পরিচ্ছেদঃ মানুষের সাথে প্রশস্ত চেহারার পাশাপাশি কথা-বার্তায় নম্রতা অবলম্বন করার নির্দেশনা
بَابُ حُسْنِ الْخُلُقِ
সচ্চরিত্র
৪৬৭. সা‘দ বিন হিশাম বিন ‘আমির থেকে বর্ণিত, তিনি ‘আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাকে বলেন, “আমাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চারিত্রিক দিক সম্পর্কে অবহিত করুন।” ‘আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা তাকে বলেন: “তুমি কি কুরআন পড়োনি?” আমি বললাম: “হ্যাঁ, পড়েছি।” তিনি বলেন: “আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চরিত্র ছিল হুবহু কুরআন।” রাবী বলেন, “আমি ইচ্ছা করলাম, এখন উঠে যাবো, তাকে আর কোন কিছু সম্পর্কে প্রশ্ন করবো না। তারপর আবার বললাম: “হে উম্মুল মু‘মিনুন, আপনি আমাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রাতের কিয়াম সম্পর্কে অবহিত করুন।” তিনি বলেন: “তুমি কি ‘ইয়া আয়্যূহাল মুযযাম্মিল’ এই সূরা পড়োনি?” আমি বললাম: “হ্যাঁ, পড়েছি।” মহিমান্বিত আল্লাহ তা‘আলা এই সূরার শুরুতে কিয়াম করা ফরয করে দেন। ফলে আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণ এক বছর (এতো বেশি) কিয়াম করেন যে, তাঁদের পা ফুলে যায়। মহান আল্লাহ সূরার শেষের আয়াতগুলো বারো মাস পর্যন্ত আসমানে রেখে দেন। তারপর সূরার শেষে সহজতার বিধান নাযিল করেন। ফলে তারপর থেকে ফরয কিয়ামুল লাইল নফলে পরিণত হয়।”[1]
হাদীসটিকে আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবী দাউদ: ১২১৩।)
ذِكْرُ الْأَمْرِ بِالْمُلَايَنَةِ لِلنَّاسِ فِي الْقَوْلِ مَعَ بسط الوجه لهم.
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ: أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى قَالَ: أَخْبَرَنَا سَعْدُ بْنُ هِشَامِ بْنِ عَامِرٍ ـ وَكَانَ جَارًا لَهُ ـ أَنَّهُ قَالَ لِعَائِشَةَ: أَخْبِرِينِي عَنْ خُلُقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: أَلَسْتَ تَقْرَأُ الْقُرْآنَ؟ قُلْتُ: بَلَى قَالَتْ: خُلُق نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ الْقُرْآنَ قَالَ: فَهَمَمْتُ أَنْ أَقُومَ وَلَا أَسْأَلُهَا عَنْ شَيْءٍ فَقُلْتُ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَنْبِئِينِي عَنْ قِيَامَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: أَلَسْتَ تَقْرَأُ هَذِهِ السُّورَةَ {يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ} [المزمل: 1]؟ قُلْتُ: بَلَى قَالَتْ: فَإِنَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا افْتَرَضَ الْقِيَامَ فِي أَوَّلِ هَذِهِ السورة فقام نبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ حَوْلًا حَتَّى انْتَفَخَتْ أَقْدَامُهُمْ وَأَمْسَكَ اللَّهُ خَاتِمَتَهَا اثْنَيْ عَشَرَ شَهْرًا فِي السَّمَاءِ ثُمَّ أَنْزَلَ اللَّهُ جَلَّ وَعَلَا التَّخْفِيفَ فِي آخِرِ هَذِهِ السُّورَةِ فَصَارَ قيام الليل تطوعا بعد فريضته.
الراوي : سَعْدُ بْنُ هِشَامِ بْنِ عَامِرٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 467 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ
পরিচ্ছেদঃ মানুষের সাথে প্রশস্ত চেহারার পাশাপাশি কথা-বার্তায় নম্রতা অবলম্বন করার নির্দেশনা
৪৬৮. আবু যার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “কোন সৎ কাজকেই তুচ্ছ জ্ঞান করবে না। যদি তুমি কোন কিছু না করতে পারো, তবে মানুষের সাথে নম্র আচরণ করো এবং তাদের প্রতি প্রশস্ত চেহারা রাখো।”[1]
হাদীসটিকে আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান-সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ১৩৫২)
ذِكْرُ الْأَمْرِ بِالْمُلَايَنَةِ لِلنَّاسِ فِي الْقَوْلِ مَعَ بسط الوجه لهم.
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّغُولِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْخَزَّازُ حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ: عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (لَا تَحْقِرَنَّ مِنَ الْمَعْرُوفِ شَيْئًا فَإنْ لَمْ تجد فَلايِنِ الناس ووجهُك إليهم منبسط.)
الراوي : أَبو ذَرٍّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 468 | خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح .