُولَى ثُمَّ رَكَعَ فَكَانَ رُكُوعُهُ دُونَ الْأَوْلِ ثُمَّ سَجَدَ فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ قَالَ: (مَا مِنْ شَيْءٍ تُوعدونه إِلَّا وَقَدْ رَأَيْتُهُ فِي مَقَامِي هَذَا وَلَقَدْ رَأَيْتُنِي أُرِيدُ أَنْ آخُذَ قِطْفًا مِنَ الْجَنَّةِ حِينَ رَأَيْتُمُونِي أَتَقَدَّمُ وَلَقَدْ رَأَيْتُ جَهَنَّمَ يَحْطِمُ بَعْضُهَا بَعْضًا حِينَ رَأَيْتُمُونِي تَأَخَّرْتُ وَرَأَيْتُ عَمْرَو بْنَ لُحَيٍّ وهو الذي سيب السوائب)
الراوي : عَائِشَة | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2830 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((صحيح أبي داود)) (1071): ق.