পরিচ্ছেদঃ মানুষের জন্য মুস্তাহাব হলো প্রতিটি ভালো হতে কিছু আমল করা যাতে এর কোন একটি দিয়ে পরকালে নাজাত পেতে পারে

৩৬২. আবু যার আল ‍গিফারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি মসজিদে নববীতে প্রবেশ করলাম, অতঃপর দেখি সেখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে একা বসে আছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেন, হে আবু যার, নিশ্চয়ই হক হলো তাহিয়্যাতুল সালাত আদায় করা। তাহিয়্যাতুল সালাত দুই রাকা‘আত। কাজেই তুমি দাঁড়াও এবং দুই রাকা‘আত সালাত আদায় করো।” তিনি বলেন, “ফলে আমি দাঁড়ালাম এবং দুই রাকা‘আত সালাত আদায় করি। তারপর ফিরে যাই এবং বসে পড়ি। আমি তাঁকে বলি, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আপনি আমাকে সালাত আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন, সালাত কী? “জবাবে তিনি বলেন: “উত্তম পাত্র। কাজেই (এটা তোমার ইচ্ছা যে,) তুমি তা বেশি করবে নাকি কম করবে।” তিনি বলেন, আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কোন আমল সর্বোত্তম?” জবাবে তিনি বলেন: “আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করা।” তিনি বলেন: “আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মু‘মিনদের মাঝে কোন ব্যক্তি ঈমানের দিকদিয়ে সর্বাধিক পরিপূর্ণ ?”তিনি বলেন: “যিনি সবচেয়ে বেশি চরিত্রবান।” আমি বললাম: “মু‘মিনদের মাঝে কোন ব্যক্তি সবচেয়ে নিরাপদ?” তিনি বলেন: “যার জবান ও হাত থেকে মানুষ নিরাপদ থাকে।” তিনি বলেন, আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কোন সালাত সর্বোত্তম?” তিনি বলেন: “দীর্ঘ কিয়াম সম্পন্ন সালাত।” তিনি বলেন, আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কোন হিজরত উত্তম?” তিনি বলেন: “যিনি মন্দ কাজ ছেড়ে দেন।” তিনি বলেন, আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সিয়াম কী?” তিনি বলেন: “এটি ফরয এবং (এটি একজন ব্যক্তির জন্য) যথেষ্ট। আল্লাহর কাছে এর বহুগুণ প্রতিদান রয়েছে।” তিনি বলেন, আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কোন জিহাদ সর্বোত্তম? ”তিনি বলেন: “যার ঘোড়ার পা কেটে ফেলা হয়েছে এবং তার রক্ত প্রবাহিত করা হয়েছে।” তিনি বলেন, আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কোন সাদাকা উত্তম?” তিনি বলেন: “নিম্নবিত্তবান ব্যক্তির কষ্টার্জিত দান, যিনি ফকির হয়ে যাওয়ার আশংকা করেন।” আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আপনার প্রতি আল্লাহ যা কিছু অবতীর্ণ করেছেন, তার সবচেয়ে মহানতম কী?” তিনি বলেন: “আয়াতুল কুরসী।” তারপর তিনি বলেন: “হে আবু যার, কুরসীসহ সাত আসমান, জনমানবহীন মরুপ্রান্তরে নিক্ষিপ্ত একটি বালার ন্যায়! আর কুরসীর উপর আরশের বড়ত্ব হলো বালার উপর জনমানবহীন মরুপ্রান্তরের বড়ত্বের ন্যায়।” তিনি বলেন, আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, নাবীবের সংখ্যা কত?” তিনি বলেন: “এক লক্ষ কুড়ি হাজার।” তিনি বলেন, আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁদের মাঝে রাসূলের সংখ্যা কত?” তিনি বলেন: “তিন শত তের জনের বিশাল দল।” তিনি বলেন, আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁদের মাঝে প্রথম কে?” তিনি বলেন: “আদম আলাইহিস সালাম।” তিনি বলেন, আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তিনি কি নাবী-রাসূল?” তিনি বলেন: “হ্যাঁ, আল্লাহ তাঁকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন, তাঁর মাঝে তাঁর রুহ ফুঁকে দিয়েছেন এবং তাঁর সাথে সরাসরি কথা বলেছেন।” তারপর তিনি বলেন: “হে আবু যার, চারজন সুরইয়ানী; আদম, শীস, আখনূখ অর্থাৎ দাউদ, যিনি প্রথম কলম দ্বারা লিখেছিলেন ও নূহ। চারজন আরবীয়; হুদ, শু‘আইব, সালেহ ও তোমার নাবী মুহাম্মাদ আলাইহিমুস সালাতু ওয়াস সালাম।” আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল্লাহ কতটি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন?” তিনি বলেন: “১০৪ টি; শীস আলাইহিস সালামের উপর ৫০ টি, আখনূখ বা দাউদ আলাইহিস সালামের উপর ৩০ টি, ইবরাহিম আলাইহিস সালামের উপর ১০ টি, তাওরাত নাযিল করার পূর্বে মুসা আলাইহিস সালামের উপর ১০ টি। আর তাওরাত, যাবূর, ইনযীল ও কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইবরাহিম আলাইহিস সালামের সহীফাটি কী ছিল?” তিনি বলেন: “পুরোটাই উপমা-শিক্ষণীয় বিষয় ছিল।সেখানে ছিল: “হে কর্তৃত্বপরায়ন, পরীক্ষার ও ধোঁকার শিকার বাদশা, আমি আপনাকে এজন্য পাঠাইনি যে, একটির উপর আরেকটি দুনিয়ার সম্পদ একত্রিত করবেন বরং আমি আপনাকে পাঠিয়েছি এজন্য যে, মাযলূমের দু‘আ আমার কাছে আসা থেকে প্রতিহত করবে। কেননা আমি মাযলূমের দু‘আ ফিরিয়ে দেই না, যদিও সেটি কাফেরের পক্ষ থেকে হয়। জ্ঞানী ব্যক্তির যতক্ষণ না তার জ্ঞান লোপ পায়, ততক্ষণ পর্যন্ত তার জন্য আবশ্যক হলো তিনি সময়কে কয়েক ভাগে ভাগ করবেন; একটা সময় তিনি তার প্রতিপালকের সাথে মুনাজাতে লিপ্ত থাকবেন, একটা সময় তিনি নিজের নফসের হিসাব নিবেন, একটা সময় তিনি আল্লাহর সৃষ্টি-কলাকৌশল নিয়ে চিন্তা-ফিকির করবেন, একটি সময় নিজের খাদ্য-পানীয় বন্দবস্তের জন্য নিয়োজিত রাখবেন। জ্ঞানী ব্যক্তির জন্য আবশ্যক হলো তিনি তিনটি জিনিস প্রস্তুত রাখবেন; পরকালের পাথেয়, জীবন-যাপনের উপায়-উপকরণ ও হারাম নয় এমন ভোগ সামগ্রী। জ্ঞানী ব্যক্তির জন্য আবশ্যক হলো তিনি সমকালীন বিষয় সম্পর্কে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হবেন, নিজের অবস্থার প্রতি মনোনিবেশকারী হবেন, জবানের হেফাযতকারী হবেন।  যে ব্যক্তি নিজের আমলের বিবেচনায় নিজের কথার হিসাব রাখে, তার কথা কম হয় এবং কেবল অর্থবোধক উপকারী কথাই সে বলে থাকে।” আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মূসা আলাইহিস সালাম এর সহীফা কী ছিল?” তিনি বলেন: “পুরোটাই উপদেশমালা ছিল। সেখানে ছিল: “আমি অবাক হই ঐ ব্যক্তিকে দেখে যে ব্যক্তি মৃত্যুর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখে, তারপরেও সে খুশি থাকে! আমি অবাক হই ঐ ব্যক্তিকে দেখে যে ব্যক্তি