পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি মনে করে যে, পুরো দুই হাত মাসেহ করা ওয়াজিব; যা ছেড়ে দেওয়া বৈধ নয়, তার কথা অপনোদনে হাদীস
১৩০২. শাকীক রহিমাহুল্লাহ বলেন, “আবূ মুসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বললেন, “যদি কোন জুনুবী ব্যক্তি এক মাস পানি না পায়, সে কি সালাত আদায় করবে না?” জবাবে আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু বলেন, “না।” আবূ মুসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আবারো বলেন, “আপনার কি মনে পড়ে না উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর উদ্দেশ্যে আম্মার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছিলেন, “হে আমিরুল মু‘মিনীন, আপনি কি আল্লাহকে ভয় করছেন না? আপনার কি মনে নেই সে সময়ের কথা যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে এবং আপনাকে উটের কাজে পাঠিয়েছিলেন অতঃপর আমি জুনুবী হয়ে যাই ফলে আমি মাটিতে গড়াগড়ি দেই। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসি এবং তাঁর কাছে ঘটনা বর্ণনা করি। তখন তিনি বলেন, “তোমার জন্য যথেষ্ট ছিল এরকম করা। এই বলে তিনি হাত জমিনে মারেন অতঃপর তাঁর মুখমন্ডল ও দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত মাসেহ করেন।” তখন আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমি অবশ্যই মনে করি না যে, এতে উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তুষ্ট হয়েছিলেন।”
আবূ মুসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তাহলে আপনি সূরা নিসার এই আয়াতটির ব্যাপারে কী করবেন? যেখানে বলা হয়েছে, {فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا} (অতঃপর যদি তোমরা পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে।)” (সূরা মায়িদা: ৬।) জবাবে তিনি বলেন, “যদি আমরা এই ব্যাপারে অবকাশ দেই, তবে লোকজন শরীরে পানি ঠান্ডা লাগলেই মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে।”
ইমাম আ‘মাশ বলেছেন, আমি শাকীককে বললাম, “আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহুর এছাড়া আর কোন যুক্তি-প্রমাণ ছিল না?” জবাবে তিনি বলেন, “না।”[1]
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রাহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন (আস সহীহাহ: ৩৩৪।)
ذكر الخبر المدحض قول من زعم أن مَسْحَ الذِّرَاعَيْنِ فِي التَّيَمُّمِ وَاجِبٌ لَا يَجُوزُ تركه
1302 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُعَاذٍ الْعَقَدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ الْأَعْمَشُ عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ قَالَ: قَالَ أَبُو مُوسَى لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ: لَوْ أَنَّ جُنُباً لَمْ يَجِدِ الْمَاءَ شَهْرًا لَمْ يُصَلِّ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: لَا قَالَ أَبُو مُوسَى: أَمَا تَذْكُرُ حِينَ قَالَ عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ لعمر: يا أمير الممؤمنين أَلَا تَتَّقِي اللَّهَ أَلَا تَذْكُرُ حِينَ بَعَثَنِي وَإِيَّاكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْإِبِلِ فَأَصَابَتْنِي جَنَابَةٌ فَتَمَعَّكْتُ فِي التُّرَابِ فَلَمَّا رَجَعْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرْتُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ أَنْ تَقُولَ هَكَذَا) وَضَرَبَ بِيَدِهِ إِلَى الْأَرْضِ وَمَسَحَ وَجْهَهُ وَكَفَّيْهِ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: لَا جَرَمَ مَا رَأَيْتُ عُمَرَ قَنَعَ بِذَلِكَ.
قَالَ أَبُو مُوسَى: فَكَيْفَ بِهَذِهِ الْآيَةِ فِي سُورَةِ النِّسَاءِ {فلم تجدوا ماء فتيمموا صعيداً طيباً} [المائدة: 6] فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: إِنَّا لَوْ رَخَّصْنَا لَهُمْ فِي ذَلِكَ يُوشِكُ إِذَا بَرَدَ عَلَى جِلْدِ أَحَدِهِمُ الْمَاءُ أَنْ يَتَيَمَّمَ
قَالَ الْأَعْمَشُ: فَقُلْتُ لِشَقِيقٍ: أَمَا كَانَ لِعَبْدِ اللَّهِ غَيْرُ ذَلِكَ؟ قال: لا.
الراوي : شَقِيق | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1302 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি মনে করে যে, পুরো দুই হাত মাসেহ করা ওয়াজিব; যা ছেড়ে দেওয়া বৈধ নয়, তার কথা অপনোদনে হাদীস
১৩০৩. আব্দুর রহমান বিন আবযা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞেস করে বলেন, “আমি নাপাক হয়েছি, কিন্তু কোন পানি পাইনি।” উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তুমি সালাত আদায় করবে না।” তখন আম্মার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আপনার কি মনে নেই, সে সময়ের কথা যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জামানায় আমি এবং আপনি একটি যুদ্ধাভিযানে ছিলাম অতঃপর আমরা নাপাক হয়ে যাই কিন্তু কোন পানি পাওয়া যায়নি, অতঃপর আপনি সালাত আদায় করেননি আর আমি মাটিতে গড়াগড়ি দেই। অতঃপর যখন আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আসি, তখন আমি ব্যাপারটি তাকে বললাম। জবাবে তিনি বলেন, “তোমার জন্য এরকম করাই যথেষ্ট ছিল; অতঃপর তিনি তাঁর হাত মাটিতে মারেন, তারপর দুই হাতের তালুতে ফুঁক দেন অতঃপর তিনি মুখমন্ডল ও হাতের কব্জি পর্যন্ত মাসেহ করেন।”[1]
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (ইরওয়াউল গালীল: ১৫৮।)
ذكر الخبر المدحض قول من زعم أن مَسْحَ الذِّرَاعَيْنِ فِي التَّيَمُّمِ وَاجِبٌ لَا يَجُوزُ تركه
1303 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ ذَرٍّ عَنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَجُلًا أَتَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقَالَ: إِنِّي أَجْنَبْتُ فَلَمْ أَجِدِ الْمَاءَ فَقَالَ عُمَرُ: لَا تُصَلِّ فَقَالَ عَمَّارٌ: أَمَا تَذْكُرُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ أَنَا وَأَنْتَ فِي سَرِيَّةٍ فَأَجْنَبْنَا فَلَمْ نَجْدِ الْمَاءَ فَأَمَّا أَنْتَ فَلَمْ تُصَلِّ وَأَمَّا أَنَا فَتَمَعَّكْتُ فِي التُّرَابِ فَصَلَّيْتُ فَلَمَّا أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ: (إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ) وَضَرَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ إِلَى الْأَرْضِ ثُمَّ نَفَخَ فِيهِمَا وَمَسَحَ بِهِمَا وجهه وكفيه.
الراوي : عَبْد الرَّحْمَنِ بْن أَبْزَى | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1303 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.