পরিচ্ছেদঃ ঈমানের ফরয
১৫৪. আনাস বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমরা মসজিদে বসে ছিলাম, এমন সময় এক ব্যক্তি উটের উপর আরোহন করে আসলেন অতঃপর মাসজিদে উট বসালেন এবং উট বেঁধে রাখলেন, তারপর সাহাবীদের বললেন: ’আপনাদের মাঝে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে?’ এসময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁদের মাঝে হেলান দিয়ে বসা ছিলেন। রাবী বলেন: আমরা তাকে বললাম: এই যে হেলান দেওয়া ফর্সা ব্যক্তি। তখন সে ব্যক্তি তাঁকে বললেন: ’হে আব্দুল মুত্তালিবের ছেলে।’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন: ’ঠিক আছে, আমি আপনার কথা শুনছি (বলুন)।’ তিনি বললেন: ’হে মুহাম্মাদ, আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবো এবং প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে কিছুটা কঠোরতা আরোপ করবো, এতে আপনি মনে কোন কষ্ট নিবেন না।’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ’আপনার মনে যা চায়, আপনি পশ্ন করুন।’
অতঃপর ব্যক্তিটি বললেন: ’আপনার প্রতিপালক এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতিপালকের শপথ দিয়ে বলছি, আল্লাহই কি আপনাকে সমস্ত মানুষের কাছে রাসূল করে পাঠিয়েছেন?’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ’আল্লাহর কসম, হ্যাঁ।’ তিনি বললেন: ’আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, আল্লাহই কি আদেশ করেছেন আমাদেরকে দিনে-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে?’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ’আল্লাহর কসম, হ্যাঁ।’ তিনি বললেন: ’আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, আল্লাহই কি আদেশ করেছেন আমাদেরকে বছরের এই মাসে সিয়াম রাখতে?’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ’আল্লাহর কসম, হ্যাঁ।’ তিনি বললেন: ’আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, আল্লাহই কি আদেশ করেছেন যে আপনি আমাদের ধনীদের থেকে যাকাত গ্রহন করবেন অতঃপর তা আমাদের গরীবদের মাঝে বন্টন করে দিবেন?’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ’আল্লাহর কসম, হ্যাঁ।’ অতঃপর সেই লোকটি বললেন: ’আপনি যে শারী’আত নিয়ে এসেছেন, আমি তার প্রতি ঈমান আনয়ন করলাম, আমি আমার পশ্চাতের লোকদের জন্য বার্তাবাহক। আর আমি বানু সা’দ বিন বকর গোত্রের যিমাম বিন সা’লাবাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু)।”[1]
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবু দাউদ: ৫০৪)
بَابُ فَرْضِ الْإِيمَانِ
أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: بَيْنَا نَحْنُ جُلُوسٌ فِي الْمَسْجِدِ دَخَلَ رَجُلٌ عَلَى جَمَلٍ فَأَنَاخَهُ فِي الْمَسْجِدِ ثُمَّ عَقَلَهُ ثُمَّ قَالَ لَهُمْ: أَيُّكُمْ مُحَمَّدٌ؟ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم متكىء بَيْنَ ظَهْرَانَيْهِمْ قَالَ: فَقُلْنَا لَهُ: هَذَا الْأَبْيَضُ المتكىء فقال له الرجل: با ابْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (قَدْ أَجَبْتُكَ) فَقَالَ الرَّجُلُ: يَا مُحَمَّدُ إِنِّي سَائِلُكَ فمُشتدٌّ عَلَيْكَ فِي الْمَسْأَلَةِ فَلَا تَجِدَنَّ عَلَيَّ فِي نَفْسِكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (سَلْ مَا بَدَا لَكَ) فَقَالَ الرَّجُلُ: نَشَدْتُكَ بِرَبِّكَ وَرَبِّ مَنْ قَبْلَكَ آللَّهُ أَرْسَلَكَ إِلَى النَّاسِ كُلِّهِمْ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (اللَّهُمَّ نَعَمْ) قَالَ: فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ: آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ نُصَلِّيَ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (اللَّهُمَّ نَعَمْ) قَالَ: فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ: آللَّهُ أَمَرَكَ أَنَ نَصُومَ هَذَا الشَّهْرَ مِنَ السَّنَةِ؟ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (اللَّهُمَّ نَعَمْ) قَالَ: فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ: آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تَأْخُذَ هَذِهِ الصَّدَقَةَ مِنْ أَغْنِيَائِنَا فَتَقْسِمَهَا عَلَى فُقَرَائِنَا؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (اللَّهُمَّ نَعَمْ) فَقَالَ الرَّجُلُ: آمَنْتُ بِمَا جِئْتَ بِهِ وَأَنَا رَسُولُ مَنْ وَرَائِي مِنْ قَوْمِي وَأَنَا ضِمَامُ بْنُ ثَعْلَبَةَ ـ أخو بني سعد بن بكر ـ.
