পরিচ্ছেদঃ মুকীম ও মুসাফিরের জন্য ওযূবিহীন অবস্থায় মোজার উপর মাসেহ করার বৈধতা দেওয়া হয়েছে কিন্তু শরীর নাপাক হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে মাসেহ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি
১৩১৭. যির্র রহিমাহুল্লাহ বলেন, “একবার আমি সাফওয়ান বিন আস্সাল আল মুরাদী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কাছে আসি, অতঃপর আমি বলি, “মোজার উপর মাসেহ করার ব্যাপারে আমার মনে কিছুটা দ্বিধার সৃষ্টি করে। আপনি কি এই ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছ থেকে কিছু শুনেছেন?” তিনি বলেন, “হ্যাঁ, যখন আমরা সফরে অথবা (রাবীর সন্দেহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন) আমরা মুসাফির থাকতাম, তখন তিনি আমাদের আদেশ করতেন যেন আমরা পেশাব-পায়খানা করার কারণে আমাদের মোজাগুলো তিনদিন তিনরাত না খুলে ফেলি। তবে যদি আমরা জুনুবী তথা নাপাক হয়ে যাই (তাহলে খুলতে হবে)।”[1]
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান-সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীকুর রাগীব: ১/৬২।)
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْمَسْحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ لِلْمُقِيمِ وَالْمُسَافِرِ مَعًا إِنَّمَا أُبِيحَ عَنِ الْأَحْدَاثِ دُونَ الجنابة
1317 - أَخْبَرَنَا أَبُو عَرُوبَةَ بِحَرَّانَ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الْبَجَلِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ قَالَ: أَتَيْتُ صَفْوَانَ بْنَ عَسَّالٍ الْمُرَادِيَّ فَقُلْتُ: إِنَّهُ حَاكَ فِي نَفْسِي الْمَسْحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ فَهَلْ سَمِعْتَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْكُرُ فِي الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ شَيْئًا؟ قَالَ: نَعَمْ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كُنَّا سَفَرًا أَوْ مُسَافِرِينَ أَنْ لَا نَنْزِعَ أَوْ نَخْلَعَ خِفَافَنَا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيَهُنَّ مِنْ غَائِطٍ وَلَا بَوْلٍ إِلَّا من الجنابة)
الراوي : زِرّ بْن حُبَيْشٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1317 | خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح.
পরিচ্ছেদঃ মুকীম ও মুসাফিরের জন্য ওযূবিহীন অবস্থায় মোজার উপর মাসেহ করার বৈধতা দেওয়া হয়েছে কিন্তু শরীর নাপাক হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে মাসেহ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি
১৩১৮. যির্র রহিমাহুল্লাহ বলেন, “একবার আমি সাফওয়ান বিন আস্সাল আল মুরাদী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কাছে আসি, তিনি আমাকে বলেন, “আপনাকে এখানে কীসে নিয়ে এসেছে?” আমি বললাম, “ইলম অন্বেষণের জন্য।” তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “নিশ্চয়ই ফেরেস্তাগণ তাদের পাখা বিছিয়ে দেন, ইলম অন্বেষনকারী যা অন্বেষন করে তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে।” আমি বললাম, পেশাব-পায়খানা করার পর মোজার উপর মাসেহ করার ব্যাপারে আমার মনে খটকার সৃষ্টি হয়, আপনি তো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একজন সাহাবী, সেজন্য আপনার কাছে আসলাম। আপনি তাঁর কাছ থেকে এই ব্যাপারে কিছু শুনেছেন?” জবাবে তিনি বলেন, “হ্যাঁ। যখন আমরা সফরে থাকতাম অথবা (অধঃস্তনরাবীর সন্দেহ তিনি বলেছেন) যখন আমরা মুসাফির থাকতাম, তিনি আমাদের আদেশ করতেন জুনুবী অবস্থা ব্যতীত ঘুম, পেশাব, পায়খানা এসব কারণে আমরা যেন তিনদিন-তিনরাত আমাদের মোজাগুলো না খুলে ফেলি।”