জাহান্নামের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখে, তারপরেও সে হাঁসে! আমি অবাক হই ঐ ব্যক্তিকে দেখে যে ব্যক্তি ভাগ্যের প্রতি বিশ্বাস রাখে অথচ সে মূর্তিপূজার বেদী স্থাপন করে! আমি অবাক হই ঐ ব্যক্তিকে দেখে যে ব্যক্তি দুনিয়া ও দুনিয়ার অধিবাসীদের পরিবর্তন দেখে তারপর আবার সে দুনিয়াতেই পরিতৃপ্ত হয়! আমি অবাক হই ঐ ব্যক্তিকে দেখে যে ব্যক্তি পরকালে হিসাবে বিশ্বাস করে অথচ ভালো আমল করে না!” আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমাকে কিছু উপদেশ দিন।” তিনি বলেন: “আমি তোমাকে তাকওয়ার উপদেশ দিচ্ছি। কেননা এটিই সকল কিছুর মূল।” আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমাকে আরো কিছু উপদেশ দিন।” তিনি বলেন: “তোমার জন্য আবশ্যক হলো কুরআন তিলাওয়াত করা ও যিকির করা। কেননা  এটি তোমার জন্য দুনিয়াতে নূর স্বরুপ আর পরকালে সঞ্চিত সম্পদ।” আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমাকে আরো কিছু উপদেশ দিন।” তিনি বলেন: “তুমি অধিক পরিমাণে হাঁসা থেকে বিরত থাকবে। কেননা এটি অন্তরকে মেরে ফেলে, চেহারার নূর দূর করে।” আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমাকে আরো কিছু উপদেশ দিন।” তিনি বলেন: “তোমার জন্য আবশ্যক হলো কল্যাণকর কথা বলা অন্যথায় চুপ থাকা। কেননা এটি তোমার থেকে শয়তানকে বিতাড়িত করবে এবং দ্বীনের কাজে সহায়তা করবে।” আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমাকে আরো কিছু উপদেশ দিন।” তিনি বলেন: “তোমার জন্য আবশ্যক হলো জিহাদ করা। কেননা জিহাদই হলো এই উম্মাতের বৈরাগ্যবাদ।” আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমাকে আরো কিছু উপদেশ দিন।” তিনি বলেন: “ তুমি মিসকীনদের ভালবাসবে, তাদের সাথে বসবে।” আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমাকে আরো কিছু উপদেশ দিন।” তিনি বলেন: “তোমার চেয়ে যারা নিচে আছে, তুমি তাদের দিকে তাকাবে, যারা তোমার উপরে রয়েছে তাদের দিকে তাকাবে না। কেননা এর মাধ্যমে তুমি তোমার কাছে আল্লাহর যে নি‘আমত রয়েছে, সেটাকে হেয়জ্ঞান না করার পক্ষে বেশি সহায়ক হবে।” আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমাকে আরো কিছু উপদেশ দিন।” তিনি বলেন: “তুমি হক কথা বলবে। যদিও সেটি তিক্ত হয়।” আমি বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমাকে আরো কিছু উপদেশ দিন।” তিনি বলেন: “তুমি নিজের সম্পর্কে যা জানো- এটিই যেন তোমাকে অন্যের দারস্থ হওয়া থেকে বিরত রাখে। তুমি মানুষের উপর এমন কাজের জন্য রেগে যাবে না, যে কাজ তুমি নিজেই করো। দূষণীয় হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, তুমি মানুষের এমন কিছু জানবে, অথচ নিজের ঐ ব্যাপার সম্পর্কে অজ্ঞ থাকবে অথবা তুমি মানুষের উপর এমন কাজের জন্য রেগে যাবে, যে কাজ তুমি নিজেই করো!” এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাত দ্বারা আমার বুকে আঘাত করেন এবং বলেন: “গভীর চিন্তা-ভাবনা করে কাজ করার তুল্য কোন জ্ঞান নেই, সংযত-বিরত থাকার তুল্য কোন আল্লাহভীতি নেই, সচ্চরিত্র তু্ল্য কোন আভিজাত্য নেই।”[1]

قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: أَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيُّ هَذَا هُوَ عَائِذُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وُلِدَ عَامَ حُنَيْنٍ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَاتَ بِالشَّامِ سَنَةَ ثَمَانِينَ. وَيَحْيَى بْنُ يَحْيَى الْغَسَّانِيُّ مِنْ كِنْدَةَ مِنْ أَهْلِ دِمَشْقَ مِنْ فُقَهَاءِ أَهْلِ الشَّامِ وَقُرَّائِهِمْ سَمِعَ أَبَا إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيَّ وَهُوَ ابْنُ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً وَمَوْلِدُهُ يَوْمَ رَاهِطَ فِي أَيَّامِ مُعَاوِيَةَ بْنِ يَزِيدَ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ وَوَلَّاهُ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ قَضَاءَ الْمَوْصِلِ.  سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ وَأَهْلَ الْحِجَازِ فَلَمْ يَزَلْ عَلَى الْقَضَاءِ بِهَا حَتَّى وَلِيَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْخِلَافَةَ فَأَقَرَّهُ عَلَى الْحُكْمِ فَلَمْ يَزَلْ عَلَيْهَا أَيَّامَهُ وَعُمِّرَ حتى مات بدمشق سنة ثلاث وثلاثين ومئة.

আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন: “আবু ইদরীস আল খাওলানী হলেন ‘আয়িযুল্লাহ বিন আব্দুল্লাহ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবদ্দশায় হুনাইনের বছরে (হিজরী ৮ম বছরে) জন্ম গ্রহণ করেন। ৮০ হিজরীতে শামে মৃত্যুবরণ করেন। ইয়াহইয়া বিন ইয়াহইয়া আল গাস্সানী কিন্দার লোক। তিনি দামেশকের অধিবাসী। তিনি শামের ফকীহ ও কারী ছিলেন। তিনি পনের বছর বয়সে আবু ইদরীস আল খাওলানীর কাছে হাদীস শ্রবণ করেন। তার জন্ম ৬৪ হিজরীতে মু‘আবিয়া বিন ইয়াযিদের সময়কালে রাহেতের দিনে হয়েছিল। সুলাইমান বিন আব্দুল মালিক তাকে মাওসূলের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। তিনি সা‘ঈদ বিন মুসায়্যিব ও হিজাযবাসীদের থেকে হাদীস শ্রবণ করেন। উমার বিন আব্দুল আযীয রহিমাহুল্লাহ খিলাফতে অধিষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত তিনি উক্ত পদে আসীন থাকেন। করেন। উমার বিন আব্দুল আযীয রহিমাহুল্লাহর সময়কালেও তিনি উক্ত পদে বহাল থাকেন। তাকে দীর্ঘায়ূ দেওয়া হয়েছিল। তিনি ১৩৩ হিজরীতে দামেশকে মৃত্যুবরণ করেন।”

ذِكْرُ الِاسْتِحْبَابِ لِلْمَرْءِ أَنْ يَكُونَ لَهُ مِنْ كُلِّ خَيْرٍ حَظٌّ رَجَاءَ التَّخَلُّصِ فِي الْعُقْبَى بشيء منها

أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ الشَّيْبَانِيُّ وَالْحُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْقَطَّانُ بِالرَّقَّةِ وَابْنُ قُتَيْبَةَ ـ وَاللَّفْظُ لِلْحَسَنِ ـ قَالُوا: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ هِشَامِ بْنِ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى الْغَسَّانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ جَدِّي عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: (دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ وَحْدَهُ قَالَ: (يَا أَبَا ذَرٍّ إِنَّ لِلْمَسْجِدِ تَحِيَّةً وَإِنَّ تَحِيَّتَهُ رَكْعَتَانِ فقُم فَارْكَعْهُمَا) قَالَ: فَقُمْتُ فَرَكَعْتُهُمَا ثُمَّ عُدْتُ فَجَلَسْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ أَمَرْتَنِي بِالصَّلَاةِ فَمَا الصَّلَاةُ؟ قَالَ: (خَيْرُ مَوْضُوعٍ اسْتَكْثِرْ أَوِ اسْتَقِلَّ) قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ الْعَمَلِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: (إِيمَانٌ بِاللَّهِ وَجِهَادٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ) قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَأَيُّ الْمُؤْمِنِينَ أَكْمَلُ إِيمَانًا؟ قَالَ: (أَحْسَنُهُمْ خُلُقاً) قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَأَيُّ الْمُؤْمِنِينَ أَسْلَمُ؟ قَالَ: (مَنْ سَلِمَ النَّاسُ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ)
قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَأَيُّ الصَّلَاةِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: (طُولُ الْقُنُوتِ) قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَأَيُّ الْهِجْرَةِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: (مَنْ هَجَرَ السَّيِّئَاتِ) قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا الصِّيَامُ؟ قال: (فرضٌ مجزىء وَعِنْدَ اللَّهِ أَضْعَافٌ كَثِيرَةٌ) قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَأَيُّ الْجِهَادِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: (مَنْ عُقِرَ جَوَادُهُ وأُهريق دَمُهُ) قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَأَيُّ الصَّدَقَةِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: (جَهْدُ الْمُقِلِّ يُسَرُّ إِلَى فَقِيرٍ) قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَأَيُّ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْكَ أَعْظَمُ؟ قَالَ: (آيَةُ الْكُرْسِيِّ) ثُمَّ قَالَ: (يَا أَبَا ذَرٍّ مَا السَّمَاوَاتُ السَّبْعُ مَعَ الْكُرْسِيِّ إِلَّا كَحَلْقَةٍ مُلْقَاةٍ بِأَرْضٍ فَلَاةٍ وَفَضْلُ الْعَرْشِ عَلَى الْكُرْسِيِّ كَفَضْلِ الْفَلَاةِ عَلَى الْحَلْقَةِ) قَالَ: قُلْتُ: يا رسول الله كم الأنبياء؟ قال: (مئة أَلْفٍ وَعِشْرُونَ أَلْفًا) قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كم الرسل من ذلك؟ قال: (ثلاث مئة وَثَلَاثَةَ عَشَرَ جَمًّا غَفِيرًا) قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ كَانَ أوَّلهم؟ قَالَ: (آدَمُ) قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أنبيٌّ مُرْسَلٌ؟ قَالَ: (نَعَمْ خَلَقَهُ اللَّهُ بِيَدِهِ وَنَفَخَ فِيهِ مِنْ رُوحِهِ وكلَّمه قِبَلاً) ثُمَّ قَالَ: (يَا أَبَا ذَرٍّ أَرْبَعَةٌ سُرْيَانِيُّونَ: آدَمُ وَشِيثُ وَأَخْنُوخُ وَهُوَ إِدْرِيسُ وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ خَطَّ بِالْقَلَمِ وَنُوحٌ وَأَرْبَعَةٌ مِنَ الْعَرَبِ: هُودٌ وَشُعَيْبٌ وَصَالِحٌ وَنَبِيُّكَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ) قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَمْ كِتَابًا أَنْزَلَهُ اللَّهُ؟ قَالَ: (مئة كِتَابٍ وَأَرْبَعَةُ كُتُبٍ أُنزل عَلَى شِيثٍ خَمْسُونَ صَحِيفَةً وأُنزل عَلَى أَخْنُوخَ ثَلَاثُونَ صَحِيفَةً وأُنزل عَلَى إِبْرَاهِيمَ عَشَرُ صَحَائِفَ وأُنزل عَلَى مُوسَى ـ قَبْلَ التَّوْرَاةِ ـ عَشَرُ صَحَائِفَ وأُنزل التَّوْرَاةُ وَالْإِنْجِيلُ وَالزَّبُورُ وَالْقُرْآنُ) قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا كَانَتْ صَحِيفَةُ إِبْرَاهِيمَ؟ قَالَ: (كَانَتْ أَمْثَالًا كُلُّهَا: أَيُّهَا الْمَلِكُ المسلَّط الْمُبْتَلَى الْمَغْرُورُ إِنِّي لَمْ أَبْعَثْكَ لِتَجْمَعَ الدُّنْيَا بَعْضَهَا عَلَى بَعْضٍ وَلَكِنِّي بَعَثْتُكَ لِتَرُدَّ عَنِّي دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنِّي لَا أَرُدُّهَا وَلَوْ كَانَتْ مِنْ كَافِرٍ وَعَلَى الْعَاقِلِ مَا لَمْ يَكُنْ مَغْلُوبًا عَلَى عَقْلِهِ أَنْ تَكُونَ لَهُ سَاعَاتٌ: سَاعَةٌ يُنَاجِي فِيهَا رَبَّهُ وَسَاعَةٌ يحاسِبُ فِيهَا نَفْسَهُ وَسَاعَةٌ يَتَفَكَّرُ فِيهَا فِي صُنْعِ اللَّهِ وَسَاعَةٌ يَخْلُو فِيهَا لِحَاجَتِهِ مِنَ الْمَطْعَمِ وَالْمَشْرَبِ وَعَلَى الْعَاقِلِ أَنْ لَا يَكُونَ ظَاعِنًا إِلَّا لِثَلَاثٍ: تَزَوُّدٍ لِمَعَادٍ أَوْ مَرَمَّةٍ لِمَعَاشٍ أَوْ لَذَّةٍ فِي غَيْرِ مُحَرَّمٍ وَعَلَى الْعَاقِلِ أَنْ يَكُونَ بَصِيرًا بِزَمَانِهِ مُقْبِلًا عَلَى شَأْنِهِ حَافِظًا لِلِسَانِهِ وَمَنْ حَسَبَ كَلَامَهُ مِنْ عَمَلِهِ قَلَّ كَلَامُهُ إِلَّا فِيمَا يَعْنِيهِ)
قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا كَانَتْ صُحُفُ مُوسَى؟ قَالَ: (كَانَتْ عِبَراً كُلُّهَا: عَجِبْتُ لِمَنْ أَيْقَنَ بِالْمَوْتِ ثُمَّ هُوَ يَفْرَحُ وَعَجِبْتُ لِمَنْ أَيْقَنَ بِالنَّارِ ثُمَّ هُوَ يَضْحَكُ وَعَجِبْتُ لِمَنْ أَيْقَنَ بِالْقَدَرِ ثُمَّ هُوَ يَنْصَبُ عَجِبْتُ لِمَنْ رَأَى الدُّنْيَا وتَقَلُّبَهَا بِأَهْلِهَا ثُمَّ اطْمَأَنَّ إِلَيْهَا وَعَجِبْتُ لِمَنْ أَيْقَنَ بِالْحِسَابِ غَدًا ثُمَّ لَا يَعْمَلُ)
قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوْصِنِي قَالَ: (أُوصِيكَ بِتَقْوَى اللَّهِ فَإِنَّهُ رَأْسُ الْأَمْرِ كُلِّهِ) قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ زِدْنِي قَالَ: (عَلَيْكَ بِتِلَاوَةِ الْقُرْآنِ وذِكْرِ اللَّهِ فَإِنَّهُ نُورٌ لَكَ فِي الْأَرْضِ وذخرٌ لَكَ فِي السَّمَاءِ) قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ زِدْنِي: قَالَ: (إِيَّاكَ وَكَثْرَةَ الضَّحِكِ فَإِنَّهُ يُمِيتُ الْقَلْبَ ويَذْهَبُ بِنُورِ الْوَجْهِ) قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ زِدْنِي قَالَ: (عَلَيْكَ بِالصَّمْتِ إِلَّا مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّهُ مَطْرَدَةٌ لِلشَّيْطَانِ عَنْكَ وَعَوْنٌ لَكَ عَلَى أَمْرِ دِينِكَ) قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ زِدْنِي قَالَ: (عَلَيْكَ بِالْجِهَادِ فَإِنَّهُ رَهْبَانِيَّةُ أُمَّتِي) قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ زِدْنِي قَالَ: (أحِبَّ الْمَسَاكِينَ وَجَالِسْهُمْ) قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ زِدْنِي قَالَ: (انْظُرْ إِلَى مَنْ تَحْتَكَ وَلَا تَنْظُرْ إِلَى مَنْ فَوْقَكَ فَإِنَّهُ أَجْدَرُ أَنْ لَا تُزْدَرَى نِعْمَةُ اللَّهِ عِنْدَكَ) قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ زِدْنِي قَالَ: (قُلِ الْحَقَّ وَإِنْ كَانَ مُرَّاً) قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ زِدْنِي قَالَ: (لِيَرُدَّكَ عَنِ النَّاسِ مَا تَعْرِفُ مِنْ نَفْسِكَ وَلَا تَجِدْ عَلَيْهِمْ فِيمَا تَأْتِي وَكَفَى بِكَ عَيْبًا أَنْ تَعْرِفَ مِنَ النَّاسِ مَا تَجْهَلُ مِنْ نَفْسِكَ أَوْ تَجِدَ عَلَيْهِمْ فِيمَا تَأْتِي) ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدِهِ على صدري فقال: (يا أيا ذَرٍّ لَا عَقْلَ كَالتَّدْبِيرِ وَلَا وَرَعَ كَالْكَفِّ ولا حَسَبَ كَحُسْنِ الخُلُقِ.
الراوي : أَبو ذَرٍّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 362 | خلاصة حكم المحدث: ضعيف جداً.

اخبرنا الحسن بن سفيان الشيباني والحسين بن عبد الله القطان بالرقة وابن قتيبة ـ واللفظ للحسن ـ قالوا: حدثنا ابراهيم بن هشام بن يحيى بن يحيى الغساني قال: حدثنا ابي عن جدي عن ابي ادريس الخولاني عن ابي ذر قال: (دخلت المسجد فاذا رسول الله صلى الله عليه وسلم جالس وحده قال: (يا ابا ذر ان للمسجد تحية وان تحيته ركعتان فقم فاركعهما) قال: فقمت فركعتهما ثم عدت فجلست اليه فقلت: يا رسول الله انك امرتني بالصلاة فما الصلاة؟ قال: (خير موضوع استكثر او استقل) قال: قلت: يا رسول الله اي العمل افضل؟ قال: (ايمان بالله وجهاد في سبيل الله) قال: قلت: يا رسول الله فاي المومنين اكمل ايمانا؟ قال: (احسنهم خلقا) قلت: يا رسول الله فاي المومنين اسلم؟ قال: (من سلم الناس من لسانه ويده) قال: قلت: يا رسول الله فاي الصلاة افضل؟ قال: (طول القنوت) قال: قلت: يا رسول الله فاي الهجرة افضل؟ قال: (من هجر السيىات) قال: قلت: يا رسول الله فما الصيام؟ قال: (فرض مجزىء وعند الله اضعاف كثيرة) قال: قلت: يا رسول الله فاي الجهاد افضل؟ قال: (من عقر جواده واهريق دمه) قال: قلت: يا رسول الله فاي الصدقة افضل؟ قال: (جهد المقل يسر الى فقير) قلت: يا رسول الله فاي ما انزل الله عليك اعظم؟ قال: (اية الكرسي) ثم قال: (يا ابا ذر ما السماوات السبع مع الكرسي الا كحلقة ملقاة بارض فلاة وفضل العرش على الكرسي كفضل الفلاة على الحلقة) قال: قلت: يا رسول الله كم الانبياء؟ قال: (مىة الف وعشرون الفا) قلت: يا رسول الله كم الرسل من ذلك؟ قال: (ثلاث مىة وثلاثة عشر جما غفيرا) قال: قلت: يا رسول الله من كان اولهم؟ قال: (ادم) قلت: يا رسول الله انبي مرسل؟ قال: (نعم خلقه الله بيده ونفخ فيه من روحه وكلمه قبلا) ثم قال: (يا ابا ذر اربعة سريانيون: ادم وشيث واخنوخ وهو ادريس وهو اول من خط بالقلم ونوح واربعة من العرب: هود وشعيب وصالح ونبيك محمد صلى الله عليه وسلم) قلت: يا رسول الله كم كتابا انزله الله؟ قال: (مىة كتاب واربعة كتب انزل على شيث خمسون صحيفة وانزل على اخنوخ ثلاثون صحيفة وانزل على ابراهيم عشر صحاىف وانزل على موسى ـ قبل التوراة ـ عشر صحاىف وانزل التوراة والانجيل والزبور والقران) قال: قلت: يا رسول الله ما كانت صحيفة ابراهيم؟ قال: (كانت امثالا كلها: ايها الملك المسلط المبتلى المغرور اني لم ابعثك لتجمع الدنيا بعضها على بعض ولكني بعثتك لترد عني دعوة المظلوم فاني لا اردها ولو كانت من كافر وعلى العاقل ما لم يكن مغلوبا على عقله ان تكون له ساعات: ساعة يناجي فيها ربه وساعة يحاسب فيها نفسه وساعة يتفكر فيها في صنع الله وساعة يخلو فيها لحاجته من المطعم والمشرب وعلى العاقل ان لا يكون ظاعنا الا لثلاث: تزود لمعاد او مرمة لمعاش او لذة في غير محرم وعلى العاقل ان يكون بصيرا بزمانه مقبلا على شانه حافظا للسانه ومن حسب كلامه من عمله قل كلامه الا فيما يعنيه) قلت: يا رسول الله فما كانت صحف موسى؟ قال: (كانت عبرا كلها: عجبت لمن ايقن بالموت ثم هو يفرح وعجبت لمن ايقن بالنار ثم هو يضحك وعجبت لمن ايقن بالقدر ثم هو ينصب عجبت لمن راى الدنيا وتقلبها باهلها ثم اطمان اليها وعجبت لمن ايقن بالحساب غدا ثم لا يعمل) قلت: يا رسول الله اوصني قال: (اوصيك بتقوى الله فانه راس الامر كله) قلت: يا رسول الله زدني قال: (عليك بتلاوة القران وذكر الله فانه نور لك في الارض وذخر لك في السماء) قلت: يا رسول الله زدني: قال: (اياك وكثرة الضحك فانه يميت القلب ويذهب بنور الوجه) قلت: يا رسول الله زدني قال: (عليك بالصمت الا من خير فانه مطردة للشيطان عنك وعون لك على امر دينك) قلت: يا رسول الله زدني قال: (عليك بالجهاد فانه رهبانية امتي) قلت: يا رسول الله زدني قال: (احب المساكين وجالسهم) قلت: يا رسول الله زدني قال: (انظر الى من تحتك ولا تنظر الى من فوقك فانه اجدر ان لا تزدرى نعمة الله عندك) قلت: يا رسول الله زدني قال: (قل الحق وان كان مرا) قلت: يا رسول الله زدني قال: (ليردك عن الناس ما تعرف من نفسك ولا تجد عليهم فيما تاتي وكفى بك عيبا ان تعرف من الناس ما تجهل من نفسك او تجد عليهم فيما تاتي) ثم ضرب بيده على صدري فقال: (يا ايا ذر لا عقل كالتدبير ولا ورع كالكف ولا حسب كحسن الخلق. الراوي : ابو ذر | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 362 | خلاصة حكم المحدث: ضعيف جدا.

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
৬. সদাচারণ ও ন্যায়নিষ্ঠতা সংশ্লিষ্ট কিতাব (كِتَابُ الْبِرِّ وَالْإِحْسَانِ)