الراوي : أَنَس بْن مَالِكٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 154 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
পরিচ্ছেদঃ ঈমানের ফরয
১৫৫. আনাস বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: ’আমাদেরকে (একান্ত প্রয়োজনীয় ছাড়া) কোন কিছু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে নিষেধ করা হয়েছিল। ফলে আমরা কামনা করতাম যে, বেদুঈন ব্যক্তি এসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করুক আর আমরা তা শ্রবণ করি। অতঃপর একজন বেদুঈন ব্যক্তি আসলেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললেন: ’হে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমাদের কাছে আপনার বার্তাবাহক এসে বলেছেন যে, আপনি বলেছেন যে, আল্লাহ আপনাকে রাসূল করে পাঠিয়েছেন।’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ’তিনি সত্য কথাই বলেছেন।’ তিনি বললেন: ’কে আসমান সৃষ্টি করেছেন?’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জবাবে বললেন: ’আল্লাহ।’ তিনি বললেন: ’জমিন কে সৃষ্টি করেছেন?’ জবাবে বললেন: ’আল্লাহ।’ তিনি বললেন: ’এই পর্বত কে স্থাপন করেছেন?’ তিনি বললেন: ’আল্লাহ।’ তিনি বললেন: ’এই উপকারী জিনিসগুলো কে সৃষ্টি করেছেন?’ তিনি বললেন: ’আল্লাহ।’ তিনি বললেন: ’ঐ সত্তার কসম দিয়ে বলছি, যিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন, তাতে পর্বত স্থাপন করেছেন এবং এখানে উপকারী জিনিসসমূহ সৃষ্টি করেছেন! আল্লাহই কি আপনাকে রাসূল করে পাঠিয়েছেন?’ তিনি জবাবে বললেন: ’হ্যাঁ।’ তিনি বললেন: ’আপনার বার্তাবাহক বলেছেন যে, দিনে-রাতে আমাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা আবশ্যক।’ তিনি বললেন: ’তিনি সত্যই বলেছেন।’ তিনি বললেন: ’ঐ সত্তার কসম দিয়ে বলছি, যিনি আপনাকে রাসূল করে পাঠিয়েছেন, আল্লাহই কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন?’ জবাবে তিনি বললেন: ’হ্যাঁ।’ তিনি বললেন: ’আপনার বার্তাবাহক বলেছেন যে, আমাদের মধ্যে যাদের বায়তুল্লাহ পর্যন্ত যাতায়াতের পাথেয় আছে, তার উপর হজ্জ করা আবশ্যক।’ তিনি বললেন: ’তিনি সত্যই বলেছেন।’ বলেছেন।’ তিনি বললেন: ’ঐ সত্তার কসম দিয়ে বলছি, যিনি আপনাকে রাসূল করে পাঠিয়েছেন, আল্লাহই কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন?’ জবাবে তিনি বললেন: ’হ্যাঁ।’ তিনি বললেন: ’ঐ সত্তার কসম দিয়ে বলছি, যিনি আপনাকে হক সহ পাঠিয়েছেন, আমি এরচেয়ে বেশিও আমল করবো না, এরচেয়ে কোন কিছু কমও করবো না।’ অতঃপর লোকটি যখন চলে গেলেন, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ’যদি সে সত্য বলে থাকে, তবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ [1]
قال أبو حاتم رضي الله تعالى عَنْهُ: هَذَا النَّوْعُ مِثْلُ الْوُضُوءِ وَالتَّيَمُّمِ وَالِاغْتِسَالِ مِنَ الْجَنَابَةِ وَالصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ وَالصَّوْمِ الْفَرْضِ وَمَا أَشْبَهَ هَذِهِ الْأَشْيَاءَ الَّتِي هِيَ فَرْضٌ عَلَى الْمُخَاطَبِينَ فِي بَعْضِ الْأَحْوَالِ لَا الكل.
আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন: “এই জাতীয় বিধি-বিধান যেমন ওযূ, তায়াম্মুম, নাপাকীর গোসল, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, ফরয সিয়াম, এবং এই জাতীয় আরো অন্যান্য আমলগুলো মুখাতাব তথা শরীয়তের বিধি-বিধান বর্তায় এমন ব্যক্তির উপর কিছু অবস্থায় প্রযোজ্য; সর্বাস্থায় নয়।”
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবু দাউদ: ৫০৪)
بَابُ فَرْضِ الْإِيمَانِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْخَطَّابِ الْبَلَدِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْجُدِّيُّ قَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ قَالَ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: كُنَّا نُهِينَا أَنْ نَسْأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ شَيْءٍ فَكَانَ يُعْجِبُنَا أَنْ يَأْتِيَهُ الرَّجُلُ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ فَيَسْأَلَهُ وَنَحْنُ نَسْمَعُ فَأَتَاهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ أَتَانَا رَسُولُكَ فَزَعَمَ أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ اللَّهَ أَرْسَلَكَ قال: "صدق" قال فمن خَلَقَ السَّمَاءَ قَالَ: "اللَّهُ" قَالَ: فَمَنْ خَلَقَ الْأَرْضَ قَالَ: "اللَّهُ" قَالَ: فَمَنْ نَصَبَ هَذِهِ الْجِبَالَ قَالَ: "اللَّهُ" قَالَ: فَمَنْ جَعَلَ فِيهَا هَذِهِ الْمَنَافِعَ قَالَ: "اللَّهُ" قَالَ: فَبِالَّذِي خَلَقَ السَّمَاءَ وَالْأَرْضَ وَنَصَبَ الْجِبَالَ وَجَعَلَ فِيهَا هَذِهِ الْمَنَافِعَ آللَّهُ أَرْسَلَكَ؟ قَالَ: "نَعَمْ" قَالَ: زَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي يَوْمِنَا وَلَيْلَتِنَا قَالَ: "صَدَقَ" قَالَ: فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: "نَعَمْ" قَالَ: زَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا صَدَقَةً فِي أَمْوَالِنَا قَالَ: "صَدَقَ" قَالَ: فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: "نَعَمْ" قَالَ: زَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا صَوْمَ شَهْرٍ فِي سَنَتِنَا قَالَ: "صَدَقَ" قَالَ: فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: نَعَمْ قَالَ: زَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا حَجَّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا قَالَ: "صَدَقَ" قَالَ: فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: "نَعَمْ", قَالَ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَا أَزِيدُ عَلَيْهِنَّ وَلَا أَنْقُصُ مِنْهُنَّ شَيْئًا فَلَمَّا قَفَّى قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "لَئِنْ صَدَقَ ليدخلن الجنة.
الراوي : أَنَس بْن مَالِكٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 155 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
পরিচ্ছেদঃ ঈমানের ফরয
১৫৬. আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মুয়ায রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে ইয়ামানে পাঠান, তখন তাঁকে বলেন: ’আপনি আহলে কিতাবদের একটি সম্প্রদায়ের কাছে যাচ্ছেন, অতএব তাদের প্রতি আপনার প্রথম দা’ওয়াত যেন হয় আল্লাহর ইবাদত। যখন তারা আল্লাহকে চিনবে, তখন আপনি জানাবেন যে, আল্লাহ তাদের উপর দিনে-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। যখন তারা এটা পালন করবে, তখন তাদেরকে জানাবেন যে, আল্লাহ তাদের উপর যাকাত ফরয করেছেন; যা তাদের সম্পদ থেকে গ্রহণ করা হবে অতঃপর তাদের গরীবদের মাঝে তা বন্টন করা হবে। যদি তারা তা মেনে নেয়, তাহলে তাদের থেকে তা গ্রহন করবেন। তবে মানুষের উত্তম সম্পদ গ্রহণ করা থেকে বেঁচে থাকবেন।’[1]
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: هَذَا النَّوْعُ مِثْلُ الْحَجِّ وَالزَّكَاةِ وَمَا أَشْبَهَهُمَا مِنَ الْفَرَائِضِ الَّتِي فُرضت عَلَى بَعْضِ الْعَاقِلِينَ الْبَالِغِينَ فِي بَعْضِ الْأَحْوَالِ لَا الْكُلِّ.
আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন: ’’এই প্রকার বিধি-বিধান যেমন হজ্জ, যাকাত এবং এই জাতীয় অন্যান্য আমলগুলো এমন ফরয বিধানের অন্তর্ভূক্ত যা কিছু জ্ঞানবান, বালেগ ব্যক্তির উপর কিছু অবস্থায় ফরয; সর্বাস্থায় নয়।”
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবু দাউদ: ১৪১২)
بَابُ فَرْضِ الْإِيمَانِ
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ الشَّيْبَانِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامٍ قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ قَالَ حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَيْفِيٍّ عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا بَعَثَ مُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ قَالَ: "إِنَّكَ تَقَدُمُ عَلَى قَوْمٍ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ فَلْيَكُنْ أَوَّلَ مَا تَدْعُوهُمْ إِلَيْهِ عِبَادَةُ اللَّهِ فَإِذَا عَرَفُوا اللَّهَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللَّهَ فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي يَوْمِهِمْ وَلَيْلَتِهِمْ وَإِذَا فَعَلُوهَا فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللَّهَ فَرَضَ عَلَيْهِمْ زَكَاةً تُؤْخَذُ مِنْ أَمْوَالِهِمْ فَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ فَإِذَا أَطَاعُوا بِهَذَا فَخُذْ مِنْهُمْ وَتَوَقَّ كَرَائِمَ أموال الناس.
الراوي : ابْن عَبَّاسٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 156 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
পরিচ্ছেদঃ ঈমানের ফরয
১৫৭. আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আব্দুল কাইস গোত্রের প্রতিনিধি দল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে বললেন: ’আমরা রাবী’আহ গোত্রের লোক। আমাদের ও আপনার মাঝে মুযার গোত্রের কুফফাররা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ফলে আমরা আপনার কাছে হারাম মাস ছাড়া অন্য কোন সময় আসতে পারিনা। অতএব আপনি আমাদেরকে এমন কিছুর আদেশ দিন, যা আমরা আমল করবো এবং আমাদের পিছে রেখে আসা লোকদের দা’ওয়াত দিব।’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ’আমি আপনাদেরকে চারটি জিনিসের আদেশ করছি: (১) আল্লাহর প্রতি ঈমান, এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা’বুদ নেই, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল (২) সালাত প্রতিষ্ঠা করা (৩) যাকাত প্রদান করা (৪) তোমাদের প্রাপ্ত গনীমতের এক-পঞ্চমাংশ প্রদান করা।’ আমি আপনাদেরকে কদুর খোলস, সবুজ কলসি, খেজুরের কাষ্ঠ খোদাই করা পাত্র ও আল কাতরার প্রলেপ দেওয়া পাত্র ব্যবহার করতে নিষেধ করছি।’[1]
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: رَوَى هَذَا الْخَبَرَ قَتَادَةُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ وَعِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ.
আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন: “এই হাদীসটি কাতাদা সা’ঈদ বিন মুসায়্যিব ও ইকরামার সূত্রে আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা[2] থেকে এবং আবু নাযরাহ আবু সা’ঈদ আল খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে[3] বর্ণনা করেছেন।”
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আত তাহাবিয়্যাহ: ৪২৬)
[2] হাদীসটি ইবনু মান্দাহ ‘ঈমান’ কিতাবে (১৫৬) বর্ণনা করেছেন।
[3] আবু সা‘ঈদ আল খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসটি মুসনাদ আহমাদ: ৩/২২-২৩; সহীহ মুসলিম: ১৮; মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক: ১৬৯২৯ প্রভৃতি কিতাবে বর্ণিত হয়েছে।
بَابُ فَرْضِ الْإِيمَانِ
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ حَدَّثَنَا أَبُو جَمْرَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ:
قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عليه وسلم قالوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا هَذَا الْحَيَّ مِنْ رَبِيعَةَ ـ قَدْ حَالَتْ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ كُفَّارُ مُضر وَلَا نَخْلُصُ إِلَيْكَ إِلَّا فِي شَهْرٍ حَرَامٍ فمرنا بأمر نعمل به وندعوا مَنْ وَرَاءَنَا قَالَ:
(آمُرُكُمْ بِأَرْبَعٍ: الْإِيمَانِ بِاللَّهِ شهادة أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رسول الله وإقام الصلاة وإيتاء الزكاة وَأَنْ تؤدُّوا خُمُسَ مَا غَنِمْتُمْ وَأَنْهَاكُمْ عَنِ الدُّبَّاء والحنتم والنقير والمقير)
الراوي : ابْن عَبَّاسٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 157 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.