পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি ধারণা করে যে খোলাফা রাশিদীন এবং প্রবীণ সাহাবীদের নিকট ওযূ ও সালাত সংক্রান্ত কোন বিধান গোপন থাকতে পারে না - তার এই কথা অপনোদনে হাদীস
১২৭. যাইদ বিন খালিদ আল-জুহানী রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি উসমান বিন আফফান রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুকে জিজ্ঞেস করলেন ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে যে স্ত্রী সহবাস করে কিন্তু বীর্যপাত হয়নি। জবাবে তিনি বলেন: তার উপর কোন কিছুই আবশ্যক নয়। তারপর উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এটা বলতে শুনেছি। যাইদ বিন খালিদ আল-জুহানী রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন: এরপর এই সম্পর্কে আলী বিন আবী তালিব, যুবাইর বিন আওয়াম, তালহা বিন উবাইদুল্লাহ, উবাই বিন কা’ব রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুমদের জিজ্ঞেস করেছি, তাঁরা সবাই অনুরুপ জবাবই দিয়েছেন। আবু সালামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন উরওয়া বিন যুবাইর, তিনি আবু আইয়ুব আল-আনসারী রাদ্বিয়াল্লহু আনহুকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করেছিলেন, জবাবে তিনিও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে অনুরুপ কথাই বলেছেন।”[1] [2]
[1] সহীহ আল বুখারী: ২৯২; সহীহ মুসলিম: ৩৪৭; মুশকিলুল আসার: ১/৫৩; বাইহাকী: ১/৬৩; সহীহ ইবনু খুযাইমা: ২২৪; ইবনু আবী শায়বা: ১/৯০; মুসনাদ আহমাদ: ১/৬৪। হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রাহিমাহুল্লাহ সহীহ আল বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন।
[2] ইসলামের প্রথম যুগে স্ত্রী সহবাস করার পর যদি বীর্যপাত না হতো , তাহলে গোসল করার বাধ্যবাধকতা ছিল না। পরবর্তীতে এই বিধান রহিত করা হয়। পরবর্তী বিধানে পুরুষের লিঙ্গের অগ্রভাগ নারীদেহে প্রবেশ করলেই গোসল ফরযের বিধান দেওয়া হয়, বীর্যপাত হোক অথবা না হোক। কিন্তু রহিতকারী পরিবর্তিত বিধান অনেক সাহাবীই জানতেন না। যার ফলে তাঁরা আগের বিধান মতেই ফাতাওয়া দিয়েছেন। বক্ষ্যমান হাদীসটি সেটাই প্রমান করে। রহিত হওয়ার ব্যাপারে আয়েশা বর্ণিত হাদীসে আছে:
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا سُئِلَتْ عَنِ الرَّجُلِ يُجَامِعُ، فَلَا يُنْزِلُ الْمَاءَ، قَالَتْ: فَعَلْتُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاغْتَسَلْنَا مِنْهُ جميعا.
আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহাকে জিজ্ঞেস করা হয় ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে যে ব্যক্তি স্ত্রী সহবাস করে কিন্তু বীর্যপাত হয়না, তার গোসল করতে হবে কিনা, জবাবে তিনি বলেন: আমি ও আল্লাহর রাসূল এমনটা করে আমরা গোসল করেছি।” (সহীহ ইবনু হিব্বান: ১১৭৬; তিরমিযী: ১০৮; ইবনু মাজাহ: ৬০৮। হাদীস সহীহ।)
ذِكْرُ الْخَبَرِ الْمُدْحِضِ قَوْلَ مَنْ زَعَمَ أَنَّ الْخُلَفَاءَ الرَّاشِدِينَ وَالْكِبَارَ مِنَ الصَّحَابَةِ غَيْرُ جَائِزٍ أن يخفى عليهم بعض أحكام الوضوء والصَّلَاةِ
أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي قَالَ: حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ أَنَّ يَحْيَى بْنَ أَبِي كَثِيرٍ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ أَنَّهُ سَأَلَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ عَنِ الرَّجُلِ إِذَا جَامَعَ وَلَمْ يُنْزِلْ فَقَالَ: لَيْسَ عَلَيْهِ شَيْءٌ ثُمَّ قَالَ عُثْمَانُ: سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فَسَأَلْتُ بَعْدَ ذَلِكَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ وَالزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ وَطَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ وَأُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ فَقَالُوا: مِثْلَ ذَلِكَ قَالَ أَبُو سَلَمَةَ: وَحَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيَّ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم.
الراوي : زَيْد بْن خَالِدٍ الْجُهَنِيّ | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 127 | خلاصة حكم المحدث: إسناده صحيح على شرط الشيخين