আমি তাকে বললাম, আপনি কি তাকে খাহেসাত বা প্রবৃত্তির চাহিদার বিষয়ে কোন কিছু বলতে শুনেছেন?” তিনি জবাবে বললেন, “হ্যাঁ। একবার আমরা তাঁর সাথে এক সফরে ছিলাম। তখন তাঁকে এক বেদুঈন ব্যক্তি উচ্চ আওয়াযে ডাক দেন, “হে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনুরুপভাবে তার জবাব দেন।” সে বলেন, “এদিকে আসুন।” সাহাবীগণ বলেন, “আমরা তখন তাকে বললাম, “তোমার দুর্ভোগ হোক! তোমার আওয়াজ নিচু করো। কারণ তোমাকে এরকম করত নিষেধ করা হয়েছে।” সে বললো, “আপনার কি অভিমত ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে যে একটা সম্প্রদায়কে ভালবাসে, কিন্তু সে তাদের সাথে এখনও যুক্ত হয়নি।” জবাবে তিনি বলেন, “সে কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তির সাথে থাকবে, যাকে সে ভালবেসেছে।” তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সাথে কথা বলতে থাকেন, এক পর্যায়ে তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ যেদিন আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টি করেছেন, সেদিন তিনি পশ্চিম দিকে চল্লিশ বছরের দুরত্ব সমান একটা দরজা খুলে দিয়েছেন, যা তিনি বন্ধ করবেন না যতক্ষন না সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হয়।”[1]
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান-সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীকুর রাগীব: ১/৬২।)
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْمَسْحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ لِلْمُقِيمِ وَالْمُسَافِرِ مَعًا إِنَّمَا أُبِيحَ عَنِ الْأَحْدَاثِ دُونَ الجنابة
1318 - أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ زِرٍّ قَالَ: أَتَيْتُ صَفْوَانَ بْنَ عَسَّالٍ الْمُرَادِيَّ فَقَالَ: مَا جَاءَ بِكَ؟ قُلْتُ: ابْتِغَاءَ الْعِلْمِ قَالَ: فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ تَضَعُ أَجْنِحَتَهَا لِطَالِبِ الْعِلْمِ رِضًا لِمَا يَطْلُبُ قُلْتُ: حَكَّ فِي نَفْسِي الْمَسْحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ بَعْدَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وكنت امْرَأً مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَيْتُكَ أَسْأَلُكَ: هَلْ سَمِعْتَ مِنْهُ فِي ذَلِكَ شَيْئًا؟ قَالَ: نَعَمْ كَانَ يَأْمُرُنَا إذا كنا سفراً أو مسافرين أن لاننزع خفافنا ثلاثة أيام ولياليهن إلا من جنابة لَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ قُلْتُ لَهُ: سَمِعْتَهُ يَذْكُرُ الْهَوَى؟ قَالَ نَعَمْ بَيْنَا نَحْنُ مَعَهُ فِي مَسِيرٍ فَنَادَاهُ أَعْرَابِيٌّ بِصَوْتٍ جَهْوَرِيٍّ: يَا مُحَمَّدُ فَأَجَابَهُ عَلَى نَحْوٍ مِنْ كَلَامِهِ قَالَ: هَاؤُمُ قُلْنَا وَيْلَكَ اغْضُضْ مِنْ صَوْتَكَ فَإِنَّكَ نُهيت عَنْ ذَلِكَ قَالَ: أَرَأَيْتَ رَجُلًا أَحَبَّ قَوْمًا وَلَمَّا يَلْحَقُهُمْ؟ قَالَ: (هُوَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ مَنْ أَحَبَّ) ثُمَّ لَمْ يَزَلْ يحدِّثنا حَتَّى قَالَ: (إِنَّ مِنْ قِبَلِ الْمَغْرِبِ بَابًا فَتَحَهُ اللَّهُ لِلتَّوْبَةِ مَسِيرَةَ أَرْبَعِينَ سَنَةً يَوْمَ خَلَقَ اللَّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فَلَا يُغلقه حتى تطلع الشمس منه)
الراوي : زِرّ بْن حُبَيْشٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1318 | خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح.