পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি মনে করে যে, পুরো দুই হাত মাসেহ করা ওয়াজিব; যা ছেড়ে দেওয়া বৈধ নয়, তার কথা অপনোদনে হাদীস
১৩০৩. আব্দুর রহমান বিন আবযা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞেস করে বলেন, “আমি নাপাক হয়েছি, কিন্তু কোন পানি পাইনি।” উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তুমি সালাত আদায় করবে না।” তখন আম্মার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আপনার কি মনে নেই, সে সময়ের কথা যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জামানায় আমি এবং আপনি একটি যুদ্ধাভিযানে ছিলাম অতঃপর আমরা নাপাক হয়ে যাই কিন্তু কোন পানি পাওয়া যায়নি, অতঃপর আপনি সালাত আদায় করেননি আর আমি মাটিতে গড়াগড়ি দেই। অতঃপর যখন আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আসি, তখন আমি ব্যাপারটি তাকে বললাম। জবাবে তিনি বলেন, “তোমার জন্য এরকম করাই যথেষ্ট ছিল; অতঃপর তিনি তাঁর হাত মাটিতে মারেন, তারপর দুই হাতের তালুতে ফুঁক দেন অতঃপর তিনি মুখমন্ডল ও হাতের কব্জি পর্যন্ত মাসেহ করেন।”[1]
ذكر الخبر المدحض قول من زعم أن مَسْحَ الذِّرَاعَيْنِ فِي التَّيَمُّمِ وَاجِبٌ لَا يَجُوزُ تركه
1303 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ ذَرٍّ عَنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَجُلًا أَتَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقَالَ: إِنِّي أَجْنَبْتُ فَلَمْ أَجِدِ الْمَاءَ فَقَالَ عُمَرُ: لَا تُصَلِّ فَقَالَ عَمَّارٌ: أَمَا تَذْكُرُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ أَنَا وَأَنْتَ فِي سَرِيَّةٍ فَأَجْنَبْنَا فَلَمْ نَجْدِ الْمَاءَ فَأَمَّا أَنْتَ فَلَمْ تُصَلِّ وَأَمَّا أَنَا فَتَمَعَّكْتُ فِي التُّرَابِ فَصَلَّيْتُ فَلَمَّا أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ: (إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ) وَضَرَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ إِلَى الْأَرْضِ ثُمَّ نَفَخَ فِيهِمَا وَمَسَحَ بِهِمَا وجهه وكفيه.
الراوي : عَبْد الرَّحْمَنِ بْن أَبْزَى | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1303 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (ইরওয়াউল গালীল: ১৫৮।)