পরিচ্ছেদঃ এই ধরণের সূর্য গ্রহণের সালাত কিভাবে আদায় করবে তার বিবরণ
২৮২৯. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “এক ইয়াহুদী মহিলা তাঁর কাছে এসে বলেন, “আল্লাহ আপনাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন।” অতঃপর আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বলেন, “লোকদেরকে কি কবরে শাস্তি দেওয়া হবে?” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আল্লাহর কাছে পানাহ চাই।”
আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, “তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন বাড়ি থেকে বের হন অতঃপর সূর্য গ্রহণ লাগে। তারপর আমরা হুজরার উদ্দেশ্যে বের হই। নারীরা আমাদের কাছে সমবেত হন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগমন করেন। সময়টা ছিল পুর্বাহ্ন। তারপর তিনি দাঁড়িয়ে সালাত পড়তে শুরু করেন। তিনি দীর্ঘক্ষন কিয়াম করেন। তারপর রুকূ‘ করেন। তারপর রুকূ‘ থেকে মাথা উত্তোলন করেন। তারপর কিয়াম করেন, তবে সেটা প্রথম কিয়াম অপেক্ষা কম দীর্ঘ। তারপর রুকূ‘ করেন, তবে সেটা প্রথম রুকূ‘ অপেক্ষা কম দীর্ঘের। তারপর সাজদা করেন। তারপর দ্বিতীয়বার দাঁড়ান এবং আগের মতোই আমল করেন। তবে এখানে তাঁর রুকূ‘ প্রথম রুকূ‘ অপেক্ষা কম দীর্ঘের ছিল। তারপর তিনি সাজদা করেন। সেসময় সূর্য পরিস্ফূট হয়ে যায়। অতঃপর যখন সালাত শেষ করেন, তখন তিনি মিম্বারের উপর বসেন এবং বলেন, “নিশ্চয়ই লোকদের কবরে দাজ্জালের পরীক্ষার ন্যায় পরীক্ষা করা হবে।”
আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, “তারপর আমরা শুনতাম, তিনি কবরের আযাব থেকে আশ্রয় চাইতেন।”[1]
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (জুযউল কুসূফ)
ذِكْرُ كَيْفِيَّةِ هَذَا النَّوْعِ مِنْ صَلَاةِ الْكُسُوفِ
2829 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلْمٍ بِبَيْتِ الْمَقْدِسِ قَالَ: حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَتْهُ أَنَّ عَائِشَةَ حَدَّثَتْهَا: أَنَّ يَهُودِيَّةً أَتَتْهَا فَقَالَتْ: أَجَارَكِ اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ فَقَالَتْ عَائِشَةُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ النَّاسَ لَيُفْتَنُونَ في القبر قال رسول الله: (عائذٌ بِاللَّهِ) قَالَتْ عَائِشَةُ: ثُمَّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ مَخْرَجًا فَخَسَفَتِ الشَّمْسُ فَخَرَجْنَا إِلَى الْحُجْرَةِ وَاجْتَمَعَ إِلَيْنَا النِّسَاءُ وَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ـ وَذَلِكَ ضَحْوَةً ـ فَقَامَ يُصَلِّي فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلًا ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَامَ دُونَ الْقِيَامِ الْأَوْلِ ثُمَّ رَكَعَ دُونَ رُكُوعِهِ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ قَامَ الثَّانِيَةَ وَصَنَعَ مِثْلَ ذَلِكَ إِلَّا أَنَّ رُكُوعَهُ دُونَ الرَّكْعَةِ الْأُولَى ثُمَّ سَجَدَ وَتَجَلَّتِ الشَّمْسُ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَعَدَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ فِيمَا يَقُولُ ـ: (إِنَّ النَّاسَ يُفْتَنُون فِي قُبورهم كَفِتْنَةِ الدَّجَّالِ) قَالَتْ عَائِشَةُ: فكُنَّا نسمعه بعد ذلك يتعوذ من فتنة القبر.
الراوي : عَائِشَة | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2729 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((جزء الكسوف)): ق.